বিষয় ভিত্তিক পোস্ট

বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আহলে হাদিস পর্ব ০২, দেখুন ফেতনাবাজ,মোজাফফর বিন মুহসিনের জাল হাদিসের অবস্থা,,,, সহী হাদিস বলে বলে চিল্লায় আবার নিজেই জাল হাদিসের মধ্যে ডুবে আছে।।


জামানার নির্লজ্জ মহা ফিতনাবাজ মুজাফফর বীন মুহসিন!!!!

أَخْبَرَنَا ابْنُ الْفَضْلِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو سَهْلٍ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ الْقَطَّانُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْجَهْمِ السِّمَرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَالِدٍ الْمُقْرِئُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْبَاهِلِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ذَكْوَانَ الأَزْدِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو هَارُونَ الْعَبْدِيُّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا رَأَى الشَّبَابَ ، قَالَ : " مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَوْصَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نُوَسِّعَ لَكُمْ فِي الْمَجْلِسِ ، وَأَنْ نُفْهِمَكُمُ الْحَدِيثَ ، فَإِنَّكُمْ خَلُوفُنَا ، وَأَهْلُ الْحَدِيثِ بَعْدَنَا " .
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, যখনই তিনি যুবকদেরকে দেখতেন, তখনই তিনি বলতেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওয়াসিয়্যাহকে স্বাগতম। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ওয়াসিয়্যাহ করে গিয়েছিলেন আমরা যাতে তোমাদের জন্য মজলিস প্রশস্ত করে রাখি আর তোমাদেরকে হাদীস বুঝিয়ে দেই। কারণ তোমরা হচ্ছো আমাদের উত্তরসূরী এবং আমাদের পর (তোমরা হচ্ছো) আহলে হাদীস।
রেফারেন্সঃ
কিতাবু শু’আবিল ঈমান লিল বাইহাকী।

এ হাদীসটি দলীল হিসেবে পেশ করেছেন লা-মাযহাবীদের নয়নমনি, অবিশ্বাস্য রকমের এক মহা প্রতারক যে কিনা হাসতে হাসতে অবলীলায় জাল হাদীশকে সহীহ হাদীস বলতে পারে, আবার সহীহ হাদীসকে জাল হাদীশ বলে তামাশা করতে পারে, বুক তার কাঁপে না। এই ক্রেইজি লীডার হচ্ছে মুজাফফর বিন মুহসিন।
যাক, এসব বলে সময় নস্ট করার প্রয়োজন নেই। কারণ ওর গোমর সবার নিকট ফাঁস হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
চলুন, আলোচ্য হাদীস নিয়ে জরুরী কিছু আলোচনা করে প্রমাণ করি, এই প্রতারক মুজাফফর নিজের দাবী টিকানোর জন্য কীভাবে হুঙ্কার মেরে জাল হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করে।
সে কিন্তু এই দলীলটি দিয়েছে, কারণ এখানে আহলে হাদীসের কথা রয়েছে। তাই।
ওকে।
এই হাদীসটির বর্ণনাকারীদের মধ্যে দু’জন রয়েছেন, যাদের অবস্থা সাংঘাতিক ভাবে বিপজ্জনক।
একজন হচ্ছেন, মুহাম্মাদ বিন যাকওয়ান আল আযদি
অন্যজন হচ্ছেন, আবু হারূন আল আব্দি।
চলুন, এদের অবস্থা একটু দেখে নেই।

 
মুহাম্মাদ বিন যাকওয়ান আল আযদিঃ
_______________________
ইমাম আবু হাতিম বলেন, মুহাম্মাদ বিন যাকওয়ান মুনকারুল হাদীস।
ইমাম বুখারী বলেন, মুহাম্মাদ বিন যাকওয়ান মুনকারুল হাদীস।
ইমাম ছাজি বলেন, তার নিকট অনেক মুনকার হাদীশ রয়েছে।  
ইমাম দাররা কুতনি বলেন, যয়ীফ।
ইমাম নাসায়ী বলেন, যয়ীফ। অন্য ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, মুনকারুল হাদীশ।
ইবনু হাজার বলেন, যয়ীফ।
আলী বিন মাদীনী বলেন, মিথ্যুক।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। সহীহ হাদীস এর ভুয়া স্লোগানধারী মুজাফফরের দলীলের ভেতরে এই অবস্থা!
এবার অন্যজনের ব্যাপারে দেখি-

আবু হারূন আল আব্দিঃ
__________________
ইমাম বুখারীঃ কাযযাব।
আবু আহমাদ আল হাকিমঃ পরিত্যাক্ত, মাতরূক।
আবুল হাসান বিন কাত্তানঃ পরিত্যাক্ত, মাতরূক।
আহমাদ বিন হাম্বালঃ পরিত্যাক্ত, মাতরূক।
ইমাম নাসায়ীঃ পরিত্যাক্ত, মাতরূক।
ইবরাহীম বিন ইয়া’কুবঃ কাযযাব
ইসমাইল বিন আলিয়্যাহঃ মিথ্যা কথা বলে।
ইমাম যাহাবীঃ পরিত্যাক্ত, মাতরূক।
হাম্মাদ বিন যায়েদঃ কাযযাব
আরো অনেক। লিখলাম না। এতটুকুই যথেস্ট।
রেফারেন্স উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। আসমাউর রিজালের কিতাবগুলো খুললেই এগুলো পাবেন।
লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
যে মুজাফফর বাক বাকুম করে সহীহ হাদীস সহীহ হাদীস বলে হুংকার মারে, সেই মুজাফফর নিজের দলীল পেশ করতে গিয়ে এমন জাল হাদীশ অবলীলায় বলে যায়।
নির্লজ্জ। তোমার বেহায়ামির সীমা থাকা প্রয়োজন।
আল্লাহকে ভয় কর।
প্রতারণা ছাড়।
___________
copy from#আনজুমানে আল ইসলাহ বাহরাইন
Posted by: হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন
ফেইসবোকে আমি


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন