বিষয় ভিত্তিক পোস্ট

বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

দেখুন যারা আহলে হাদিস দাবিদার, তারা আসলেই গুমরাহ পথে?নাকি সহী পথে, সহী হাদিসের মোরোকে, লা-মাযহাবীদের ভন্ডামী, বিস্তারিত পরুন কাজে লাগবে।

আমাদের অনেক ভাই বিদেশ এসে সারাদিন কাম কইরা রাতে টিভি দেখে এখন লামাজহাবী মুফতি হয়ে গেছে শুধু ফতুয়া দেয় বিদেশ এইটা নাই ঐটা নাই মাঝহাব বলে কিছু নাই, কিন্তু তাদের সম্পর্ক খুজ নিলে দেখা যায় একদম মুর্খ লামাঝহাবীদের খপ্পরে পরে শুধু ব্রেনটা ওয়াস হয়েছে, তাই যারা আহলে হাদিস আহলে হাদিস বলে চিল্লায় তাদের জন্য এই পোস্ট 

শীয়া অঙ্গ সংগঠন কথিত আহলে হাদিস ও লা-মাযহাবীদের কিছু ভ্রান্ত আক্বিদা

তথাকথিত আহলে হাদিসদের কিছু ভ্রান্ত আকিদা নিচে সহ-প্রমাণে তুলে ধরলাম। যাতে আহলুস সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে ও শীয়াদের পক্ষে গোপনে এদের ভয়ংকর নীল নকশা আর বেশি দূর এগুতে না পারে। যাতে স্বাধারণ মানুষদের এদের সহিহ’র মোড়কে সহিহ ধোকায় নিপতিত হতে না হয়, সেজন্য আমি তাদের গুটিকতক মেকি ভন্ডামির জারিজুরি প্রকাশ করে দিলাম।

১-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘হাদয়িতুল মাহদি’ পুস্তকের ১১০ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “জুমার খুতবায় খোলাফায়ে রাশেদার নাম নেয়া বিদয়াত।” (নাউযুবিল্লাহ) ।

.

২-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘তানবীরুল আফা-ক’ পুস্তকের ১০৭ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “খোলাফায়ে রাশেদা অর্থাৎ হযরত আবু বকর, হযরত উমর, হযরত উসমান এবং হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) উনারা শরীয়তের খেলাফ হুকুম জারি করতেন। (নাউযুবিল্লাহ)।

.

৩-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘কাশফুল হিজাব’ পুস্তকের ২১ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “হযরত আয়েশা (রা) আলীর সাথে যুদ্ধ করে মুরতাদ হয়ে গেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ)।

.

৪-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘হাদয়িতুল মাহদি’ পুস্তকের ১০৩ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “আয়িম্মায়ে ইছনা আশারা যারা শীয়াদের ইমাম, আমরা তাদের অনুসারী।”

.

উল্লেখ্য, এ কথা দ্বারা পুরোপুরিভাবে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, মাযহাবের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডাকারী ও আহলে হক্বের সাথে আলোচনার টেবিলে যোগদানে অস্বীকারকারী ক্রমাগত পালিয়ে বেড়ানো আহলে হাদিস নামধারি কথিত ছহি হাদিসের অনুসারীরা মূলত শীয়াদেরই একটি অঙ্গ সংগঠন। যাদের কাজই হল আহলুস সুন্নাহ’র অনুসারী মুসলিমের বিভ্রান্ত করে মাযহাবের বন্ধন থেকে সরিয়ে দেয়া ও ধীরেধীরে সাহাবী বিদ্বেষী করে তুলা। পর্যায়ক্রমে শীয়াদের পাল্লাই ভারি করা। যা দেরিতে হলেও আজ দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার।

.

৫-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘তানবীরুল আফা-ক’ পুস্তকের ৪৯৮-৪৯৯ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “হযরত উমর কুরআনের হুকুম পরিবর্তন করে ফেলেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ) ।

.

৬-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘দলীলুত ত্বলিব’ পুস্তকের ৫২ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ।” (নাউযুবিল্লাহ) ।

.

৭-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘বদূরুল আহিল্লাহ’ পুস্তকের ১৪-১৫ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “সমস্ত জানোয়ার তথা জন্তুর পেশাব পবিত্র।” (নাউযুবিল্লাহ)।

.

৮-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘দলীলুত ত্বালিব’ পুস্তকের ২৬৪ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “নামাযের জন্য কাপড় পাক হওয়া জুরুরি নয়।” (নাউযুবিল্লাহ)।

.

৯-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘হাদয়িতুল মাহদি’ পুস্তকের ২৩ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “মহিলাও মুয়াজ্জিন হতে পারবে।” (নাউযুবিল্লাহ)।

.

১০-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘বদূরুল আহিল্লাহ’ পুস্তকের ৩৯১ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “এক বকরীতে ১০০ মানুষের পক্ষ থেকে কুরবানি হতে পারে।” (নাউযুবিল্লাহ)।

.

১১-

আহলে হাদিসদের রচিত ‘যফরুল কাযী’ পুস্তকের ১৪১, ‘উরুফুল জাবী’ পুস্তকের ১১৫ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “পুরুষ একই সময় যত ইচ্ছে বিয়ে করতে পারবে।” (নাউযুবিল্লাহ)।

.

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা! সহিহ হাদিসের মোড়কে শীয়া এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কথিত আহলে হাদিসদের এরকম হাজারো উল্টাপাল্টা ফতুয়াবাজির ডকুমেন্ট আমাদের নিকট রয়েছে। যা সুস্পষ্টভাবে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ফেরকা শীয়া কুফফারদের সাথে মিল।

এখন প্রশ্ন হল, মাযহাব বিদ্বেষী এ নতুন ফেরকার অনুসারীরা এবং যারা এদের দলে যোগ দেবে তাদের সকলের ঈমান আকিদার কী হাশর হবে? আল্লাহ তায়ালা এ আখেরি যামানায় এ জাতীয় নতুন ফেরকাগুলো হতে আমাদের রক্ষা করুন, আমীন।

শেয়ার করে সকল মুসলমানদের জানিয়ে দিন,

Posted by হাফিজ ক্বারী মোঃ নাছির উদ্দিন।

ফেসবোকে আমি



রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬

কাউন্সিল-২০১৬ ইং বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামীয়া ছাতক (উত্তর)উপজেলা শাখা,৩১শে আগস্ট

আগআগামী ৩১শে আআগস্ট বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামীয়া ছাতক (উত্তর) উপজেলা শাখা'র  কাউন্সিল ২০১৬ ইং।
সময় বেলাঃ ১১  ঘটিকা
স্থানঃ ছাতক প্রেসক্লাব, ক্লাব রোড ছাতক।। 

এই সেই জারজ নাস্তিক, যাকে পেলে হত্যা করা সকল মুসলমানের উপর ফরজ, যদি ঈমান থাকে, সে বলছে আমাদের নবী (সঃ) নাকি,,,,,,,বিস্তারিত।।।।। ।

এই শুওয়ারের বাচ্ছা বলেছে আমাদের বিশ্ব নবী (সাঃ) নাকি জিনা করেছেন,নাউজুবিল্লা, একে যেখানেই পাবেন, যদি আপনি মমুসলমান হোউন তাহলে তাকে হত্যা করা আপনার উপর ফরজ, সে লন্ডনে থাকে। আপনি যদি সত্যিকার মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে তাকে, তাহলে এখনি নিয়ত করুন তাকে পেলেই হত্যা করবেন।।।পারলে আমাকেও শরীক করবেন।।। 

হলো নাস্তিক জারজ সন্তান 

কবর পাকা করন, কবর কি পাকা করা জায়েজ? ?নাকি হারাম, সহীহ হাদিস এবং কোর-আনের দলীল। ওলীদের কবর কি পাকা করা যায়??

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

♦কবর পাকা করন♦

কবরের আশে-পাশে বা কবরের সন্নিকটে কোন ইমারত তৈরী করা সাধারণ মুসলমানদের কবরের ক্ষেত্রে নিষেধ। কিন্তু ফকীহ ও আলিমগণের কবরের বেলায় জায়েয। এর দলীল সমূহ নিম্নে প্রদত্ত হলো।

(১) মিশকাত শরীফের কিতাবুল জানায়েযের الدفن
শীর্ষক অধ্যায়ে আবু দাউদ শরীফের বরাত দিয়ে বর্ণিত আছে- হযরত উছমান ইবনে মযউন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কে যখন দাফন করা হয়, তখন হুযুর আলাইহিস সালাম তাঁর কবরের শিয়রে একটি পাথর রাখলেন এবং ইরশাদ ফরমান-

اَعْلَمْ بِهَا قَبْرَ اَخِىْ وَاُدْفِنُ اِلَيْهِ مَنْ مَاتَ مِنْ اَهْلِىْ

আমরা এর দ্বারা নিজের ভাইয়ের কবর সনাক্ত করতে পারবো এবং এখানে স্বীয় আহলে বাইয়েত লাশ সমূহ দাফন করবো।

(২) বুখারী শরীফে কিতাবুল জানায়েয الجريد على القبر
শীর্ষক অধ্যায়ে অন্য হাদীছের সনদের সাথে সংযুক্ত একটি হাদীছ হযরত খারেজা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন আমরা হযরত উছমানের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর যুগে জীবীত ছিলেন:

اَنَّ اَشَدَّ نَا وَثُبِةَ الَّذِىْ يَثِبُ قَبْرَ عُثْمَانَ اِبْنِ مَظْعُوْنٍ حَتّى يُجَاوِزَهُ

তখন আমাদের মধ্যে সেই বড় লম্ফদানকারী ছিলেন, যিনি উছমান ইবনে মযউনের কবরকে অতিক্রম করতে পারতেন।

মিশকাত শরীফের রেওয়ায়েত থেকে বোঝা গেল- হযরত উছমান ইবনে মযউনের কবরের মাথার দিকে পাথর ছিল এবং বুখারী শরীফের রেওয়াতে থেকে বোঝা যায় তাঁর কবরের উপরিভাগ ঐ পাথরের দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল। উভয় রেওয়ায়েতটা এভাবে একত্রিতকরণ করা যায় যে, মিশকাত শরীফে কবরের মাথার দিকে যেই পাথর স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে এর অর্থ হচ্ছে কবরের উপরই মাথার দিক থেকে এটা স্থাপন করা হয়েছে। বা ভাবার্থ এটাও হতে পারে যে কবরটা সম্পূর্ন উক্ত পাথরের ছিল, কিন্তু এ হাদীছে শুধু শিয়রের কথা উল্লেখ হয়েছে। এ দু’হাদীছ থেকে এটা প্রমাণিত হলো যে কোন বিশেষ কবরের চিহ্ন বহাল রাখার জন্য কবরকে কিছু উঁচু করে দেয়া হয় বা পাথর ইত্যাদি দ্বারা পাকা করে দেয়া হয়, তা জায়েয আছে, যেন বুঝতে পারা যায় যে এটা কোন বুযুর্গের কবর। এর আগে আরও দুটি মাসআলা জানা গেছে। অধিকন্তু ফকীহগণ বলেন- যদি মাটি নরম হয় এবং লোহা বা কাঠের বাক্সে লাশ রেখে দাফন করতে হয়, তাহলে ভিতরের অংশের চারিদিকে মাটির সাথে মিলিয়ে দিন। (ফতওয়ায়ে শামী, আলমগীরী ও অন্যান্য কিতাবের دفن الميت অধ্যায়ে দ্রষ্টব্য) এর থেকে আরও বোঝা গেল যে কবরের নিম্ন ভাগ কাঁচা হওয়া চাই। দুটি মাসায়েলই প্রমাণিত হলো।

(৩) উলামা মাশায়িখ ও আওলিয়া কিরামের মাযারের আশ-পাশে বা এর সন্নিকটে ইমারত তৈরী করা জায়েয। কুরআনে কারীম, সাহাবায়ে কিরাম ও সাধারণ মুসলমানদের আমল ও উলামায়ে কিরামের উক্তিসমূহ থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। কুরআন কারীম আসহাবে কাহাফের কাহিনী বর্ণনা প্রসংগে ইরশাদ করেন-

قَلَ الَّذِيْنَ غَلَبُوْا عَلى اَمْرِهِمْ لَنَتَّخِذَنَّ علَيْهِمْ مَسْجِدًا

তিনি বললেন, তাঁরা যে কাজে নিয়োজিত ছিলেন (ইবাদত বন্দেগীতে) তাঁদের সেই স্মৃতির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করা হবে। তফসীরে রূহুল বয়ানে এ আয়াতের بُنْيَانًا ব্যাখ্যা প্রসংগে উল্লেখিত আছে-

لَايَعْلَمُ اَحَدٌ تُرْبَتَهُمْ وَتَكُوْنُ مَحْفُوْظَةً مِنْ تَطَرُّقِ النَّاسِ كَمَا حُفِظَتْ تُرْبَتُ رَسُوْلِ اللهِ بِالْحَظِيْرَةِ

তাঁরা প্রস্তাব দিলেন, আসহাবে কাহাফের জন্য এমন একটি প্রাচির তৈরী করুন, যা তাদের কবরকে পরিবেষ্টিত করবে এবং তাদের মাযার সমূহ জনগণের আনাগোনা থেকে হিফাজতে থাকবে, যেমন হুযুর আলাইহিস সালামের রওযা পাককে চার দেয়ালের দ্বারা পরিবেষ্টিত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের এ প্রস্তাব আগ্রাহ্য হলো, মসজিদই নির্মাণ করা হলো। উক্ত রূহুল বয়ানে مَسْجِدًا এর তাফসীর এভাবে করা হয়েছে-

يُصَلِّىْ فِيْهِ الْمُسْلِمُوْنَ وَيَتَبَرَّ كُوْنَ بِمَكَانِهِمْ

জনগণ সেখানে নামায আদায় করবে এবং ওদের থেকে বরকত হাসিল করবে। কুরআন কারীম সেসব লোকদের দুটি বক্তব্য উল্লেখ করেছেন; এক আসহাবে কাহাফের আস্তানার পাশে গম্বুজ ও সমাধি তৈরী করার পরামর্শ; দুই, ওদের সন্নিকটে মসজিদ তৈরী করার সিদ্ধান্ত । কুরআন করীম কোনটাকে অস্বীকার করেননি। যার ফলে প্রতীয়মান হলো যে, উভয় কাজটা তখনও জায়েয ছিল এবং এখনও জায়েয আছে। যেমন উসুলের কিতাবসমূহ দ্বারা প্রমাণিত আছে- شَرَائِع قَبْلِنَا يَلْزِمُنَا (আগের যুগের শরীয়ত আমাদের জন্য পালনীয়) হুযুর আলাইহিস সালামকে হযরত মা আয়শা সিদ্দীকা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর কুটিরে দাফন করা হয়। যদি এটা নাজায়েয হতো, তাহলে সাহাবায়ে কিরাম প্রথমে ওটা ভেংগে ফেলতেন, অত:পর দাফন করতেন, কিন্তু তা করলেন না। হযরত উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) স্বীয় খিলাফতের যুগে এর চারিদিকে কাঁচা ইটের দেওয়াল তৈরী করে দিয়েছিলেন। অত:পর ওলিদ ইবনে আবদুল মালিকের যুগে সৈয়্যদেনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর সকল সাহাবায়ে কিরামের জীবীত থাকা অবস্থায় ঐ ইমারতটাকে খুবই মজবুত করেছেন এবং এতে পাথর স্থাপন করেছেন। যেমন সৈয়দ সমহুদী (রহমাতিল্লাহ) স্বীয় خلاصة الوفا باخبار دار المصطفے নামক কিতাবের ১০ম পরিচ্ছেদের ১৯৬ পৃষ্টায় হুযুরা সম্পর্কিত আলোচনায় লিপিবদ্ধ করেছেন-
বুখারী শরীফের প্রথম খন্ড কিতাবুল জানায়েযের مَاجَاءَ فِىْ قَبْرِالنَّبِىِّ وَاَبِىْ بَكْرِ وعُمَرَ শীর্ষক অধ্যায়ে হযরত ওরওয়াহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে- ওলিদ ইবনে আব্দুল মালিকের যুগে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের রাওদ্বা পাকের একটি দেওয়াল ধসে পড়ে গিয়েছিল। যখন
 اَخَذُوْا فِىْ بِنَائِه
 সাহাবায়ে কিরাম একে
 মেরামত করার কাজে নিয়োজিত হলেন-

فَبَدَتْ لَهُمْ قَدْم فَفَزِعُوْا وَظَنُّوْا اَنَّهَا قَدَمُ النَّبِىِّ عَلَيْهِ السَّلَامُ

তখন একটি পা দৃষ্টিগোচর হলো। এতে তাঁরা ঘাবড়ে গেলেন এবং মনে করলেন এটা হুযুর আলাইহিস সালামের পবিত্র কদম মোবারক।

حَتّى قَالَ لَهُمْ عُرْوَةُ لَا وَاللهِ مَاهِىَ قَدَمُ النَّبِىِّ عَلَيْهِ السَّلَام مَاهِىَ اِلَّا قَدَمَ عُمَرَ


শেষ পর্যন্ত হযরত ওরওয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, খোদার কসম, এটা হুযুর আলাইহিস সালামের কদম নয়, এটা হযরত উমর ফারুকের (রাদদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কদম।

“জযবুল কুলুব ইলা দেয়ারিল মাহবুব” গ্রন্থে শেখ আব্দুল হক (রহমাতুল্লাহ) লিপিবদ্ধ করেছেন যে, ৫৫০ হিজরীতে জামাল উদ্দিন ইষ্ফাহানী তথাকার উলামায়ে কিরামের উপস্থিতিতে দেয়ালের চারিদিকে চন্দন কাঠের জালী তৈরী করে দিয়েছিলেন এবং ৫৫৭ হিজরীতে কয়েকজন ইসায়ী ধার্মিকের ছদ্মবেশে মদীনা শরীফে এসেছিলেন এবং সুড়ংগ খনন করে লাশ (দেহ) মুবারক বের করে নিতে চেয়েছিলেন। হুযুর আলাইহিস সালাম তৎকালীন বাদশা নুরুদ্দিন জংগিকে তিনবার স্বপ্ন দেখালেন। অত:পর বাদশাহতাদেরকে কতল করার নির্দেশ দিলেন এবং রওযা পাকের চারিদিকে পানির স্তর পর্যন্ত ভিত্তি খনন করে সীসা ঢেলে একে ভরাট করে দিয়েছিলেন। আবার ৬৭৮ হিজরীতে সুলতান কালাউন সালেহী সবুজ গম্বুজটা, যা এখনও মওজুদ আছে, তৈরী করিয়েছিলেন।

উপরোক্ত ভাষ্য থেকে এটা বুঝা গেল যে, পবিত্র রওযা মুবারক সাহাবায়ে কিরাম তৈরী করিয়েছিলেন। যদি কেউ বলে, এটাতো হুযুর আলাইহিস সালামের বিশেষত্ব, এর উত্তরে বলা যাবে, এ রওযা শরীফে হযরত সিদ্দীকে আকবর (রাদ্বিয়াল্লাহ) ও হযরত উমর (রাদদ্বিয়াল্লাহ আনহু) কেও দাফন করা হয়েছে এবং হযরত ঈসা (আলাইহাসসালাম) কেও দাফন করা হবে। সুতরাং এটা হযুর আলাইহিস সালামের বৈশিষ্ট বলা যায় না। বুখারী শরীফের প্রথম খন্ড কিতাবুল জানায়েয এবং মিশকাত শরীফের البكاء على الميت শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে, যখন হযরত ইমাম হাসান ইবনে আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) ইন্তিকাল করেছিলেন- ضَرَبَتْ اِمْرَ أتُه الْقُبَّةَ عَلى قَبْرِه سَنَة তখন তাঁর স্ত্রী তাঁর কবরের উপর এক বছর পর্যন্ত গম্বুজ বিশিষ্ট ঘর তৈরী করে রেখেছেলেন।

এটাও সাহাবায়ে কিরামের যুগে সবার বর্তমানে হয়েছিল। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেন নি। অধিকন্তু তাঁর স্ত্রী ওখানে একবছর পর্যন্ত অবস্থান করেছিলেন, অত:পর ঘরে ফিরে আসেন। এ হাদীছ থেকে বুযুর্গানে কিরামের মাযার সমূহের কাছে খাদিমের অবস্থান করাটাও প্রমাণিত হলো। এ পর্যন্ত কুরআন হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত করা হলো। এবার ফকীহ, মুহাদ্দীছ, তাফসীরকারীগণের উক্তি সমূহ প্রত্যক্ষ করুন।

রূহুল বয়ানের তৃতীয় খন্ডে দশম পারায় اِنَّمَا يَعْمُرَ مَسَجِدَ اللهِ مَنْ اَمَنَ بِاللهِ এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন।

উলামা, আওলিয়া ও বুযুর্গানে কিরামের কবরের উপর ইমারত তৈরী করা জায়েয যদি মানুষের মনে শ্রেষ্ঠতম ধারণা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে; যাতে লোকেরা ঐ কবরবাসীকে নগণ্য মনে না করে।

মিরকাত শরহে মিশকাতের কিতাবুল জানায়েযে دفن الميت অধ্যায়ে বর্ণিত আছে-।

পোস্ট করেছি আমি হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন

ফেইসবোকে আমাকে পেতে নিল লেখায় ক্লিক করুন। ফেইসবোকে আমি


শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৬

দেখুন কত বড় সাহস এই হিন্দু স্যামল চক্রবর্তী'র সে বলে কি না বাংলাদেশেও যেন গরু জবেহ করা বন্দ করা হয়,৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে এইরকম কথা বলার সাহস তার কি করে হলো।

এই হিন্দু মালাউন বলে বাংলাদেশ থেকে যেনো গরু জবেহ করা বন্দ করা হয়, কত বড় সাহস তার ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে এই কথা বলার সাহস তার কি করে হলো, আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কে বলতে চাই, ওকে আপনি আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিন, কারন সে ধর্মের উপর আঘাত এনেছে,গরু জবেহ (কোরবানিতে) এটা আমাদের ধর্মীয় রীতি, গোটা বাংলার মুসলমানের মধ্যে যাদের বোকে একটুও ইসলামের উপর মহব্বত আছে সে চাইবে যেনো অর শাস্তি হয়, আর আমরা যানি আপনিও ইসলাম কে অনেক ভালোবাসেন তাই বলতেছি দয়া করে আপনি এই মালাউন টাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্তা করুন, আমি জানি এই লেখাটা আপনার কাছে যাবে, আর সকল মুসলিম ভাইদের বলছি, আপনারা সকলে এই মালাউনের শাস্তির আবেদন করুন, আর আমার পক্ষ থেকে মালাউন কে বলতে চাই, এই মালাউন তোমার যদি ভালো লাগেনা তাহলে ইন্ডিয়া চলে যাও,।।।

এই হিন্দুকে বাংলাদেশে দেখতে চাই না

২৭ শে আগস্ট, শহিদ ফারুকী (রঃ) এর ওয়াফাত দিবস, তিনি ছিলেন সুন্নিয়তের বীর মুজাহিদ।

আমরা জানতে চাই তাহার খুনীদের কেনো এখনো গ্রেপ্তার করে ফাসি দেওয়া হলোনা,


আগামীকাল, সেই ঐতিহাসিক দিন যে দিন সুন্নিয়তের কর্ণধার, আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকী, সাহেব কে শহীদ করা হয়েছিলো, তিনি ছিলেন সুন্নিয়তের, উজ্জল নক্ষত্র, তার অবদান রয়েযাবে চিরদিন,তাহার, এক বক্তব্যে ভরে উঠতো আসিক্বে রাসূলের মন, তাহার বক্তব্যে ফুটে উঠতো রাসূল প্রেম, এবং ওলী প্রেম, সমস্ত জীবন তিনি সুন্নিয়তের কাজে নিয়োজিতো করে দিয়ে ছিলেন, তিনি বলে ছিলেন, ""আমি গাড়ি ছাড়তে পারি,বাড়ি ছাড়তে পারি, আমি দুনিয়া ছাড়তে পারি, আমি গোটা দুনিয়া ছাড়তে পারি, তবুও আমার রসুল কে আমি ভুলতে পারবোনা""  তার এই কথা-ই বাস্তব হলো তিনি রাসূল প্রেমে আসক্ত হয়ে চলেগেলেন মাওলার কাছে, আমরা তার খুনি দের ফাসি চাই,


বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬

দেখুন, ভূমিকম্প কী ও কেনো হয়? কোরান ও হাদিস,এবং বিজ্ঞান সম্মত দলীল।

★ভূমিকম্প★
.
ভুমিকম্প কী?
ভূমিকম্প কেন হয়??
এর বৈজ্ঞানিক বা ধর্মীয় ব্যাখ্যা কী???
.
ভূমিকম্প কী?
 সহজ ভাষায় বলতে গেলে, পৃথিবী যখন কাঁপা কাঁপি করে , তখন তাকে ভূমিকম্প বলা হয়। প্রকৃতির নিয়মে মাটির নিচে সৃষ্ট আলোড়নের কারণে ভূ-পৃষ্ঠের কোনো কোনো অংশ হঠাৎ কেঁপে ওঠে। আর এই কেঁপে ওঠাকেই আমরা বলি ভূমিকম্প। অনুমান করা হয়, প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ বার বা আরও বেশি বার ভূমিকম্প হয় । আর এগুলোর ভিতর হয়ত মানুষ ১ ভাগ বুঝতে পারে। অনেক সময়ই সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হয়, সেই গুলা অনেক সময় বুঝতে পারিনা । তবে সাগর তলে বড় সড় ভূমিকম্প হলে সুনামি হতে পারে।
.
ভুমিকম্প কেন হয়?
ধর্মীয় ব্যাখ্যা :
আবু হুরাইরা (রা.) কতৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে, কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে কিন্তু তার খিয়ানত করা হবে (অর্থাৎ যার সম্পদ সে আর ফেরত পাবে না), জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে, ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত বিদ্যা অর্জন করা হবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে কিন্তু তার মায়ের সাথে বিরূপ আচরণ করবে, বন্ধুকে কাছে টেনে নিবে আর পিতাকে দূরে সরিয়ে দিবে, মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল (কথাবার্ত) হবে, জাতির সবচেয়ে দূর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসক রুপে আবির্ভূত হবে, সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি জনগণের নেতা হবে, একজন মানুষ যে খারাপ কাজ করে খ্যাতি অর্জন করবে তাকে তার খারাপ কাজের ভয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হবে, বাদ্যযন্ত্র এবং নারী শিল্পীর ব্যাপক প্রচলন হয়ে যাবে, মদ পান করা হবে (বিভিন্ন নামে মদ ছড়িয়ে পড়বে), শেষ বংশের লোকজন তাদের পূর্ববর্তী মানুষগুলোকে অভিশাপ দিবে, এমন সময় আসবে যখন তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে তখন একটি ভূমিকম্প সেই ভূমিকে তলিয়ে দিবে (ধ্বংস স্তুপে পরিণত হবে বা পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাবে)।
তিরমিযি কতৃক বর্ণিত, হাদিস নং – ১৪৪৭] এই হাদিসের মাঝে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে যে আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে জমিনে কখন ভুমিকম্পের আজাব প্রদান করা হয় এবং কেন প্রদান করা হয়।
 -ভূমিকম্প নিয়ে পবিত্র ক্বোরআনের কয়েকটি আয়াতের উদ্ধৃতি:
১। অতঃপর পাকড়াও করল তাদেরকে ভূমিকম্প। ফলে সকাল বেলায় নিজ নিজ গৃহে উপুড় হয়ে পড়ে রইল। (আল আ’রাফঃ৭৮)
২। অনন্তর পাকড়াও করল তাদেরকে ভূমিকম্প। ফলে তারা সকাল বেলায় গৃহ মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে রইল। (আল আ’রাফঃ ৯১
৩। কিন্তু তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলল; অতঃপর তারা ভূমিকম্প দ্বারা আক্রান্ত হল এবং নিজেদের গৃহে উপুড় হয়ে পড়ে রইল। (আল আনকাবুতঃ ৩৭)
৪। অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে পৌঁছাল, তখন আমি উক্ত জনপদকে উপরকে নীচে করে দিলাম এবং তার উপর স্তরে স্তরে কাঁকর পাথর বর্ষণ করলাম। (হুদঃ ৮২
৫। অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর কঙ্করের প্রস্থর বর্ষণ করলাম। (আল হিজরঃ৭৪)
৬। তিনিই (আল্লাহ) জনপদকে শুন্যে উত্তোলন করে নিক্ষেপ করেছেন। (আন নাজমঃ৫৩
৭। আর মূসা বেছে নিলেন নিজের সম্প্রদায় থেকে সত্তর জন লোক আমার প্রতিশ্রুত সময়ের জন্য। তারপর যখন তাদেরকে ভূমিকম্প পাকড়াও করল, তখন বললেন, হে আমার পরওয়ারদেগার, তুমি যদি ইচ্ছা করতে, তবে তাদেরকে আগেই ধ্বংস করে দিতে এবং আমাকেও। আমাদেরকে কি সে কর্মের কারণে ধ্বংস করছ, যা আমার সম্প্রদায়ের নির্বোধ লোকেরা করেছে? এসবই তোমার পরীক্ষা; তুমি যাকে ইচ্ছা এতে পথ ভ্রষ্ট করবে এবং যাকে ইচ্ছা সরলপথে রাখবে। তুমি যে আমাদের রক্ষক-সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের উপর করুনা কর। তাছাড়া তুমিই তো সর্বাধিক ক্ষমাকারী। (আল আ’রাফঃ১৫৫
৮। যেদিন (কেয়ামতের দিন) প্রকম্পিত করবে প্রকম্পিতকারী, (আন নাজিয়াতঃ ৬
৯। যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী। এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা। (আল ওয়াক্বিয়াঃ৪-৬
১০। সেদিন আকাশ প্রকম্পিত হবে প্রবলভাবে। এবং পর্বতমালা হবে চলমান, (আত তুরঃ৯-১০)
১১। যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে, যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ? সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে। (আয যিলযালঃ১-৪)
১২। যেদিন পৃথিবী পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে এবং পর্বতসমূহ হয়ে যাবে বহমান বালুকাস্তুপ। (আল মুযযাম্মিলঃ১৪)
১৩। হে লোক সকল! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার। (আল হাজ্জ্বঃ১)
.
আয়াতগুলোকে দুভাগে বিভক্ত করা যায়। ১-৭ পর্যন্ত আয়াতগুলোতে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে আল্লাহ তায়ালার আদেশ অমান্য করার কারণে শাস্তির কথা রয়েছে। তম্মধ্যে ৪,৫,৬ নং আয়াতগুলো একটি ঐতিহাসিক ঘঠনার বর্ণনা করে।
তাহলো, আমরা জর্দানের সেই Death Sea বা মৃত সাগরের নাম শুনেছি যাতে কোন মাছ বাঁচতে পারে না এবং সাঁতার ছাড়া মানুষ শুয়ে থাকতে পারে কিন্তু ডুবে না। ঐ এলাকাটি ছিল আল্লাহর প্রেরিত রাসূল হযরত লূত (আঃ) এর। তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্যে সমকামিতা ছিল অতি সাধারণ একটি ব্যাপার। লূত (আঃ) তাঁদেরকে অনেক উপদেশ দেয়ার পরও ঐ কাজ থেকে তাদেরকে ফেরাতে পারেন নি। অবশেষে আল্লাহ লূত (আঃ) কে তাঁর অনুসারীদের নিয়ে রাত শেষ হওয়ার আগেই জনপদ ছেড়ে চলে যাওয়ার আদেশ দিলেন। লূত (আঃ) তাই করলেন এবং ঐ রাতেই আল্লাহ জনপদটিকে উল্ঠিয়ে দিলেন যার ফলে নিচের খনিজ লবন ও অন্যান্য উপাদান উপরে উঠে আসে এবং উপরের সবকিছু ভূ-গর্ভে চলে যায়। সৃষ্টি হয় আজকের Death Sea বা মৃত সাগর (বিস্তারিত আলোচনা হাদিস আর সংশ্লিষ্ট সূরাগুলোতে রয়েছে) । বিজ্ঞানীদের মতে ঐ সাগরের পানিতে লবণের ঘনত্ব এত বেশি যে তাতে কোন প্রাণী বেঁচে থাকা অসম্ভব।
৮-১৩ আয়াতগুলো কেয়ামতের দিনটি কী রকম হবে, পৃথিবীতে কী ঘঠবে তার একটি বর্ণনা মাত্র। অর্থাৎ কেয়ামতের দিন যে সব ঘঠনাবলী ঘঠবে তার অন্যতম একটি হলো ভূমিকম্প। পবিত্র ক্বোরআন আর হাদীসের বর্ণনা মতে কেয়ামতের দিন প্রচন্ড ভূমিকম্প হবে যা দেখে মানুষ ভীত-সন্ত্রস্থ হয়ে এদিক উদিক পালাতে শুরু করবে। উক্ত আয়াতগুলো দ্বারা বুঝা যায় যে, ভূমিকম্প সৃষ্টিকর্তার আদেশে সংঘঠিত একটা ঘঠনা। পবিত্র ক্বোরআনের মতে, পৃথিবীর শুরু থেকেই আল্লাহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে অসংখ্য নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন এবং তাঁদের মাধ্যমে তাঁদের সম্প্রদায়কে আদেশ-উপদেশ দিতেন। যারা নবী-রাসূলের বিরুদ্ধে গেছে, আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছে আল্লাহ তাদেরকে বিভিন্নভাবে শাস্তি প্রদান করেছেন। বজ্রপাত, প্লাবন, ঘূর্ণিঝড়, প্রস্তরসহ বায়ু, জীবানুযুক্ত বায়ু, ভূমিকম্প, মহামারি রোগ, দুর্ভিক্ষ সহ অসংখ্য শাস্তির কথা পবিত্র ক্বোরআনে রয়েছে। এছাড়া কাউকে আবার পানিতে ডুবিয়ে মারা হয়েছে। যেমন বর্তমানে মিশরের জাদুঘরে রক্ষিত ফেরাউন তার একটি জলন্ত উদাহরন। আল্লাহ ফেরাউন ও তার বাহিনীকে নীলনদে ডুবিয়ে মেরেছিল। এ ব্যাপারে সূরা ইউনূস, সূরা আল আ’রাফ, সূরা ত্বোহা সহ পবিত্র ক্বোরআনের বিভিন্ন জায়গায় এবং হাদীসে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এসব শাস্তি যেমন অপরাধের জন্য সাজা তেমনি পরবর্তী সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, যাতে তারা সৃষ্টিকর্তাকে চিনতে পারে। ক্বোরআন আর হাদীস ব্যাখ্যামতে পাপাচারের কারণে আল্লাহ কোন জনবসতিতে এ ধরনের শাস্তি প্রদান করে থাকেন।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ
জ্ঞানের বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া মতে “ ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীরনের জন্য যে
শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হটাৎ মুক্তি
ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষনিকের জন্য কেঁপে ওঠে
এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ও ক্ষনস্থায়ী
কম্পনকে ভূমিকম্প (Earthquake) বলে। কম্পন-
তরঙ্গ থেকে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তা
ভূমিকম্পের মধ্যমে প্রকাশ পায়। এই তরঙ্গ
ভূ-গর্ভের কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে উৎপন্ন
হয় এবং উৎসস্থল থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে
পরে। পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেখান থেকে
ভূকম্প-তরঙ্গ উৎপন্ন হয়, তাকে ভূমিকম্পের
কেন্দ্র বলে। এই কেন্দ্র থেকে কম্পন ভিন্ন
ভিন্ন তরঙ্গের মাধ্যমে সব দিকে ছরিয়ে
পড়ে। শিলার পীড়ন-ক্ষমতা সহ্যসীমার
বাহিরে চলে গেলে শিলায় ফাটল ধরে ও
শক্তির মুক্তি ঘটে। তাই প্রায়শই
ভূমিকম্পের কেন্দ্র চ্যুতিরেখা অংশে
অবস্থান করে। সাধারনত ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৬
কিমি.-র মধ্যে এই কেন্দ্র অবস্থান করে।
তবে ৭০০ কিমি. গভীরে গুরুমণ্ডল (Mantle)
থেকেও ভূ-কম্পন উত্থিত হতে পারে ”।
.
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
আমিন:::

Posted By : হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন
ফেইসবোকে আমি 


কাউন্সিল ২০১৬ ইংরেজী, ছাতক উপজেলা (উত্তর)তালামীয শাখা

আসসালামু আলাইকুম
  আগামী ৩১ শে আগস্ট ২০১৬ ইং ঃ রোজ ঃ বুধবার
বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামিয়া ছাতক উপজেলা (উত্তর) শাখা',র কাউন্সিল,
সময়ঃ বেলাঃ ১১ ঘটিকা,
স্থানঃ ছাতক প্রেসক্লাব, ক্লাব রোড ছাতক,।।
প্রচারেঃ হাফিজ নাছির উদ্দিন (ত্বহা)
সাংঠনিক সম্পাদকঃ গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক শাখা।


পীর ও মুর্শীদ কে কেনো ক্বিবলা বলি।আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর আক্বিদা।

পীর ও মুরশিদকে কেন কিবলাহ বলি।
*************************** আহলে
সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীরা
স্বীয় পীর মুর্শিদকে কিবলাহ বলে
সম্বোধন করি | কিন্তু আমাদের সমাজে
অনেক অলি আউলিয়া বিরোধী মুসলমান
আছেন যারা এই বিষয়টার উপর ঘোর
আপত্তি তুলেন এবং বেহুসের মত শিরকের
ফাতওয়াও দিয়ে দেন ! উনাদের দাবি
মুসলমানদের কিবলাহ একটাই এবং সেটা
বায়তুল্লাহ শরীফ | বায়তুল্লাহ ছাড়া আর
কোন কিবলাহ থাকতে পারেনা !
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন কিবলাহ
অর্থ সম্মুখ | এখন আসুন ঐ সকল মুসলমান ভাইদের
দাবি কতটুকু সত্য তা যাচাই করার জন্য
একটু দলিলের সাহায্য নেই | বিশ্ব
বিখ্যাত ফাতওয়ার কিতাব দুররুল
মুখতারের ২৫৯ পৃষ্ঠা এবং রাদ্দুল মুহতার
বা ফাতওয়ায়ে শামী’র কিবলাহ
অধ্যায়ে ৫ টি অর্থে কিবলাহ এর ব্যবহার
করা হয়েছে : ১. আল্লাহ ছাড়া সকল
মাখলুকাতের কিবলাহ হচ্ছেন নবীজি
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম | ২. মা বাবা হচ্ছেন
সন্তানের কিবলাহ ৩. নামাজের
কিবলাহ হচ্ছে বায়তুল্লাহ | ৪. দোয়ার
কিবলাহ হচ্ছে আসমান | ৫. মুরশিদ হচ্ছেন
মুরিদের কিবলাহ অতএব দলিল দ্বারা
প্রমান হয়ে গেল মুর্শিদকে কিবলাহ
বলা সম্পূর্ণ জায়েজ | এখানে আবার
অনেকে প্রশ্ন তুলেন কোরআন সুন্নাহ
ছাড়া কোন দলিল মানিনা ! কিন্তু
মুসলমানের দলিল তো আর শুধু কোরআন আর
সুন্নাহ নয় , ইজমাহ ও কিয়াস ও আছে | আর
ফাতওয়ার কিতাব যদি আপনি না
মানেন তাহলে আপনাকে মুসলমানই বলা
যাবেনা | কেননা শরীয়তের কঠিন
বিষয়গুলোর ফায়সালা ফাতওয়ার
মাধ্যমেই হয়ে থাকে | ফাতওয়ার
কিতাব পড়াশুনা করেই আলেম মুফতি হতে
হয় | যদি কেউ বলেন আমি ফতওয়ার
কিতাবকে দলিল হিসেবে মানিনা
তাহলে উনাকে বলবো ভাই আপনার বউ
তালাকের দলিলটা কোরআন হাদিসেই
তালাশ করবেন দয়া করে কোন মুফতি
আলেমের কাছে যাবেন না ফাতওয়া
নিতে !
★★হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন ★★
ফেইসবোকে পেতে নিল লেখাতে ক্লিক করুন
ফেইসবোকে আমি

শুখবর, আগামী ২৬ শে আগস্ট, টেলিভিশনে ইসলামি প্রোগ্রামে আসছেন, আল্লামা ছুটো ছাহেব ক্বিবলা ফুলতলী। বিস্তারিত পরতে ক্লিক করুন।

শুখবর,শুখবর, শুখবর, আগামি শুক্রবার, (২৬ শে আগস্ট) একুশে টেলিভিশনের পর্দায়, ইসলামিক প্রোগ্রামে আসছেন, আমদের নয়নমনি, উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলি আল্লামা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলা, (রাঃ) এর ছোটো ছাহেবজাদা, আল্লামা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।
অনুস্টানের সময়, দুপুরঃ ১২ টা থেকে,১ টা পর্যন্ত
বিষয়ঃ মানবতার ধর্ম ইসলাম
পরবর্তী প্রোগ্রাম চ্যানেল ২৪ শে প্রোগ্রামের সময় জানতে আমার সাথেই থাকুন
ফেইসবোকে আমাকে পেতে নিল লেখাতে ক্লিক করুন, ফেইসবোকে আমি






বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৬


সিলসিলায়ে ফুলতলী

, মুজাহিদুল ইসলাম বুলবুল ভাইয়ের কন্ঠে মায়াবী কাছিদা। আমি ভয় পাইনা।।

 মুজাহিদুল ইসলাম বুলবুল ভাইয়ের কন্ঠে মায়াবী গজল শুনে দেখুন প্রানটা শীতল হয়েযাবে।

কোরবানির মাসায়েল, সহি হাদিস থেকে ৭০ টি দলিল, দেখুন কার জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব

সামর্থবান ব্যাক্তির উপরে কোরবানী করা ওয়াজিব।

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫

ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরি। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল অনুযায়ী সম্পাদন করা। এ উদ্দেশ্যে এখানে কুরবানীর কিছু জরুরি মাসায়েল উল্লেখ হল।

কার উপর কুরবানী ওয়াজিব

মাসআলা : ১. প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫

নেসাবের মেয়াদ

মাসআলা ২. কুরবানীর নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়; বরং কুরবানীর তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী ওয়াজিব হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২

কুরবানীর সময়

মাসআলা : ৩. মোট তিনদিন কুরবানী করা যায়। যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে যিলহজ্বের ১০ তারিখেই কুরবানী করা উত্তম। -মুয়াত্তা মালেক ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮, ২৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫

নাবালেগের কুরবানী

মাসআলা : ৪. নাবালেগ শিশু-কিশোর তদ্রূপ যে সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন নয়, নেসাবের মালিক হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। অবশ্য তার অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬

মুসাফিরের জন্য কুরবানী

মাসআলা : ৫. যে ব্যক্তি কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে (অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। -ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫

নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী

মাসআলা : ৬. নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া অভিভাবকের উপর ওয়াজিব নয়; বরং মুস্তাহাব।-রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৫; ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫

দরিদ্র ব্যক্তির কুরবানীর হুকুম

মাসআলা : ৭. দরিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কুরবানীর নিয়তে কোনো পশু কিনে তাহলে তা কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯২

কুরবানী করতে না পারলে

মাসআলা : ৮. কেউ যদি কুরবানীর দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে ছিল, কিন্তু কোনো কারণে কুরবানী দেওয়া হয়নি তাহলে ঐ পশু জীবিত সদকা করে দিবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৪, ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫

প্রথম দিন কখন থেকে কুরবানী করা যাবে

মাসআলা : ৯. যেসব এলাকার লোকদের উপর জুমা ও ঈদের নামায ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাযের আগে কুরবানী করা জায়েয নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামায না হয় তাহলে ঈদের নামাযের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কুরবানী করা জায়েয।-সহীহ বুখারী ২/৮৩২, কাযীখান ৩/৩৪৪, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮

রাতে কুরবানী করা

মাসআলা : ১০. ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতেও কুরবানী করা জায়েয। তবে দিনে কুরবানী করাই ভালো। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৪৯২৭; মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২২, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, কাযীখান ৩/৩৪৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত পশু সময়ের পর যবাই করলে

মাসআলা : ১১. কুরবানীর দিনগুলোতে যদি জবাই করতে না পারে তাহলে খরিদকৃত পশুই সদকা করে দিতে হবে। তবে যদি (সময়ের পরে) জবাই করে ফেলে তাহলে পুরো গোশত সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোশতের মূল্য যদি জীবিত পশুর চেয়ে কমে যায় তাহলে যে পরিমাণ মূল্য হ্রাস পেল তা-ও সদকা করতে হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০২, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০-৩২১

কোন কোন পশু দ্বারা কুরবানী করা যাবে

মাসআলা : ১২. উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ, বন্যগরু ইত্যাদি দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫

নর ও মাদা পশুর কুরবানী

মাসআলা : ১৩. যেসব পশু কুরবানী করা জায়েয সেগুলোর নর-মাদা দুটোই কুরবানী করা যায়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫

কুরবানীর পশুর বয়সসীমা

মাসআলা : ১৪. উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে।

উল্লেখ্য, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই তা দ্বারা কুরবানী জায়েয হবে না। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫-২০৬

এক পশুতে শরীকের সংখ্যা

মাসআলা : ১৫. একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কুরবানী দিতে পারবে। এমন একটি পশু কয়েকজন মিলে কুরবানী করলে কারোটাই সহীহ হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারবে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না। -সহীহ মুসলিম ১৩১৮, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৯, কাযীখান ৩/৩৪৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭-২০৮

সাত শরীকের কুরবানী

মাসআলা : ১৬. সাতজনে মিলে কুরবানী করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরীকের কুরবানীই সহীহ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭

মাসআলা : ১৭. উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কুরবানী করা জায়েয। -সহীহ মুসলিম ১৩১৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭

কোনো অংশীদারের গলদ নিয়ত হলে

মাসআলা : ১৮. যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯

কুরবানীর পশুতে আকীকার অংশ

মাসআলা : ১৯. কুরবানীর গরু, মহিষ ও উটে আকীকার নিয়তে শরীক হতে পারবে। এতে কুরবানী ও আকীকা দুটোই সহীহ হবে।-তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/১৬৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬২

মাসআলা : ২০. শরীকদের কারো পুরো বা অধিকাংশ উপার্জন যদি হারাম হয় তাহলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না।

মাসআলা : ২১. যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কুরবানী দেওয়ার নিয়তে কিনে আর সে ধনী হয় তাহলে ইচ্ছা করলে অন্যকে শরীক করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে একা কুরবানী করাই শ্রেয়। শরীক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরীব হয়, যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, তাহলে সে অন্যকে শরীক করতে পারবে না। এমন গরীব ব্যক্তি যদি কাউকে শরীক করতে চায় তাহলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিবে।-কাযীখান ৩/৩৫০-৩৫১, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০

কুরবানীর উত্তম পশু

মাসআলা : ২২. কুরবানীর পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম।-মুসনাদে আহমদ ৬/১৩৬, আলমগীরী ৫/৩০০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

খোড়া পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৩. যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন পশুর কুরবানী জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩, আলমগীরী ৫/২৯৭

রুগ্ন ও দুর্বল পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৪. এমন শুকনো দুর্বল পশু, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না তা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, আলমগীরী ৫/২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪

দাঁত নেই এমন পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৫. যে পশুর একটি দাঁতও নেই বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না এমন পশু দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয নয়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫, আলমগীরী ৫/২৯৮

যে পশুর শিং ভেঙ্গে বা ফেটে গেছে

মাসআলা : ২৬. যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে, যে কারণে

মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। পক্ষান্তরে যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি সে পশু কুরবানী করা জায়েয। -জামে তিরমিযী ১/২৭৬, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৪, আলমগীরী ৫/২৯৭

কান বা লেজ কাটা পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৭. যে পশুর লেজ বা কোনো কান অর্ধেক বা তারও বেশি কাটা সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। আর যদি অর্ধেকের বেশি থাকে তাহলে তার কুরবানী জায়েয। তবে জন্মগতভাবেই যদি কান ছোট হয় তাহলে অসুবিধা নেই। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, মুসনাদে আহমদ ১/৬১০, ইলাউস সুনান ১৭/২৩৮, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ৫/২৯৭-২৯৮

অন্ধ পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৮. যে পশুর দুটি চোখই অন্ধ বা এক চোখ পুরো নষ্ট সে পশু কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪

নতুন পশু ক্রয়ের পর হারানোটা পাওয়া গেলে

মাসআলা : ২৯. কুরবানীর পশু হারিয়ে যাওয়ার পরে যদি আরেকটি কেনা হয় এবং পরে হারানোটিও পাওয়া যায় তাহলে কুরবানীদাতা গরীব হলে (যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) দুটি পশুই কুরবানী করা ওয়াজিব। আর ধনী হলে কোনো একটি কুরবানী করলেই হবে। তবে দুটি কুরবানী করাই উত্তম। -সুনানে বায়হাকী ৫/২৪৪, ইলাউস সুনান ১৭/২৮০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৯, কাযীখান ৩/৩৪৭

গর্ভবতী পশুর কুরবানী

মাসআলা : ৩০. গর্ভবতী পশু কুরবানী করা জায়েয। জবাইয়ের পর যদি বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সেটাও জবাই করতে হবে। তবে প্রসবের সময় আসন্ন হলে সে পশু কুরবানী করা মাকরূহ। -কাযীখান ৩/৩৫০

পশু কেনার পর দোষ দেখা দিলে

মাসআলা : ৩১. কুরবানীর নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি তাতে এমন কোনো দোষ দেখা দেয় যে কারণে কুরবানী জায়েয হয় না তাহলে ওই পশুর কুরবানী সহীহ হবে না। এর স্থলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। তবে ক্রেতা গরীব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানী করতে পারবে। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ফাতাওয়া নাওয়াযেল ২৩৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫

পশুর বয়সের ব্যাপারে বিক্রেতার কথা

মাসআলা : ৩২. যদি বিক্রেতা কুরবানীর পশুর বয়স পূর্ণ হয়েছে বলে স্বীকার করে আর পশুর শরীরের অবস্থা দেখেও তাই মনে হয় তাহলে বিক্রেতার কথার উপর নির্ভর করে পশু কেনা এবং তা দ্বারা কুরবানী করা যাবে। -আহকামে ঈদুল আযহা, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ. ৫

বন্ধ্যা পশুর কুরবানী

মাসআলা : ৩৩. বন্ধ্যা পশুর কুরবানী জায়েয। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫

নিজের কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা

মাসআলা : ৩৪. কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা উত্তম। নিজে না পারলে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এক্ষেত্রে কুরবানীদাতা পুরুষ হলে জবাইস্থলে তার উপস্থিত থাকা ভালো। -মুসনাদে আহমদ ২২৬৫৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২২-২২৩, আলমগীরী ৫/৩০০, ইলাউস সুনান ১৭/২৭১-২৭৪

জবাইয়ে একাধিক ব্যক্তি শরীক হলে

মাসআলা : ৩৫. অনেক সময় জবাইকারীর জবাই সম্পন্ন হয় না, তখন কসাই বা অন্য কেউ জবাই সম্পন্ন করে থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই উভয়কেই নিজ নিজ যবাইয়ের আগে‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়তে হবে। যদি কোনো একজন না পড়ে তবে ওই কুরবানী সহীহ হবে না এবং জবাইকৃত পশুও হালাল হবে না। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩৩৪

কুরবানীর পশু থেকে জবাইয়ের আগে উপকৃত হওয়া

মাসআলা : ৩৬. কুরবানীর পশু কেনার পর বা নির্দিষ্ট করার পর তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয নয়। যেমন হালচাষ করা, আরোহণ করা, পশম কাটা ইত্যাদি।সুতরাং কুরবানীর পশু দ্বারা এসব করা যাবে না। যদি করে তবে পশমের মূল্য, হালচাষের মূল্য ইত্যাদি সদকা করে দিবে।-মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, নায়লুল আওতার ৩/১৭২, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০০

কুরবানীর পশুর দুধ পান করা

মাসআলা : ৩৭. কুরবানীর পশুর দুধ পান করা যাবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর

কষ্ট হবে না বলে মনে হয় তাহলে দোহন করবে না। প্রয়োজনে ওলানে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দেবে। এতে দুধের চাপ কমে যাবে। যদি দুধ দোহন করে ফেলে তাহলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজে পান করে থাকলে মূল্য সদকা করে দিবে। -মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭,

রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৯, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১

কোনো শরীকের মৃত্যু ঘটলে

মাসআলা : ৩৮. কয়েকজন মিলে কুরবানী করার ক্ষেত্রে জবাইয়ের আগে কোনো শরীকের মৃত্যু হলে তার ওয়ারিসরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করার অনুমতি দেয় তবে তা জায়েয হবে। নতুবা ওই শরীকের টাকা ফেরত দিতে হবে। অবশ্য তার

স্থলে অন্যকে শরীক করা যাবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৬, কাযীখান ৩/৩৫১

কুরবানীর পশুর বাচ্চা হলে

মাসআলা : ৩৯. কুরবানীর পশু বাচ্চা দিলে ওই বাচ্চা জবাই না করে জীবিত সদকা করে দেওয়া উত্তম। যদি সদকা না করে তবে কুরবানীর পশুর সাথে বাচ্চাকেও জবাই করবে এবং গোশত সদকা করে দিবে।-কাযীখান ৩/৩৪৯, আলমগীরী ৫/৩০১, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩

মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী

মাসআলা : ৪০. মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করা জায়েয। মৃত ব্যক্তি যদি ওসিয়ত না করে থাকে তবে সেটি নফল কুরবানী হিসেবে গণ্য হবে। কুরবানীর স্বাভাবিক গোশতের মতো তা নিজেরাও খেতে পারবে এবং আত্মীয়-স্বজনকেও দিতে পারবে। আর যদি মৃত ব্যক্তি কুরবানীর ওসিয়ত করে গিয়ে থাকে তবে এর গোশত নিজেরা খেতে পারবে না। গরীব-মিসকীনদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে। -মুসনাদে আহমদ ১/১০৭, হাদীস ৮৪৫, ইলাউস সুনান ১৭/২৬৮, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, কাযীখান ৩/৩৫২

কুরবানীর গোশত জমিয়ে রাখা

মাসআলা : ৪১. কুরবানীর গোশত তিনদিনেরও অধিক জমিয়ে রেখে খাওয়া জায়েয।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, সহীহ মুসলিম ২/১৫৯, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৮, ইলাউস সুনান ১৭/২৭০

কুরবানীর গোশত বণ্টন

মাসআলা : ৪২. শরীকে কুরবানী করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েয নয়।-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭, কাযীখান ৩/৩৫১

মাসআলা : ৪৩. কুরবানীর গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। অবশ্য পুরো গোশত যদি নিজে রেখে দেয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০

গোশত, চর্বি বিক্রি করা

মাসআলা : ৪৪. কুরবানীর গোশত, চর্বি ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েয নয়। বিক্রি করলে পূর্ণ মূল্য সদকা করে দিতে হবে। -ইলাউস সুনান ১৭/২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১

জবাইকারীকে চামড়া, গোশত দেওয়া

মাসআলা : ৪৫. জবাইকারী, কসাই বা কাজে সহযোগিতাকারীকে চামড়া, গোশত বা কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েয হবে না। অবশ্য পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়ার পর পূর্বচুক্তি ছাড়া হাদিয়া হিসাবে গোশত বা তরকারী দেওয়া যাবে।

জবাইয়ের অস্ত্র

মাসআলা : ৪৬. ধারালো অস্ত্র দ্বারা জবাই করা উত্তম।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

পশু নিস্তেজ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা

মাসআলা : ৪৭. জবাইয়ের পর পশু

নিস্তেজ হওয়ার আগে চামড়া খসানো বা অন্য কোনো অঙ্গ কাটা মাকরূহ। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

অন্য পশুর সামনে জবাই করা

মাসআলা : ৪৮. এক পশুকে অন্য পশুর সামনে জবাই করবে না। জবাইয়ের সময় প্রাণীকে অধিক কষ্ট না দেওয়া।

কুরবানীর গোশত বিধর্মীকে দেওয়া

মাসআলা : ৪৯. কুরবানীর গোশত হিন্দু ও অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেওয়া জায়েয।-ইলাউস সুনান ৭/২৮৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০

অন্য কারো ওয়াজিব কুরবানী আদায় করতে চাইলে

মাসআলা : ৫০. অন্যের ওয়াজিব কুরবানী দিতে চাইলে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে। নতুবা ওই ব্যক্তির কুরবানী আদায় হবে না। অবশ্য স্বামী বা পিতা যদি স্ত্রী বা সন্তানের বিনা অনুমতিতে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করে তাহলে তাদের কুরবানী আদায় হয়ে যাবে। তবে অনুমতি নিয়ে আদায় করা ভালো।

কুরবানীর পশু চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে

মাসআলা : ৫১. কুরবানীর পশু যদি চুরি হয়ে যায় বা মরে যায় আর কুরবানীদাতার উপর পূর্ব থেকে কুরবানী ওয়াজিব থাকে তাহলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। গরীব হলে (যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) তার জন্য আরেকটি পশু কুরবানী করা ওয়াজিব নয়।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯

পাগল পশুর কুরবানী

মাসআলা : ৫২. পাগল পশু কুরবানী করা জায়েয। তবে যদি এমন পাগল হয় যে, ঘাস পানি দিলে খায় না এবং মাঠেও চরে না তাহলে সেটার কুরবানী জায়েয হবে না। -আননিহায়া ফী গরীবিল হাদীস ১/২৩০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৫২

নিজের কুরবানীর গোশত খাওয়া

মাসআলা : ৫৩. কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর গোশত খাওয়া মুস্তাহাব। -সূরা হজ্ব ২৮, সহীহ মুসলিম ২২/১৫৯, মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৯০৭৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪

ঋণ করে কুরবানী করা

মাসআলা : ৫৪. কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তিও ঋণের টাকা দিয়ে কুরবানী করলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে কুরবানী করা যাবে না।

হাজীদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানী

মাসআলা : ৫৫. যেসকল হাজী কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে তাদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানী ওয়াজিব নয়। কিন্তু যে হাজী কুরবানীর কোনো দিন মুকীম থাকবে সামর্থ্যবান হলে তার উপর ঈদুল আযহার কুরবানী করা জরুরি হবে। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৩, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৬৬

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা

মাসআলা : ৫৬. সামর্থ্যবান ব্যক্তির রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা উত্তম। এটি বড় সৌভাগ্যের বিষয়ও বটে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রা.কে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করার ওসিয়্যত করেছিলেন। তাই তিনি প্রতি বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকেও কুরবানী দিতেন। -সুনানে আবু দাউদ ২/২৯, জামে তিরমিযী ১/২৭৫, ইলাউস সুনান ১৭/২৬৮, মিশকাত ৩/৩০৯

কোন দিন কুরবানী করা উত্তম

মাসআলা : ৫৭. ১০, ১১ ও ১২ এ তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন কুরবানী করা অধিক উত্তম। এরপর দ্বিতীয় দিন, এরপর তৃতীয় দিন। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬

খাসীকৃত ছাগল দ্বারা কুরবানী

মাসআলা : ৫৮. খাসিকৃত ছাগল দ্বারা কুরবানী করা উত্তম। -ফাতহুল কাদীর ৮/৪৯৮, মাজমাউল আনহুর ৪/২২৪, ইলাউস সুনান ১৭/৪৫৩

জীবিত ব্যক্তির নামে কুরবানী

মাসআলা : ৫৯. যেমনিভাবে মৃতের পক্ষ থেকে ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরবানী করা জায়েয তদ্রূপ জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার ইসালে সওয়াবের জন্য নফল কুরবানী করা জায়েয। এ কুরবানীর গোশত দাতা ও তার পরিবারও খেতে পারবে।

বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির কুরবানী অন্যত্রে করা

মাসআলা : ৬০. বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির জন্য নিজ দেশে বা অন্য কোথাও কুরবানী করা জায়েয।

কুরবানীদাতা ভিন্ন স্থানে থাকলে কখন জবাই করবে

মাসআলা : ৬১. কুরবানীদাতা এক স্থানে আর কুরবানীর পশু ভিন্ন স্থানে থাকলে কুরবানীদাতার ঈদের নামায পড়া বা না পড়া ধর্তব্য নয়; বরং পশু যে এলাকায় আছে ওই এলাকায় ঈদের জামাত হয়ে গেলে পশু জবাই করা যাবে। -আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮

কুরবানীর চামড়া বিক্রির অর্থ সাদকা করা

মাসআলা : ৬২. কুরবানীর চামড়া কুরবানীদাতা নিজেও ব্যবহার করতে পারবে। তবে কেউ যদি নিজে ব্যবহার না করে বিক্রি করে তবে বিক্রিলব্ধ মূল্য পুরোটা সদকা করা জরুরি। -আদ্দুররুল মুখতার, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১

কুরবানীর চামড়া বিক্রির নিয়ত

মাসআলা : ৬৩. কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করলে মূল্য সদকা করে দেওয়ার নিয়তে বিক্রি করবে। সদকার নিয়ত না করে নিজের খরচের নিয়ত করা নাজায়েয ও গুনাহ। নিয়ত যা-ই হোক বিক্রিলব্ধ অর্থ পুরোটাই সদকা করে দেওয়া জরুরি। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১, কাযীখান ৩/৩৫৪

কুরবানীর শেষ সময়ে মুকীম হলে

মাসআলা : ৬৪. কুরবানীর সময়ের প্রথম দিকে মুসাফির থাকার পরে ৩য় দিন কুরবানীর সময় শেষ হওয়ার পূর্বে মুকীম হয়ে গেলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে প্রথম দিনে মুকীম ছিল অতপর তৃতীয় দিনে মুসাফির হয়ে গেছে তাহলেও তার উপর কুরবানী ওয়াজিব থাকবে না। অর্থাৎ সে কুরবানী না দিলে গুনাহগার হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৬, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৯

কুরবানীর পশুতে ভিন্ন ইবাদতের নিয়তে শরীক হওয়া

মাসআলা : ৬৫. এক কুরবানীর পশুতে আকীকা, হজ্বের কুরবানীর নিয়ত করা যাবে। এতে প্রত্যেকের নিয়তকৃত ইবাদত আদায় হয়ে যাবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, আলমাবসূত সারাখছী ৪/১৪৪, আলইনায়া ৮/৪৩৫-৩৪৬, আলমুগনী ৫/৪৫৯

কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা

মাসআলা : ৬৬. ঈদুল আযহার দিন সর্বপ্রথম নিজ কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত। অর্থাৎ সকাল থেকে কিছু না খেয়ে প্রথমে কুরবানীর গোশত খাওয়া সুন্নত। এই সুন্নত শুধু ১০ যিলহজ্বের জন্য। ১১ বা ১২ তারিখের গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত নয়। -জামে তিরমিযী ১/১২০, শরহুল মুনয়া ৫৬৬, আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৬, আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৩

কুরবানীর পশুর হাড় বিক্রি

মাসআলা : ৬৭. কুরবানীর মৌসুমে অনেক মহাজন কুরবানীর হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েয হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনে শুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১

রাতে কুরবানী করা

মাসআলা : ৬৮. ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতে কুরবানী করা জায়েয। তবে রাতে আলোস্বল্পতার দরুণ জবাইয়ে ত্রুটি হতে পারে বিধায় রাতে জবাই করা অনুত্তম। অবশ্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে রাতে জবাই করতে কোনো অসুবিধা নেই। -ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৬, আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫১০

কাজের লোককে কুরবানীর গোশত খাওয়ানো

মাসআলা : ৬৯. কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া জায়েয নয়। গোশতও পারিশ্রমিক হিসেবে কাজের লোককে দেওয়া যাবে না। অবশ্য এ সময় ঘরের অন্যান্য সদস্যদের মতো কাজের লোকদেরকেও গোশত খাওয়ানো যাবে।-আহকামুল কুরআন জাস্সাস ৩/২৩৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলবাহরুর রায়েক ৮/৩২৬, ইমদাদুল মুফতীন

জবাইকারীকে পারিশ্রমিক দেওয়া

মাসআলা : ৭০. কুরবানী পশু জবাই করে পারিশ্রমিক দেওয়া-নেওয়া জায়েয। তবে কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া যাবে না। -কিফায়াতুল মুফতী ৮/২৬৫

মোরগ কুরবানী করা

মাসআলা : ৭১. কোনো কোনো এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে মোরগ কুরবানী করার প্রচলন আছে। এটি না জায়েয। কুরবানীর দিনে মোরগ জবাই করা নিষেধ নয়, তবে কুরবানীর নিয়তে করা যাবে না। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৪, ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২০০ 🍒 সংগ্রহেঃ হাফিজ মোঃ সাইফুররাহমান,
 Posted By : হাফিজ নাছির উদ্দিন,,
ফেইসবোকে পেতে নীল লেখাতে ক্লিক করুন, ফেইসবোকে আমি 🍒

পবিত্র মাজার কে এরাই ধংস করছে,দেখুন শাজালাল (রঃ) এর মাজারে ভন্ডরা কি রকম ভন্ডামী করছে,।।।।।কোথায় আছে আজ বাংলার মুসলমান,

কোথায় আছে আজ বাংলার মুসলমান, কোথায়, গেলো আজ বিবেক, কোথায় গেলো আজ ঈমানদারী, উপমহাদেশের ওলিকুল শিরমনি, যিনি এই সিলেটের যমিনে না এলে হয়তো বা সিলেট তথা গোটা বাংলাদেশ হিন্দুদের দখলে থাকতো, তিনি হলেন সুলতানে বাংলা হযরত শাহজালাল (রাহঃ), গতকাল উনার মাজার শরীফে ওরুশ ছিলো,আসলে এটাকে ওরুশ বল্লে পাপ হবে, কারন ওরুশ হলো, পবিত্র শব্দ, আর এখানে দেখুন কি ভাবে, ভন্ডরা,গান বাজনার আসর বসিয়ে , মদ, গাঁজা, ফেন্সিডিল, এগুলা খাচ্ছে, আর সাথে মহিলাদের নিয়ে নাচা নাচি করছে, নাউজুবিল্লাহী মিনযালিক, এগোলো কি কখোনো ইসলাম সাপোর্ট করে?? একজন ওলি আল্লা'র মাজারে, এই রকম অসামাজিক কার্যকলাপ,এই রকম জগন্য হারাম কাজে ওরা লিপ্ত হয়ে, এই সিলেটের মাটি কে কলংকিত করছে, এদের বিরুদ্ধে এখনি রুখে দাড়াতে হবে নতো বা পরে পস্তাতে হবে, আর কতো ঘুমিয়ে থাকবে বাংলার মুসলমান, বড় দুখঃ হয়, আজ যারা বেশ ধরে ইসলাম নিয়ে বড় বড় কথা বলছে, তাদের-ই একটি মাদ্রাসা আছে শাহজালাল মাজার এর এরিয়ার ভিতরে, আজ তারা কোথায় কোথায় গেলো তাদের বড় বড় কথা, তারা কতো বড় সুযোগসন্ধানী, তাদের মাদ্রাসা তারা বন্ধ দিয়ে গান বাজনা করার জন্য মানুষ কে অনুমতি দিয়ে যায়,যারা গান বাজনা করে এদের চাইতেও বড় পাপি হলো এই কওমি ওয়ালারা, কারন তাদের মাদ্রাসা বন্ধ দিয়ে, গান বাজনা করার সুযোগ করে দেয়, তাই সকল আগে এদের কে জুতা পেটা করে এখান থেকে বহিষ্কার করতে হবে, , তারা কি পারেনা এটা'র বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলতে, তারা হলো হুজুগে মুসলমান, এরা ও ইসলামের কলংক, এদের সকলের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, একটু চিন্তা করুন এমনিতেই বাতিলরা মুমিনের ঈমান ক্রে নেওয়ার জন্য মাথাচারা দিয়ে উঠেছে, তার উপর আবার এই রকম ভন্ডামী, আসুন আমরা সকলে মিলে মুসলমান হিসাবে এদের কে উদঘাত করি।।

ছবি সংগ্রহেঃ হাফিজ মোঃ আব্দুল বাছিত,
Writer and Posted by:ঃ হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন।
ফেইসবোকে আমি Hafiz Md Nasir
ইংরেজি লেখাতে ক্লিক করুন।।।

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

সহীহ হাদিসের নামে ভন্ডামী,লা-মাযহাবী দের কৌতুক সমাহার, জাকির নায়েক, ভক্তদের গাঞ্জাখুরী কথা,।।।।।।।।।

:১- টাই ইসলামিক শব্দ, টাইয়ের কথা কুরআনে আছে- → ডিজিটাল মুফতি কাজী টাই ইব্রাহীম। .
২- স্ত্রীর দুধ পান করা জায়েজ - → হট মাতাল আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল মাদানী। .
৩- এক বালতি গাভীর প্রশ্রাবে চাদর ভিজিয়ে নামাজ পড়েন, নামাজ হবে- → ঠান্ডা মাথার মাতাল আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ। .
৪- কালিমায়ে তাওহিদ তথা তাইয়েবা আলেমদের বানানো। কোরআন, হাদীসের কোথাও নেই- → ইবলিসের কার্বন কপি মতিউর রহমান মাদানী। .
৫- একটি গরুতে সাত ভাগ কুরবানী জায়েজ নাই - → ঠান্ডা মাথার মাতাল আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ। .
৬- আল্লাহ, আল্লাহ জিকির করা বিদআত - → বিকারগ্রস্থ শায়েখ আকরামুজ্জামান বিন আঃ সালাম। .
৭- পায়খানায় থাকাবস্থায় ও সালাম নেয়া দেয়া ওয়াজিব - → ঠান্ডা মাথার মাতাল আঃরাজ্জাক বিন ইউসুফ। .
৮- ইব্রাহীম আঃ মুসলিম জাতির পিতা নয়- → ইবলিসের কার্বন কপি মতিউর রহমান মাদানী। .
৯- বিশ্ব ইজতেমায় যদি সারা পৃথিবীর মানুষ আসে, তাহলে সারা পৃথিবীর মানুষই পাপী - → ঠান্ডা মাথার মাতাল আঃ রাজ্জাক বিন ইউসুফ।
১০- পিস টিভির বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের পিছনে নামাজ হবেনা - → মিষ্টার বিন ওরফে মুখলেসুর রহমান মাদানী
:
এছাড়া অসংখ্য অসংখ্য ভুল মতভেদ রয়েছে, যা ওরা প্রচার করে সাধারণ মানুষের ঈমান নষ্ট করতেছে।
 তাই আসুন! মানুষরুপী এসব শয়তান থেকে ঈমান হেফাজত করি।
আল্লাহ যেন তাওফিক দান করেন।

সংগ্রহেঃ আহমেদ আল ইমরান বিন হামজা।
Posted By ঃঃ  হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন,। ফেইসবোকে পেতে ক্লিক করুন নীল লিখাতে বঃ
ফেইসবোকে আমি 

আল-কুর’আন থেকে ‘রাব্বানা’ দ্বারা সূচনা হয়েছে এমন কিছু দু’আ।। । আল-কোরআনে রাব্বানা শব্দ দ্বারা কতটি দোয়া শুরু হয়েছে।।।।দেখুন। ।। ।।

আল-কুর’আন থেকে ‘রাব্বানা’ দ্বারা সূচনা হয়েছে এমন কিছু দু’আ
==========================================
- লেখাটি সংগ্রহীত
[০১]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺗَﻘَﺒَّﻞْ ﻣِﻨَّﺎ ۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ
[ ٢ :١٢٧ ]
উচ্চারণঃ রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আন্তাস সামি ’ উল
‘ আলিম।
অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।
[সূরা আল-বাক্বারাঃ ১২৭]
[০২]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻣُﺴْﻠِﻤَﻴْﻦِ ﻟَﻚَ ﻭَﻣِﻦ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻨَﺎ ﺃُﻣَّﺔً ﻣُّﺴْﻠِﻤَﺔً ﻟَّﻚَ ﻭَﺃَﺭِﻧَﺎ ﻣَﻨَﺎﺳِﻜَﻨَﺎ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ [ ٢ :١٢٨ ]
উচ্চারণঃ রাব্বানা ওয়া-জ ’ আলনা মুসলিমায়নি লাকা ওয়া মিন যুর্যিয়াতিনা ‘ উম্মাতান মুসলিমাতান লাকা ওয়া ‘ আরিনা মানাসিকানা ওয়া তুব ‘ আলায়না‘ ইন্নাকা আন্তাত-তাওয়্যাবুর-রাহিম।
অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমাদের উভয়কে তোমার আজ্ঞাবহ কর এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত দল সৃষ্টি কর, আমাদের হজ্বের রীতিনীতি বলে দাও এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী। দয়ালু।
[সূরা আল-বাক্বারাঃ ১২৮]
[০৩]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺁﺗِﻨَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻭَﻓِﻲ ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻭَﻗِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ [ ٢ :٢٠١ ]
উচ্চারণঃ রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া হাসানাতান ওয়া ফিল
‘ আখিরাতি হাসানাতান ওয়াক্বিনা ‘ আযাবান-নার।
অর্থঃ হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।
[সূরা আল-বাক্বারাঃ ২০১]
[০৪]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺃَﻓْﺮِﻍْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺻَﺒْﺮًﺍ ﻭَﺛَﺒِّﺖْ ﺃَﻗْﺪَﺍﻣَﻨَﺎ ﻭَﺍﻧﺼُﺮْﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮِﻳﻦَ [ ٢ :٢٥٠ ]
উচ্চারণঃ রাব্বানা আফরিঘ
‘ আলায়না সাবরান ওয়া সাব্বিত আক্বদামানা ওয়ানসুরনা ‘ আলাল-ক্বাওমিল-কাফিরিন।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ-আর আমাদের সাহায্য কর সে কাফের জাতির বিরুদ্ধে।
[সূরা আল-বাক্বারাঃ ২৫০]
[০৫]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺆَﺍﺧِﺬْﻧَﺎ ﺇِﻥ ﻧَّﺴِﻴﻨَﺎ ﺃَﻭْ ﺃَﺧْﻄَﺄْﻧَﺎ
[ ٢ :٢٨٦ ]
উচ্চারণঃ রাব্বানা তু’ আখিযনা ইন-নাসিনা আও আখতা ’ না।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।
[সূরা আল-বাক্বারাঃ ২৮৬]
[০৬]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺤْﻤِﻞْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺇِﺻْﺮًﺍ ﻛَﻤَﺎ ﺣَﻤَﻠْﺘَﻪُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻨَﺎ [ ٢ :٢٨٦ ]
উচ্চারণঃ রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল ‘ আলায়না ইসরান কামা হামালতাহু ‘ আলাল-লাযিনা মিন ক্বাবলিনা।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ।
[সূরা আল-বাক্বারাঃ ২৮৬]
[০৭]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺤَﻤِّﻠْﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﺎ ﻃَﺎﻗَﺔَ ﻟَﻨَﺎ ﺑِﻪِ ۖ ﻭَﺍﻋْﻒُ ﻋَﻨَّﺎ ﻭَﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨَﺎ ۚ ﺃَﻧﺖَ ﻣَﻮْﻟَﺎﻧَﺎ ﻓَﺎﻧﺼُﺮْﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮِﻳﻦَ [ ٢ :٢٨٦ ]
উচ্চারণঃ রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা তক্বাতা লানা বিহি ওয়া ’ ফু আন্না ওয়াঘফির লানা ওয়াইরহামনা আন্তা মাওলানা ফানসুরনা
‘ আলাল-ক্বাওমিল-কাফিরিন।
অর্থঃ হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।
[সূরা আল-বাক্বারাঃ ২৮৬]
[০৮]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺰِﻍْ ﻗُﻠُﻮﺑَﻨَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺇِﺫْ ﻫَﺪَﻳْﺘَﻨَﺎ ﻭَﻫَﺐْ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺭَﺣْﻤَﺔً ۚ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟْﻮَﻫَّﺎﺏُ [ ٣ :٨ ]
উচ্চারণঃ রাব্বানা লা তুযিঘ ক্বুলুবানা বা ’ দা ইয হাদায়তানা ওয়া হাব লানা মিল্লাদুনকা রাহমাহ ইন্নাকা আন্তাল ওহ্যাব।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা।
[সূরা আল-ইমরানঃ ০৮]
[০৯]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺟَﺎﻣِﻊُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻟِﻴَﻮْﻡٍ ﻟَّﺎ ﺭَﻳْﺐَ ﻓِﻴﻪِ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﺎ ﻳُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟْﻤِﻴﻌَﺎﺩَ [ ٣: ٩ ]
উচ্চারণঃ রাব্বানা ইন্নাকা জামি ’ উন্নাসিলি-ইয়াওমিল লা রায়বা ফি ইন্নাল্লাহা লা ইয়াখলিফুল মি ’ আদ।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবেঃ এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না।
[সূরা আল-ইমরানঃ ০৯]
[১০]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻨَﺎ ﺁﻣَﻨَّﺎ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮﺑَﻨَﺎ ﻭَﻗِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ [ ٣: ١٦ ]
উচ্চারণঃ রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাঘফির লানা যুনূবানা ওয়া কিন্না ‘ আযাবান-নার।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।
[সূরা আল-ইমরানঃ ১৬]
[১১]
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺁﻣَﻨَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﺖَ ﻭَﺍﺗَّﺒَﻌْﻨَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻓَﺎﻛْﺘُﺒْﻨَﺎ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺸَّﺎﻫِﺪِﻳﻦَ [ ٣ :٥٣ ]


Posted by :ঃ হাফিজ নাছির উদ্দিন,,। ফেইসবোকে পেতে নীল কালারের লেখাতে ক্লিক করুন।    ফেইসবোকে আমি

আর কত ঘুমিয়ে থাকবে মুসলমান, দেখুন এরা ইসলামের কত বড় শত্রু, জুতার মধ্যে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ,,,,,,,,,,,,,,,,,, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

,,,আর কত দিন ঘুমিয়ে থাকবে মুসলমান।  জেগে উঠ দেখো, পদে পদে ইসলাম এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কে নিয়ে, এই ইন্ডিয়ান হিন্দুরা একের পর এক আঘাত হানতেছে, তারী একটি নমুনা দেখুন জুতার তলায় আল্লাহর নাম লিখে দিয়েছে ওরা, যে টা কোনো মুসলমান সয্য। করতে পারেনা,এখনি সময় এদের কে প্রতিহত করার, আর নয়তো পরে পস্তাতে হবে, জেগে উঠ মুসলিম  জেগে উঠ, সকলে এর প্রতিবাদ করুন, এবং শেয়ার করে সকল কে জানিয়ে দিন।

আর কত দিন ঘুমিয়ে থাকবে মুসলমান দেখুন কারা মুসলমানের বড় শত্রু ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, বিজয়ীদের নাম তালামীযে ইসলাম,।

আর কত দিন ঘুমিয়ে থাকবে মুসলমান।  জেগে উঠ দেখো, পদে পদে ইসলাম এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কে নিয়ে, এই ইন্ডিয়ান হিন্দুরা একের পর এক আঘাত হানতেছে, তারী একটি নমুনা দেখুন জুতার তলায় আল্লাহর নাম লিখে দিয়েছে ওরা, যে টা কোনো মুসলমান সয্য। করতে পারেনা,এখনি সময় এদের কে প্রতিহত করার, আর নয়তো পরে পস্তাতে হবে, জেগে উঠ মুসলিম  জেগে উঠ, সকলে এর প্রতিবাদ করুন, এবং শেয়ার করে সকল কে জানিয়ে দিন।

সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০১৬

মনেরমত পাঞ্জাবী বানাতে চান??বাহারি ডিজাইন, আজ-ই চলে আসুন। বিজয়ীদের নাম তালামীযে ইসলাম।





বাহারি ডিজানে সল্প মূল্যে পাঞ্জাবী, বআআনাতে চান?? 
তাহলে আজ-ই চলে আসুন

আল হেরা টেইলার্স,
গোবিন্দগঞ্জ,হাইস্কুল রোড,
ছাতক সুনামগঞ্জ।
প্রোপাইটরঃ মোঃ আব্দুল আলিম।
মোবাইলঃ  ০১৭২০২০১২৯১।
ফেইসবোকে অর্ডার কঅকরতে এখানে ক্লিক করুন , অর্ডার করুন

তাওহিদ তথা একত্ববাদ কী

০১. প্রশ্নঃ তাওহীদ কাকে বলে?


উত্তরঃ তাওহীদ অর্থ একত্ববাদ। পরিভাষায়ঃ ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক নির্দিষ্ট করার নাম তাওহীদ।


০২. প্রশ্নঃ তাওহীদ কত প্রকার?


উত্তরঃ তাওহীদ ৩ প্রকার।


০৩. প্রশ্নঃ তিন প্রকার তাওহীদ কি কি?


উত্তরঃ 

(১) তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্‌ বা কর্ম ও পরিচালনার একত্ববাদ 

(২) তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্‌ বা দাসত্বের একত্ববাদ

(৩) তাওহীদে আসমা ওয়া ছিফাত বা নাম ও গুণাবলীর একত্ববাদ।


০৪. প্রশ্নঃ তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্‌ কাকে বলে?


উত্তরঃ আল্লাহ্‌ তাঁর কর্ম সমূহে একক- তাঁর কোন শরীক নেই, একথা মেনে নেয়ার নাম তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্‌


০৫. প্রশ্নঃ তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্‌ কাকে বলে?


উত্তরঃ বান্দার ইবাদত-বন্দেগী ও দাসত্ব এককভাবে আল্লাহর জন্যে নির্দিষ্ট করার নাম তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্‌।


০৬. প্রশ্নঃ তাওহীদে আসমা ওয়াস্‌ সিফাত কাকে বলে?


উত্তরঃ কুরআন ও হাদীসে আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম ও গুণাবলী উল্লেখ রয়েছে, যা তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও পরিপূর্ণতার প্রমাণ বহন করে, সেগুলোকে কোন প্রকার ধরণ-গঠন নির্ধারণ না করে বা অস্বীকার না করে সেভাবেই মেনে নেয়ার নাম তাওহীদে আসমা ওয়াস্‌ সিফাত।


০৭. প্রশ্নঃ তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ্‌র উদাহরণ কি?


উত্তরঃ সৃষ্টি করা, রিযিক দেয়া, বৃষ্টি দেয়া, লালন-পালন করা, সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব করা, তত্বাবধান করা ইত্যাদি।


০৮. প্রশ্নঃ তাওহীদে উলূহিয়্যাহ্‌র উদাহরণ কি?


উত্তরঃ ঈমান, ভয়-ভীতি, আশা-আকাঙ্খা, ভালবাসা, দু’আ-প্রার্থনা, সাহায্য কামনা, উদ্ধার কামনা, রুকূ-সিজদা ইত্যাদি।

০৯. প্রশ্নঃ তাওহীদে আসমা ওয়া ছিফাতের উদাহরণ কি?


উত্তরঃ الرحمن আর্‌ রাহমান, السميع আস্‌ সামী’ (শ্রবণকারী) البصير আল বাছীর (মহাদ্রষ্টা), العلو আল ঊলু (সুউচ্চ) ইত্যাদি।


ফেইসবোকে আমি