বিষয় ভিত্তিক পোস্ট

শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

SEO SERVICE STUDY

boat buyers with boat sellers, with boat model listings from over 375 boat builders and used boat listings from boat dealers and yacht brokers worldwide, all available through one simple search. Once you've found the right boat, connects you with the best marine financing to help you find the best boat loan rates around—plus insurance and shipping, too.

The Challenge
Boats.com had some respectable rankings when they contacted SEO Inc., for seo services, but were not ranked in the Top 10 on Google for several important keywords in a few of their important product categories. While the site ranked very well for keywords like boats, new boats, etc., they had little visibility for highly-competitive phrases like “boat insurance”, “boat loans”, and “boat warranty”. Their goal was to get more traffic for these product categories.

#9 on Google for “boat loans”, which is by far the most searched phrase in the boat financing category
Not Ranked in the top 50 on Google for “boat insurance”, which is searched more than boat loans
Boats.com was very clear about their primary goal; to achieve top 5 or Top 10 rankings on Google for their primary keywords. All other rankings increases would be considered a bonus.

Boats.com used java server pages (.jsp), and the site was completely dynamic. In addition, they used SSL for security as soon as the user leaves the home page. This site structure posed two unique problems that made the site’s interior pages inaccessible to search engine spiders. In addition, these pages had very little text content on them, and even less keyword density in the text content that did exist.

The Solution
Since none of the website’s interior pages were getting indexed by search engine spiders, the chances of ranking for keywords targeted on those pages was very small. So the first part of the solution was to build out the front end of the site by using static so that pages would get indexed by search engine spiders. In addition, we added keyword-rich content at the proper density levels to each of the pages. Of course, SEO Inc. then completed a themed optimization of each of the pages.

The Results
This client is extremely pleased with the results of the campaign. They have achieved TOP 10 rankings for the 4 most important keywords (boat loans, boat insurance, boat warranty, and boat shipping) without losing their #1 ranking for the keyword “boats”. These new rankings have given the site previously unprecedented visibility for their financial product categories and couldn't be done without any other SEO company.

SEO SERVICE STUDY

boat buyers with boat sellers, with boat model listings from over 375 boat builders and used boat listings from boat dealers and yacht brokers worldwide, all available through one simple search. Once you've found the right boat, connects you with the best marine financing to help you find the best boat loan rates around—plus insurance and shipping, too.

The Challenge
Boats.com had some respectable rankings when they contacted SEO Inc., for seo services, but were not ranked in the Top 10 on Google for several important keywords in a few of their important product categories. While the site ranked very well for keywords like boats, new boats, etc., they had little visibility for highly-competitive phrases like “boat insurance”, “boat loans”, and “boat warranty”. Their goal was to get more traffic for these product categories.

#9 on Google for “boat loans”, which is by far the most searched phrase in the boat financing category
Not Ranked in the top 50 on Google for “boat insurance”, which is searched more than boat loans
Boats.com was very clear about their primary goal; to achieve top 5 or Top 10 rankings on Google for their primary keywords. All other rankings increases would be considered a bonus.

Boats.com used java server pages (.jsp), and the site was completely dynamic. In addition, they used SSL for security as soon as the user leaves the home page. This site structure posed two unique problems that made the site’s interior pages inaccessible to search engine spiders. In addition, these pages had very little text content on them, and even less keyword density in the text content that did exist.

The Solution
Since none of the website’s interior pages were getting indexed by search engine spiders, the chances of ranking for keywords targeted on those pages was very small. So the first part of the solution was to build out the front end of the site by using static URLs (like http://www.boats.com) so that pages would get indexed by search engine spiders. In addition, we added keyword-rich content at the proper density levels to each of the pages. Of course, SEO Inc. then completed a themed optimization of each of the pages.

The Results
This client is extremely pleased with the results of the campaign. They have achieved TOP 10 rankings for the 4 most important keywords (boat loans, boat insurance, boat warranty, and boat shipping) without losing their #1 ranking for the keyword “boats”. These new rankings have given the site previously unprecedented visibility for their financial product categories and couldn't be done without any other SEO company.

শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ভারত কে বাশ দিতে বারাক ওবামা আট টি যুদ্ব বিমান বিক্রি করেছে পাকিস্তানের কাছে অসন্তোষ ভারতের

পাকিস্তানের কাছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ও ওবামা এফ ১৬ আট টি যুদ্ব বিমান বিক্রির  সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে ভারত। এমনকি অসন্তোষ প্রকাশে মার্কিনি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে নয়াদিল্লি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফ থেকে রীতিমত বিবৃতিও জারি করেছে।
শনিবার বিবৃতি জানানো হয়েছে, “ওবামা প্রশাসনের পাকিস্তানকে ৮টি যুদ্ধ বিমান বিক্রির সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। এই অস্ত্রের জোগান সন্ত্রাস কমাবে বলে যে দাবি করছে মার্কিন সরকার, আমরা সেটা মানি না।”


নয়াদিল্লির মতে, গত কয়েক বছর সীমান্তের ও পারে পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসবাদকে মদত জুগিয়ে এসেছে, তার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি টেকে না।
 প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, আমার এই ব্লগে আপনাদের স্বাগতম পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,এবং শেয়ার করে অন্য মুসলিম ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আর নয় মুসলিম হত্যা অচিরেই বাশ খাবে ভারত




পাক-ভারত যুদ্ধ অনিবার্য..!!!
ভারত যুদ্ধ এড়াতে চাইলেও বাচতে পারবেনা.!!!

বাংলাদেশী কিছু মিডিয়ার ভারতের পক্ষে নিলজ্জ প্রতারনা দেখে ২ কলম না লিখে পারছিনা। তারা আবাল জনতাকে বুঝানোর চেষ্টা করছে ভারতের অস্ত্র ও সামরিক শক্তি বেশী আছে তাই ভারতের সাথে পারবেনা পাকিস্তান । এটা বলার কারণ হচ্ছে ভারত ২০ সেনা হারিয়ে নিলজ্জের মত চুপ মেরে বসে আছে সেটা ধামাচাপা দেওয়া।

বাংলাদেশের ঐ মিডিয়া গুলো আদো জানেনা ভারত যুদ্ধ করতে না চাইলেও টুনকু অযুহাতে পাকিস্তান যে কোন মুহুর্তে ৩ লক্ষ বর্গমাইলের মরু এলাকা রাজস্থান দখল করে ফেলবে। কারণ পাকিস্তানের হাজার হাজার ট্যাংক বহর রাজস্থান অভিযানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে। কাশ্মীরের ভারতীয় অংশ দখল করার জন্য পাকিস্তানী সেনাদের দরকার নেই। কাস্মীরের স্বাধীনতাকামী ৪ টি গ্রুপকে যদি এই মুহুর্তে সিরিয়ার মুজাহিদদের মত ট্যাংক ও বিমান বিধ্বংসী মিসাইল দেওয়া হয় তাহলে কাস্মীরের জম্মুও শ্রীনগরে এক সপ্তাহের মধ্যে সব ভারতীয় সেনা দিল্লি পালিয়ে আসবে।সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে পাকিস্তানের হারানোর কিছুই নেই তারা গত ১৫ বছর যাবত আমেরিকা সাথে ও অভ্যন্তরিন যুদ্ধে খেলে এসেছে। বর্তমানে বিশ্ব মুসলিম নেতাদের ঐক্যে তারা ইমানী মনোবল ফিরে পেয়েছে। তাই তারা এখন সিংহের মত ঝাপিয়ে পড়ে কাস্মীরের মুসলমানদের হত্যা, আফগানিস্তান নিয়ে নাকগলানো ও গুজরাটে মুসলিম নিধনে বার বার দাঙ্গা লাগানোর উপর কঠিন প্রতিষোধ নিতে চাই।

ভারতের সবচাইতে বড় ভয় হচ্ছে যুদ্ধ শুরু হলে সব মুসলমান দেশের সরকার অটোমেটিক পাকিস্তানের পক্ষ নেবে শুধু মাত্র ইরান ছাড়া। এমনকি বাংলাদেশ সরকারের সেনাবাহিনীও পাকিস্তানের পক্ষে থাকবে। কারন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা সরকার ইসলামী আর্মির সদস্য। ইসলামিক আমির নেতারা ইসলামের স্বার্থে যে সিদ্বান্ত নেয় তা মেনে নিতে হবে প্রত্যেক সদস্য দেশকে। কারণ সৌদি বাদশার কাছ থেকে ইসলামিক আমির সাথে থাকার বদলা হিসেবে বাংলাদেশ সরকার নতুন ভিসা, বানিজ্য ও তেলের টাকা মওকুপ সহ আনেক সুবিধা আদায় করে নিয়েছে। এর ব্যাতিক্রম যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা ইসলামিক আমির নেতারই সিদ্বান্ত নেবে তাদের সাথে চুক্তি ভঙ্গের ফল কি হতে পারে।

ভারতের মুল ভয় হচ্ছে ভারতে ৭৫% বানিজ্য মুসলিম দেশ সমুহের সাথে। যদি কোনরকম যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে সব মুসলিম দেশ ভারতের সাথে বানিজ্য চুক্তি বাতিল করবে। এতে ভারতের অর্থনীতি বলে কিছুই থাকবেনা্। এক সময় এই সব বিষয় গুলো জাতিসংঘ দ্বারা আমেরিকা - ইউরোপ নিয়ন্ত্রন করলেও নতুন গজিয়ে উঠা মুসলিম বিশ্বের নেতা এরদুগান আমেরিকা ইউরোপকে চেলেঞ্জ করে রাজনীতি করায় মধ্যপ্রাচ্য সহ বেশীরভাগ মুসলিম দেশ এরদুগানের সাথে হাটতে শুরু করেছে।

সুতরাং কোনরকম যুদ্ধ শুরু হলেই ভারতের অর্থনীতি মাটির সাথে মিশে যাবে। জয় পরাজয়ের কোন দরকারই পড়বেনা। আর এতেই মাওবাদীরাও আবার সেন্ট্রাল ভারতকে স্বাধীনতা ঘোষনা দিতে পারে। এক কথায় বলা যায় বাংলাদেশের মিডিয়া যথই চিৎকার চেচামেসি করুক না কেন ভারতের সামনে কঠিন দিন আপেক্ষা করছে এটা বর্তমান বিশ্বের যে কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষকই ভাল করেই জানে।
(collected)

 পাঠক/পাঠিকা, আমার এই ব্লগে আপনাদের স্বাগতম পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,এবং শেয়ার করে অন্য মুসলিম ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

প্রস্রাবের সাথে রক্ত আসলে কী করতে হবে কেনো হয়

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

বহু কারণে প্রস্রাবে রক্ত যেতে পারে। যে কারণেই যাক, অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। যদিও এমন নয় যে রক্ত গেলেই মারাত্মক রোগ হয়েছে।

প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া ভালো লক্ষণ নয়। তবে সব রোগী বুঝতে পারেন না যে রক্ত যাচ্ছে। অনেক সময় প্রস্রাব পরীক্ষায় রক্তের উপস্থিতি ধরা পড়ে। প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া সাধারণ ব্যাপার নয়, এটা রোগী ও ডাক্তার উভয়ের জন্যই উদ্বেগের কারণ। তাই রক্ত গেলে তা হালকাভাবে না দেখে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে।

রক্ত গেলে প্রস্রাব লালচে বা বাদামি হতে পারে। কখনো কখনো প্রস্রাবে লাল রক্তের ফোঁটার মতোও দেখা যেতে পারে। কখনো কখনো রক্ত এত কম পরিমাণে যায় যে, খালি চোখে দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে শুধু ল্যাবরেটরি টেস্টেই রক্তের উপস্থিতি বোঝা যায়। একে বলা হয় আণুবীক্ষণিক রক্তপাত।

প্রশ্ন হলো, প্রস্রাবে রক্ত আসে কোথা থেকে। মূত্রতন্ত্রের যেকোনো স্থান থেকেই রক্ত আসতে পারে। যেমন- কিডনি, মূত্রথলি, মূত্রনালি।

প্রস্রাবে রক্তক্ষরণ অনেক কারণে হতে পারে। এর মধ্যে আছে-


 মূত্রথলির ইনফেকশন বা সিস্টাইটিস। এ ক্ষেত্রে সাধারণত প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া থাকে।
 কিডনি ইনফেকশন। এ ক্ষেত্রে সাধারণত শরীরে জ্বর থাকে এবং পেটের এক বা দুই পাশে ব্যথা করে।
 কিডনির পাথর। সাধারণত কোনো লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই কিডনিতে পাথর থাকতে পারে।
 ইউরেথ্রাইটিস বা মূত্রনালির ইনফ্ল্যামেশন। সাধারণত যৌনবাহিত রোগ, যেমন- ক্ল্যামাইডিয়া থেকে এমন হয়।
 প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া। সাধারণত বেশি বয়স্কদের এ সমস্যা দেখা দেয়।
 প্রস্টেট ক্যান্সার।
 ব্লাডার বা মূত্রথলির ক্যান্সার
 কিডনি ক্যান্সার।
 তলপেটে বা কিডনিতে আঘাত।
আমাদের দেশে মূত্রতন্ত্রের আঘাত, প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন, ক্যান্সার এবং পাথরই সাধারণত প্রস্রাবে রক্তক্ষরণের জন্য দায়ী। বয়স্ক লোকদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবে রক্তপাত মারাত্মক রোগ হিসেবে বিবেচনা করে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে। আবার অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণে কখনো কখনো অতি অল্পমাত্রায় প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। অ্যাসপিরিনের মতো প্রচলিত ওষুধও এ ধরনের সমস্যার সূচনা করতে পারে, কিন্তু প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া সাধারণত মারাত্মক অসুখই নির্দেশ করে।

উপসর্গ এবং লক্ষণ


বেশি মাত্রায় রক্ত যাওয়ার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে প্রস্রাবের রং গোলাপি, লাল বা কালো হওয়া। লোহিত রক্ত কণিকার উপস্থিতির কারণে এমন হয়ে থাকে। অনেক সময় প্রস্রাবে রক্তপাতের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। আবার কোনো ধরনের উপসর্গ বা লক্ষণ ছাড়াও প্রস্রাবে রক্ত যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত শুধু অণুুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা যায়। তাই রক্ত না দেখা গেলেও যদি বারবার প্রস্রাব

ইনফেকশনের ইতিহাস থাকে, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, কোমরে ব্যথা হয়, জ্বর থাকে; তবে প্রস্রাব পরীক্ষা করে তাতে রক্ত যাচ্ছে কি না দেখা দরকার।

কিভাবে প্রস্রাবে রক্ত আসে

দুটি কিডনি, ইউরেটার বা কিডনি নালি, প্রস্রাবের থলি, প্রস্টেট এবং প্রস্রাবের নালির সমন্বয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত। কিডনি শরীরের বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়। এই প্রস্রাব কিডনি থেকে ইউরেটারের মাধ্যমে প্রস্রাবের থলিতে আসে। প্রস্রাবের নালির মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এখানেই জমা থাকে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়ার ক্ষেত্রে

কিডনি এবং মূত্রতন্ত্রের যেকোনো অংশ থেকে রক্তকণিকা প্রস্রাবে প্রবেশ করতে পারে। স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাবে রক্ত প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই।

চিকিৎসা

 কী কারণে রক্ত যাচ্ছে তার ওপর চিকিৎসা নির্ভর করে। অনেক সময় প্রস্রাবে রক্তক্ষরণের কারণ বের করা খুব কঠিন হয়।
 প্রস্রাবে রক্তক্ষরণ হলে প্রাথমিকভাবে প্রস্রাব পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরার্ম অনুযায়ী মেডিসিন খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
 রক্তক্ষরণ বেশি হলে রোগীকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজনও দেখা দিতে পারে।
রক্ত না গেলেও ডাক্তারের কাছে যেতে হবে

 বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণের ইতিহাস থাকলে
 বয়স ৫০-এর বেশি হলে সাধারণ চেকআপের জন্য
 তলপেটে বা পিঠের নিচের দিকে হঠাৎ আঘাত পেলে
 প্রস্টেটের সমস্যা থাকলে
ডাক্তারকে জানাতে হবে

 প্রস্রাবে রক্ত কখন প্রথম লক্ষ করলেন সে সময়টা
 প্রস্রাবের সময় তলপেটে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া বা অন্য কোনো অসুবিধা বোধ করেন কি না
 আগের চেয়ে ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে কি না
 আগে কখনো, একবারের জন্য হলেও প্রস্রাবে রক্ত গেছে কি না
 প্রস্রাবের গন্ধ স্বাভাবিকের চেয়ে অন্য রকম কি না
 ধূমপান করেন কি না, করলে দিনে কতবার?
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল



প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, আমার এই ব্লগে আপনাদের স্বাগতম পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,এবং শেয়ার করে অন্য মুসলিম ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কি ভাবে ইন্টারনেট থেকে আমেরিকান ডলার আয় করা যায় ১০০% সত্য

আসসালামু আলাইকুম  প্রিয় বন্দুরা আজ আমি যে বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো, হয়তোবা অনেকের মনে এই বিষয় টি  আগে তহথেকেই ঘুড়পাক খাচ্ছে,আর অনেকের জন্য হয়তো বা নতুন,বিষয় টি হলো অনলাইন এর মাধ্যমে আয় করা,তাহলে চলুন শুরু করা আক,

কি ভাবে করবেনঃ


এই।কাজ টি করতে হলে আপনাকে ৩ টি ধাপে কাজ করতে হবে
১/ একটি Gmail Account
২/ একয়াতি ব্লগ
৩/ একটি  Pop Cash Account
যা দিয়ে আপনি ডলার আয় করবেন,
আমরা প্রথমে আলোচনা করবো pop cash নিয়ে,

কি ভাবে Pop Cash Account খুলবেনঃ

প্রথমে এই লিংকেPop Cash Register প্রবেশ করুন তারপর register এ ক্লিক করুন, আর যাবতীয় তথ্য দিয়ে বানিয়ে নিন ডলার আয় করার, আর হে এটা করতে হলে আপনার Skype id লাগবে,

আজ এই পর্যন্তঈ আগামী পর্বে বাকি আলোচনা করবো,সাথেই থাকবে,

 প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, আমার এই ব্লগে আপনাদের স্বাগতম পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,এবং শেয়ার করে অন্য মুসলিম ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

কি আজব বিয়ের পাত্রীও এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে#দেখুন

কি আজব বিয়ের পাত্রী ও এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে



বাজারে কেনার তালিকায় এবার উঠে এসেছে বিয়ের পাত্রী। বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিয়ের পাত্রী। যে কেও পছন্দমতো বাজার থেকে কিনে আনতে পারবেন পাত্রী!

এখন থেকে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজতে আর ছুটে বেড়াতে হবে না। বাজারে গিয়েই পছন্দ মতো পাত্রী কিনে আনতে পারবেন। এমন কথা শুনে যে কেও বিস্মিত হলেও সত্যি। তবে এই বাজার কিন্তু বাংলাদেশের না। বাজার হতে বিয়ের পাত্রী কিনতে হলে যেতে হবে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বুলগেরিয়াতে। যেখানে খোলা হাটে বিক্রি করা হয় বিয়ের পাত্রী। বুহ যুগ ধরে বুলগেরিয়ায় এই রীতি বিদ্যমান।

সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ইউরোপের সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসেবে খ্যাত বুলগেরিয়ার স্টারা জোগরা নামক শহরে একটি উন্মুক্ত মার্কেটের সামনে এই পাত্রী বাজারটি বসে। মূলত বুলগেরিয়ায় হতদরিদ্র রোমা কালাইঝি যাযাবর সম্প্রদায় ছেলে-মেয়ে বিয়ে দিতে কনে বাজারের আয়োজন করে থাকেন। বছরে ৪ বার এই আয়োজন করা হয়। কিন্তু পছন্দ অনুযায়ী সম্ভাব্য পাত্রী পেতে হলে ছেলের বাবা-মাকে মেয়ের বাবা-মার দাবি করা নির্দিষ্ট অংকের অর্থ গুণতে হয়!

জানা গেছে, রোমা সম্প্রদায় মূলত একটি যাযাবর ধর্মপ্রাণ অর্থোডক্স খ্রিস্টান সম্প্রদায়। রক্ষণশীল সম্প্রদায়ের হলেও এসব যুবক-যুবতীরা এই সুযোগে একে অন্যকে ধরে নাচেন, গান করেন এবং নানা ফুর্তিতে মেতে ওঠেন। আবার ছবিতে পোজ, এমনকি হালকা মদ্য জাতীয় পানীয়ও পান করেন তারা। তাম্রলিপির যুগ হতে ঐতিহ্যগতভাবে বাংশ পরাংপরায় এভাবেই ছেলে-মেয়েদের বিয়ের আয়োজন করে আসছেন বুলগেরিয়ার এই প্রাচীন রোমা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠিরা। দাম দিয়ে কিনে আনার পর ছেলের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করা হয় কিনে আনা পাত্রীকে। এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।

 প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, আমার এই ব্লগে আপনাদের স্বাগতম পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,এবং শেয়ার করে অন্য মুসলিম ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে এ কী বললেন ইংল্যান্ডের ইয়ান বেল

আসলেই এখন আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি



উইন মরগান নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, আসছেন না অ্যালেক্স হেলসও। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাকি সবাই যে খুব মুক্ত মনে বাংলাদেশ সফরে আসছেন, সেটাও বলা যাবে না। দলের প্রতি দায়িত্ববোধ, কিংবা দলে জায়গা টিকিয়ে রাখার তাগিদটাই হয়তো বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে ইতিবাচক করেছে তাদের। কিন্তু একজন ক্রিকেটার বাংলাদেশ সফরে সুযোগ পেলে নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে করবেন, বর্তে যাবেন এই সফরের দলে জায়গা করে নিতে পারলে—ইয়ান বেল।

বেল মুখিয়ে আছেন দলের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে। আসছে অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের সিরিজটি যে বেলের ক্যারিয়ারের ‘লাইফলাইন’ হয়ে উঠতে পারে।

২০১৫ সালের নভেম্বরে শারজার মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষবারের মতো ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন শেষ ওয়ানডেটি। প্রায় এক বছর ধরে ইংল্যান্ড দলের বাইরে থাকা বেল বাংলাদেশ সফরে একটা সুযোগ চান।

সুযোগটা পেয়ে গেলে নিজেকে মেলে ধরার ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী দেশের হয়ে ১১৮ টেস্ট ও ১৬১টি ওয়ানডে খেলা এই ব্যাটসম্যান, ‘ইংল্যান্ড দল নিজেদের খেলা উন্নত করে উপমহাদেশে জিততে চায়। সুতরাং এটা বলে দেওয়া যায়, এবারের শীত মৌসুমে উপমহাদেশ সফরটা দারুণ আকর্ষণীয় হবে। আশা করছি এই উত্তেজনার অংশ হতে পারব আমি। যদি সুযোগ নাও পাই, তবু চাইব ইংল্যান্ড যেন ওখানে গিয়ে ভালো করে।’


বাংলাদেশে পা দিয়েই উপমহাদেশ সফর শুরু করবে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশে ২ টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে খেলে দল যাবে ভারতে। সেখানে ভারতের বিপক্ষে ৫ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। বেলের মতে, ‘বাংলাদেশ সব সময়ই উন্নতি করছে। ভারতের মাটিতে গিয়ে ভারতকে হারানোর মতো কঠিন কাজ খুব কমই আছে।’

উপমহাদেশগামী দলে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারটি মনের তীব্র চাওয়া হলেও বেল আপাতত ওয়ারউইকশায়ারেই পুরো মনোযোগ দিচ্ছেন। ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে রয়্যাল লন্ডন কাপের দুটো ম্যাচেই পাখির চোখ তার, ‘আমি জানি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলাটা কী! আমি জানি ইংল্যান্ডের হয়ে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে রান করাটা কত কঠিন। তবে আমি এখন এই মুহূর্তে ওয়ারউইকশারকে নিয়েই বেশি ভাবছি।’ সেখানে ভালো করা মানেই তো খুলে যাওয়া জাতীয় দলের দরজা!

ইংল্যান্ডের হয়ে দারুণ রেকর্ড বেলের। ১১৮ টেস্টে ৪২.৬৯ গড়ে তার রান ৭ হাজার ৭২৭। সেঞ্চুরি ২২টি, হাফ সেঞ্চুরি ৪৬টি। ওয়ানডেতেও খুব একটা পিছিয়ে নেই। ১৬১টি ম্যাচে ৩৭.৮৭ গড়ে তার রান ৫ হাজার ৪২৬। সেঞ্চুরি ৪টি।-প্রথম আলো

 প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, আমার এই ব্লগে আপনাদের স্বাগতম পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,এবং শেয়ার করে অন্য মুসলিম ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কি ভাবে ব্লগ থেকে ইসলামিক post দিয়ে হাজার টাকা আয় করবো

ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে এদিকে আসুন

অনলাইন আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ক্ষেত্রে হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্লগিং! ব্লগিং করে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছেন বিশ্বের সেরা প্রফেশনাল ব্লগাররা। তাহলে আপনি পারবেন না কেন? অবশ্যই পারবেন! আর হ্যাঁ, তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই হতে হবে প্রফেশনাল ব্লগার। প্রফেশনাল ব্লগার হতে হবে শুনেই হতাশ? হ্যাঁ, আমি জানি। আমাদের এটাই এক বড় বদ অভ্যাস। বাস্তবায়নযোগ্য স্বপ্ন দেখতেও আমরা ভয় পাই। প্রফেশনাল ব্লগার আপনি নিশ্চয়ই এক রাতে হবেন না? প্রফেশনাল ব্লগার হতে আপনাকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী। আর নেশার মতো ব্লগিং করতে হবে বছরের পর বছর। তবেই আপনিও ব্লগিং করে হতে পারবেন মিলিনিয়ন মিলিয়ন ডলারের মালিক!

এ তো গেল মিলিয়ন ডলারের কথা! এবার আসি বাস্তব কথায়! বাংলাদেশে ব্লগিং এখনও সেই পর্যায়ে যায়নি। তাই বাংলা ব্লগিং -এ মিলিয়ন ডলার আয়ের কথা ঠিক এই মুহূর্তে ভাবলে পাগলের প্রলাপের সামিলই হবে! কিন্তু বাংলা ব্লগিং যাত্রা কেবল শুরু করেছে। আমরা আশা করছি আগামী কয়েক বছর পরে ব্লগিং জগতে বাংলা ব্লগিংও সম্মানিত আসন পাবে। আমাদের দেশের এখন ব্লগারদের অধিকাংশ শ্রেনীই ইংরেজী ব্লগিং -এর সাথে জড়িত। কারণ কি জানতে চান? আয়, আয় এবং আয়। জি, ব্লগিং করে আয় সম্ভব বলেই আমরা আজ নিজের ভাষার ব্লগিং ছেড়ে ইংরেজী ব্লগিং এর পথে। আমি এর বিরোধিতা করছিনা। তবে আশা করছি আমরা ইংরেজী ব্লগিং এর পাশাপাশি দেশের স্বার্থে বাংলা কন্টেন্ট সমৃদ্ধ করতে বাংলা ব্লগিং করব।
যারা ইতিমধ্যে প্রফেশনাল ব্লগিং -এ আছেন। তাঁরা সবাই ব্লগিং করে আয় সম্পর্কে অবগত। কিন্তু নবীন ব্লগারদের অনেক আগ্রহ ব্লগিং থেকে আয়ের প্রতি। তাদের কৌতুহল মেটাতে আজ লিখছি ব্লগিং করে আয়ের কৌশলসমূহ। আর ব্লগিং করে আয়ের এই পথগুলো মূলত ইংরেজী ব্লগিং কে ভিত্তি করেই লেখা। কারণটা ইতিমধ্যেই বলেছি। বাংলা ব্লগিং এখনও সেরকম পর্যায়ে যায়নি। তবে চলুন জেনে নেই, কি কি পথে একজন ব্লগার আয় করে থাকেনঃ



ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয়


ব্লগিং করে আয়ের কথা ভাবলে এটি হবে আপনার প্রথম পথ। ব্লগ থেকে আয়ের প্রধান উৎসটি হলোই বিজ্ঞাপন। আপনার ব্লগে যথেষ্ট পরিমাণ ভিজিটরস আছে? তাহলে অ্যাডসেন্স, বিডভারটাইজার, রেভিনিউ হিটস, ইনফোলিংকস, ক্লিকসর, চিটিকার মতো অনেক অ্যাড কোম্পানির মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করিয়ে আয় করতে পারেন। এছাড়া অ্যাড কোম্পানিগুলো ছাড়াও আপনি সরাসরি বিজ্ঞাপন দাতাদের কাছেও ব্লগে অ্যাড স্পেস ভাড়া দিয়ে আয় করতে পারেন। বাংলা ব্লগিং -এ যদি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়ের কথা বলি। তবে উল্লেখযোগ্য উদাহরন হবে টেকটিউনস। আপনারা জানেন টেকটিউনস সর্ববৃহৎ টেকনোলোজি বাংলা ব্লগ। যেখানে অসংখ্য বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে টেকটিউনস আয় করে থাকে। আশা করি, ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়ের ব্যাপারটি পরিষ্কার। আমিও একজন বাংলা ব্লগার হিসেবে আমার ব্লগে কিছু বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে মোটামুটি ভালো পরিমাণ আয় করে থাকি।



অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়


অনলাইন আয়ের বিশাল এক ক্ষেত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আলাদা একটি ক্ষেত্র হলেও ব্লগিং -এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত। নবীনদের কাছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নতুন কোন শব্দ। তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। এক কথায় আমি আপনাকে বলতে পারি, কোন প্রতিষ্ঠানের পন্য কমিশনের বিনিময়ে অনলাইনে বিক্রি করিয়ে দেয়াই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এখন প্রশ্ন, ব্লগিং এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সম্পর্কটা কি? ধরুন, আপনার সফটওয়্যার বিষয়ক কোন ব্লগটি আছে। সেখানে যথেষ্ট ভিজিটরসও আছে। তাহলে আপনি কোন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রিমিয়াম সফটওয়্যার কমিশনের মাধ্যমে অনলাইনে সেল করার চুক্তি করলেন। আর সে মোতাবেক, আপনার ব্লগটিতে ঐ অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টটি সেল করার জন্য টিউন লিখলেন অথবা বিজ্ঞাপন দিলেন। আর সেখান থেকে যে পরিমাণ সেল হবে সে অনুযায়ী চুক্তি মোতাবেক কমিশন আপনি পেয়ে যাবেন। আর এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমানে, ব্লগ থেকে আয়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হয়েছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।



স্পন্সরড টিউনের মাধ্যমে আয়


আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হয়ে থাকেন এবং আপনার ব্লগটি জনপ্রিয় একটি ব্লগ হয়ে থাকে। তাহলে স্পন্সরড টিউনও হতে পারে আপনার স্মার্ট আয়ের অন্যতম একটি মাধ্যম। স্পন্সরড টিউন সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাদের জন্য বলি, আপনার ব্লগে কোন প্রতিষ্ঠান অর্থ পরিশোধের বিনিময়ে তাদের কোন টিউন প্রকাশ করলে সেটাকেই বলে স্পন্সরড টিউন। স্পন্সরড টিউনকে পেইড টিউনও বলা হয়ে থাকে। তবে জনপ্রিয় ব্লগগুলোতেই সাধারণত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সরড টিউন দিতে আগ্রহী।



নিজস্ব সার্ভিস সেল করে আয়


এটিও প্রফেশনাল ব্লগারদের আয়ের একটি মাধ্যম। ধরুন, আপনি একজন ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট। ওয়ার্ডপ্রেসই হলো আপনার প্রেম, ভালোবাসা, ভালোলাগা সবকিছু। তাই ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে আপনি ব্লগিং করেন। আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সংক্রান্ত টিউটোরিয়াল, টিপসে আপনার ভিজিটরসদের কাছে আপনি জনপ্রিয় হয়ে গেছেন। এরকম অবস্থায় আপনার সামনে নিজস্ব সার্ভিস সেল করে আয়ের রাস্তাটি খুলবে! তখন আপনি চাইলে আপনার ব্লগে ভিজিটরসদের কাছে ওয়ার্ডপ্রেস সংক্রান্ত বিভিন্ন সার্ভিস অফার করতে পারেন। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। আমিও আমার ব্লগের মাধ্যমে আমার দেয়া বিভিন্ন সেল করে থাকি।



ব্লগিং থেকে আয়ের সম্ভাবনা এবং শেষ কথা


বর্তমানে অনলাইন যুগের অন্যতম স্মার্ট এবং স্বাধীন পেশা হিসেবে দাঁড়িয়েছে 'ব্লগিং'। তাই এই প্রফেশনে ইনকামটাও অনেক স্মার্ট! আপনিও বেছে নিতে পারেন এই সময়োপযোগী অনলাইন পেশাটি এবং ক্যারিয়ার গড়তে পারেন ব্লগিং -এ। ব্লগিং করে রয়েছে আয়ের অপার সম্ভাবনা। তবে আপনাকে হতে হবে অনেক প্রফেশনাল একজন ব্লগার। আপনার প্রতি শুভ কামনা রেখে শেষ করছি আজকের টিউন। আল্লাহ হাফেজ...
কোনো সমস্যা হলে কমেন্ট করুন

 পাঠক পাঠিকা, আমার এই ব্লগে আপনাদের স্বাগতম পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,এবং শেয়ার করে অন্য মুসলিম ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কোরবানির আগে যে বিষয় গুলো জানা অতি জরুরী-যারা কোরবানি দিবেন

মূল আরবি শব্দ ‘নুসুক’ থেকে কোরবানি শব্দের উৎপত্তি। যার অর্থ ‘আত্মত্যাগ’। যে সব প্রাপ্তবয়স্ক ও বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তির মালিকানায় মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য বা তার সমপরিমাণ সম্পদ থাকে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।
এই সম্পদ হতে পারে স্বর্ণ, ব্যবসার মাল, প্রয়োজনের অতিরিক্ত গৃহস্থালি আসবাবপত্র অথবা বসবাসের বাড়ির অতিরিক্ত জায়গা বা প্লট ইত্যাদি। যে ব্যক্তি মুসাফির, অপ্রাপ্তবয়স্ক, শিশু এবং পাগল তার ওপর কোরবানি আবশ্যক নয়। তবে পাগল বা উন্মাদ ব্যক্তি ঈদের দিনে সুস্থ হয়ে গেলে এবং কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার মতো ওই পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার ওপরও কোরবানি ওয়াজিব হবে।



উপার্জনে সক্ষম নিসাবের মালিক বালকের ওপর কোরবানি ওয়াজিব, পিতা এবং ছেলেমেয়ে প্রত্যেকেই উপার্জনে সক্ষম হলে এবং প্রত্যেকেই নিসাব পরিমাণ মালের মালিক হলে প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা কোরবানি করা ওয়াজিব।
তবে উপার্জিত যে কোনো অবৈধ সম্পদ বা টাকার বিনিময়ে কেনা পশুর মাধ্যমে কোরবানি আল্লাহতালার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

কোরবানি করার সঠিক সময়: সাধারণত ঈদের নামাজ শেষ হবার পর কোরবানি করার সঠিক সময়। যে সব গ্রামে বা শহরে জুমার নামাজ এবং ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় সেখানে ঈদের নামাজের পূর্বে কোরবানি করা জায়েজ নয়। ঈদের নামাজের পূর্বে কোরবানির পশু জবাই করে ফেললে দ্বিতীয়বার কোরবানি করা ওয়াজিব হবে। তবে যদি ওই শহরের কোনো মসজিদে ঈদের নামাজ শেষ হয়ে যায় এবং তারপর কোরবানি করা হয়, তাহলে কোরবানি জায়েজ হবে। যদিও কোরবানিদাতা তখনো নিজে ঈদের নামাজ আদায় করেনি।

মৃতের পক্ষ থেকে কোরবানি করা: কয়েকজন মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি করলে প্রত্যেকের জন্য কি আলাদা আলাদা অংশ কোরবানি করতে হবে না এক ভাগই একাধিক ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট হবে? মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে যে কোরবানি করা হয় সে মাংস খাওয়া জায়েজ হবে কিনা? এসব বিষয়ে শরীয়তের দিক নির্দেশনা রয়েছে। মাংসের বিষয়ে যেমন- গরু, উট, মহিষ কোরবানি করলে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য আলাদা আলাদা অংশ থাকা আবশ্যক। একাধিক মৃত ব্যক্তির জন্য এক অংশ কোরবানি করা জায়েজ নয়। তবে নিজের পক্ষ থেকে নফল কোরবানি করে তার সাওয়াব জীবিত বা মৃত একাধিক ব্যক্তির উদ্দেশে দান করা জায়েজ আছে।

মহানবি (সা.) একটি কোরবানির সাওয়াব পুরো উম্মতের উদ্দেশে দান করেছিলেন। যদি মৃত ব্যক্তি কোরবানি করার অছিয়ত করে যায় এবং অছিয়ত অনুযায়ী কোরবানি করা হয় তবে সেই কোরবানির মাংস গরিব মিসকিনদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া আবশ্যক। অবশ্যই এদের মধ্যে ধনী বা স্বচ্ছল ব্যক্তিরা থাকবে না। আর যদি মৃত ব্যক্তির সম্পদ থেকে কোরবানি না করে কোনো ব্যক্তি মৃতের পক্ষে নিজ সম্পদ থেকে কোরবানি করে, এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি অছিয়ত করে যাক বা না যাক এ জাতীয় কোরবানির মাংসের বিধান নিজের সম্পদ থেকে কোরবানি করার মতোই। এর মাংস নিজেও খেতে পারবে এবং অন্যদেরও ইচ্ছামতো দেওয়া যাবে। ফাতাওয়ায়ে রহীমীয়া, খণ্ড-৯, পৃষ্ঠা-৩১৪; ইমদাদুল ফাতাওয়া, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-৫৩২

কেনার পর কোরবানির পশু মারা গেলে কিংবা হারিয়ে গেলে
কেনার পর কোরবানির পশু মারা গেলে কিংবা হারিয়ে গেলে ওই ব্যক্তির জন্য আরেকটি পশু খরিদ করে কোরবানি করা ওয়াজিব। আর নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হলে তার জন্য আরেকটি পশু ক্রয় করে কোরবানি করা ওয়াজিব নয়। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-৫৯৭

কোরবানির মাংস বণ্টন: কোরবানিতে যে পশুর মধ্যে একাধিক অংশীদার থাকে সেক্ষেত্রে দাঁড়িপাল্লা দিয়ে মেপে মাংস বণ্টন করতে হবে। শুধু অনুমানের ভিত্তিতে মাংস বণ্টন করা ঠিক নয়। বণ্টন করার পর প্রাপ্ত মাংস কিংবা এককভাবে পশু কোরবানি দিয়ে থাকলে সবটুকু মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। এর মধ্যে এক ভাগ নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে বণ্টনের জন্য এবং আর এক ভাগ গরিব মিসকিনদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া উত্তম। আর যদি কারো পরিবারে লোকসংখ্যা বেশি হয় তাহলে সে সবটুকু মাংস নিজের পরিবারের জন্য রেখে দিতে পারবে।

উল্লেখ্য, জবাইকারীকে তার জবাইয়ের মজুরি হিসেবে মাংস বা চামড়া প্রদান করা জায়েজ নেই। তাকে পৃথকভাবে মজুরি দিতে হবে। রদ্দুল মুহতার, খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-২৩০

পশু জবাইয়ের দোয়া: কোরবানির পশু জবাই করার সময় বিসসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার পড়তে হবে। তবে এর পূর্বে নিম্নবর্ণিত দোয়া পড়ে নিতে হবে-
“ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস্সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও অমা আনা মিনাল মুশরিকিনা ইন্না সালাতি ওয়ানুসুকি ওয়া-মাহইয়ায়া ওয়ামামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।”

অর্থ- আমি একমুখী হয়ে নিজের মাথা ওই সত্তার দিকে অবনত করেছি, যিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন, এবং আমি মুশরিক নই, নিশ্চয় আমার সালাত বা নামাজ, আমার আত্মত্যাগ (কোরবানি) এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। ক পরিয় পাঠক/পাঠিকা, আমার এই ব্লগে আপনাদের স্বাগতম পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,এবং শেয়ার করে অন্য মুসলিম ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বতিলের মোকাবেলা করুন জেনে নিন তারাবি নামাজ কেনো ২০ রাকাত? মদিনা শরিফের ফতওয়া

আসসালামু আলাইকুম   প্রিয় বন্দুরা আমরা সব সময়ই বাতিলের সাথে যুদ্ধ করি আর তাই আমাদের অস্ত্রের প্রয়োজন আজ আমি আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম একটি অস্ত্র সে টি হলো তারাবি নামাজ সম্পর্কে বাতিলরা বলে তারাবি নামাজ বিশ রাকাত নয় আট রাকাত তাই বাতিলের মোকাবেলা করতে এই বইটি ডাউনলোড করুন
তারাবী আনামাজ ২০ রাকাত কেনো   দলীল।দিয়েছেন মদিনা ইউনিভারসিটির মুহাদ্দিস আল্লামা রফিকুল ইসলাম মাদানীবইটি ডাউনলোড করতে নিচের ডাউনলোড এ ক্লিক করুন


DOWNLOAD

 প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, আমার এই ব্লগে আপনাদের স্বাগতম পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,এবং শেয়ার করে অন্য মুসলিম ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ডাউনলোড করে নিন এই বইটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর মূল আক্বিদা

আসসালামু আলাইকুম বন্দুরা আমরা যারা স্বীকার করি যে আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর অনুসারী তার মধ্যে হয়তো অনেকেই জানিনা যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মূল আক্বিদা কি
তাই আজ আমি আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম এই বইটি আশা করি সবাই পড়বেন
তাহলে নিয়ে নিন নিচের লিংক থেকে





আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর আক্বিদা  বই এখানে

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, আমার এই ব্লগে আপনাদের স্বাগতম পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,এবং শেয়ার করে অন্য মুসলিম ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

১০ টি প্রয়োজনীয় ইসলামী কিতাব ডাউনলোড করুন

আসসালামু আলাইকুম বন্দুরা আজ আমি আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি এমন কিছু কিতাব যেগুলো দিয়ে আপনি আপনার জীবন পরিচালনা করবেন তাহলে ডাউন ডাউনলোড করুন নিচের লিংকে ক্লিক করে


বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

Software লাগবেনা এই ব্লগ থেকেই ইচ্ছেমত ঈদ মোবারক পিকচার এবং ভিডিও মনেরমত করে বানিয়ে নিন পিকাচার এবং ভিডিও বানিয়ে চমকে দিন বন্দুকে

আসসালামু আলাইকুম
বন্দুরা আজ আমি আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি আখাংকিত একট জিনিস

যা দিয়ে আপনি বানাতে পারবেন আপনার মনের মতো ঈদ মোবারক পিকচার,এবং ভিডিও বানাতে পারবেন,এবং যাবতীয় ছবির কাজ করতে পারবেন  বিস্তারিত পড়তে ছবিতে ক্লিক করুন







সুধু লিংকে ক্লিক করুন

লিংক ১
লিংক ২
লিংক ৩

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বেরিয়ে আসলো সিলেটে মুসল্লীদের উপর হামলাকারী ইসকনদের পরিচয়+এদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক

Ahsan Al Karim
বেরিয়ে আসলো সিলেট নগরীতে মুসল্লিদের উপর হামলাকারী হিন্দু ইসকনদের পরিচয়.... মনোযোগ দিয়ে লেখাটি পড়ুন....



বিস্তারিত পড়তে ছবিতে ক্লিক করুন






:
ইসকন কি ? কে তাদের চালায় ?
বাংলাদেশে কি তাদের উদ্দেশ্য ?
প্রথমেই বলতে হয়- ইসকন কিন্তু হিন্দুদের কোন
সংগঠন নয়, হিন্দুবেশধারী ইহুদীদের একটি
সংগঠন। আবু রুশদের লেখা---“বাংলাদেশের
গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা-
বাংলাদেশে ‘র’ বইয়ে লেখা আছে-
“‘ইসকন নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ
করছে। এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে
মায়াপুরে। মূলতঃ এটা ইহুদীদের একটি সংগঠন
বলে জানা গেছে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ
হচ্ছে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক ধর্মীয়
অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি।”. (বই-
বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক
প্রধানদের কথা- বাংলাদেশে ‘র’ পৃষ্ঠা:১৭১)
আপনাদের জেনে রাখা দরকার, ইসকনের সৃষ্টি
কিন্তু ভারতে নয় আমেরিকার নিউইয়র্কে।
মাত্র ৫০ বছর আগে, ১৯৬৬ সালে। সংগঠনটির
প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ
ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। অবাক হওয়ার
মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতে কোন হিন্দু
শিক্ষালয়ে লেখাপড়া করেনি, লেখাপড়া
করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে। পেশায় সে
ছিলো ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী, কিন্তু
হঠাৎ করেই তার মাথায় কেন হিন্দু ধর্মের নতুন
সংস্করণের ভুত চাপলো, কিংবা কোন
শিক্ষাবলে চাপলো তা সত্যিই চিন্তার
বিষয়। স্বামী প্রভুপাদ নতুন ধরনের হিন্দু
সংগঠন চালু করতেই প্রথমেই তাতে বাধা
দিয়েছিলো মূল ধারার সনাতন হিন্দুরা।
অধিকাংশ হিন্দুই তার বিরুদ্ধচারণ শুরু করে।
কিন্তু সেই সময় স্বামী প্রভুপাদের পাশে এসে
দাড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি
শিন ও টমাস হপকিন্স-এর মত চিহ্নিত ইহুদী-
খ্রিস্টান এজেন্টরা।
(https://goo.gl/vf9wyi )।
ইসকন একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন। এ
সংগঠনটির বেসিক কনসেপ্ট মধ্যযুগের চৈতন্য’র
থেকে আগত। চৈতন্য’র অনতম থিউরী হচ্ছে-
“নির্যবন করো আজি সকল ভুবন”। যার অর্থ- সারা
পৃথিবীকে যবন মানে মুসলমান মুক্ত করো।
উল্লেখ্য- এ সংগঠনটি হিন্দুদের অধিকাংশ
বেসিক কনসেপ্ট স্বীকার করে না। তারা
হিন্দুদের উপর সম্পূর্ণ নিজস্ব কনসেপ্ট চাপিয়ে
দেয়। এদের চেনার সহজ উপায়- এরা সব সময়
ইউরোপীয় সাদা চামড়াদের সামনে নিয়ে
আসে। সংগঠনটি মুলত এনজিও টাইপ। এরা
নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দলে ভিড়িয়ে দল
ভারি করে। এ কারণে তাদের আস্তানাগুলো
হয় নিম্নবর্ণের হিন্দুদের আস্তানার পাশে।
যেমন ঢাকা শহরে স্বামীবাগ মন্দিরের
পাশে ইসকন মন্দির হওয়ার কারণ, স্বামীবাগে
রয়েছে বিশাল মেথর পট্টি। এই মেথর পট্টির
নিচুবর্ণের হিন্দুদের নিয়ে তারা দল ভারি
করে। সিলেটেও ইসকনদের প্রভাব বেশি।
কারণ চা শ্রমিকদের একটি বিরাট অংশ নিচু
বর্ণের হিন্দু। এদেরকে দলে নিয়ে সহজে কাজ
করে তারা।
বর্তমানে ইসকন চালায় ডাইরেক্ট ইহুদীরা।
ইসকনের মূল নীতিনির্ধারকদের প্রায় অর্ধেক
হচ্ছে ইহুদী। এটি আমার কোন দাবি নয়, এক
ইসকন নেতারই দাবি।
(http://goo.gl/xS3sfH )
বাংলাদেশে ইসকন কি চায় ও কি করে ??
স্বাভাবিকভাবে ইসকনের কর্মকাণ্ড শুধু নাচ
মনে হলেও আদৌ তা নয়। ইসকনের কয়েকটি কাজ
নিম্নরূপ-
১) বাংলাদেশে সনাতন মন্দিরগুলো দখল করা
এবং সনাতনদের মেরে পিটিয়ে তাড়িয়ে
দেয়া। যেমন স্বামীবাগের মন্দিরটি আগে
সনাতনদের ছিলো, পরে ইসকনরা কেড়ে
আগেরদের ভাগিয়ে দেয়। এছাড়া পঞ্চগড়েও
সনাতনদের পিটিয়ে এলাকাছাড়া করে
ইসকনরা। ঠাকুরগাও-এ সনাতন হিন্দুকে হত্যা
করে মন্দির দখল করে ইসকন। এছাড়া অতিসম্প্রতি
সিলেটের জগন্নাথপুরে সনাতনদের রথযাত্রায়
হামলা চালিয়েছে ইসকন নেতা মিণ্টু ধর।
(খবরের সূত্র- http://goo.gl/XwkLvm ,
http://goo.gl/
7hegYE )
২) বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে
সাম্প্রদায়িক হামলা করা। কিছুদিন আগে
ঢাকাস্থ স্বামীবাগে মসজিদের তারাবীর
নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো ইসকন। নামজের
সময় ইসকনের গান-বাজনা বন্ধ রাখতে বলায়
তারা পুলিশ ডেকে এনে তারাবীর উপর
নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে বিষয়টি
নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এবার হলো সিলেটে।
৩) বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক
সংগঠন তৈরী করে, উগ্রহিন্দুত্ববা
দের
বিস্তৃতি ঘটানো। যেমন- জাতীয় হিন্দু
মহাজোট, জাগো হিন্দু, বেদান্ত, ইত্যাদি।
বর্তমান অনলাইন জগতে যে ধর্ম অবমাননা তার
৯০% করে ইসকন সদস্যরা।
৪) বাংলাদেশে সম্প্রতিক সময়ে চাকুরীতে
প্রচুর হিন্দু প্রবেশের অন্যতম কারণ-ইসকন
হিন্দুদের প্রবেশ করানোর জন্য প্রচুর ইনভেস্ট
করে।
৫) সিলেটে রাগীব রাবেয়া মেডিকলে
কলেজের ইস্যুর পেছনে রয়েছে ইসকন। ইসকন আড়াল
থেকে পুরো ঘটনা পরিচালনা করে এবং
পঙ্কজগুপ্তকে ফের লেলিয়ে দেয়। এখন পঙ্কজগুপ্ত
জমি পাওয়ার পর সেই জমি নিজেদের দখলে
নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।। ( http://
goo.gl/g3w0KK )
সবার শেষ কথা হচ্ছে- বাংলাদেশে যদি
এখনই ইসকনকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে
বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বিপদ অপেক্ষা
করছে, যেই বিপদে বাংলাদেশে
স্বাধীনতা হারালেও অবাক হওয়ার কিছু
থাকবে না।
Posted byy : হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন

নিয়ে নিন আপনার বন্দুকে চমকে দিবার মতো ঈদ মোবারক ওয়ালপেপার

আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্দুরা আমরা সকলেই জানি আর মাত্র কয়েকদিন পর ঈদ উল আদ্বহা তাই আজ আমি আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম আপনাদের বন্দুদের গিফট দেওয়ার মতো, কিছু ওয়ালপেপার এর লিংক যে গুলো দিয়ে আপনি আপনার বন্দুকে চমকে দিতে পারবেন +

তাহলে এখনি নিয়ে নিন নিচের লিংক থেকে→

লিংক ০১

লিংক ০২ 

লিংক ০৩

লিংক ০৪

লিংক ০৫ 


Posted by: হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন

ফেইসবোকে আমি

গুরুত্বপূর্ণ দলীল সম্পর্কীত কিছু ওয়াজের লিংক + বাতিলের মোকাবেলা করতে এগুলো আপনার কাজে লাগবে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

সুপ্রিম ইসলামি কর্মী ভাই-বোন ও বন্ধুরা, আমরা প্রায় সময়ই বাতিলদের সাথে তাদের বিভিন্ন (অবান্তর) প্রশ্নের সম্মুখীন হই। অনেক সময় তাদের প্রশ্নের উত্তরে পর্যাপ্ত দলিল কিংবা যুক্তি আমাদের স্মরণে যথাসময়ে না আসার কারণে বাতিলরা মনে করে তারাই ঠিক। তাই বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও পর্যাপ্ত দলিল হাতের নাগালে থাকলে সহজেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।










দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল হিসেবে এ আমি বেশ কয়েকটি লিঙ্ক তৈরি করেছি। যা আপনার মোবাইল/কম্পিউটারের এড্রেসবারে দিলেই আপনি পেয়ে যাবেন। তাছাড়া গুগলেও বিষয়টির নাম কিংবা আমার নাম বাংলায় লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ।

এবার আসি মূলকথায়। দেখি তো কোথায় কি আছে? অর্থাৎ কোন লিঙ্কটিতে কি পাওয়া যাবে?

১# সাধারণভাবে সব লিঙ্ক একসাথে পাবেন যেখানে→
https://mobile.facebook.com/Islamic-Solution-Links-395616673844719/

২# মাযহাব সম্পর্কিত দিলিলভিত্তিক আলোচনা পেতে→
https://mobile.facebook.com/মাযহাব-সম্পর্কে-আলোচনা-মাওঃ-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-389555137783686/

৩# পীর-মুরিদ সম্পর্কিত→
https://mobile.facebook.com/পীর-মুরিদী-সম্পর্কে-আলোচনা-মাওঃ-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-382615291794517/

৪# কবর যিয়ারত→
https://mobile.facebook.com/কবর-যিয়ারত-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-372368686161113/

৫# যানাযার নামাযের পর দুআ সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/jpdsa.samam/

৬# প্রিয়নবী (সা.) এর ইলমে গায়ব→
https://mobile.facebook.com/ইলমে-গায়ব-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-250945788345489/

৭# মিলাদ শরিফে ক্বিয়াম সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/msqsa.samam/

৮# হাশরের ময়দানে নবী-রাসুল, পীর-মাশায়েখ ও অন্যান্যদের শাফায়াত সম্পর্কিত→
https://mobile.facebook.com/শাফাআত-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-366900886707890/

৯# পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/ঈদে-মিলাদুন্নবী-সা-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-386870934700987/

১০# ওসিলা নেয়া(গ্রহণ করা) সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/ওসিলা-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-460074137355507/

১১# ক্বদমবুছি (কদমে চুমো দেয়া) সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/qbsa.samam/

১২# প্রিয়নবী (সা.) এর নূর মোবারক সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/নবীর-নূর-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-349620638460660/

১৩# ইসলামের খেদমতে যেকোন হেল্প এর জন্য আমাকে পাবেন- (ই-মেইল) almuttaki.writer@gmail.com, ফেসবুকের নিয়মিত পাবেন→
 fb.com/almuttaki.writer

১৪. আরো কিছু লিঙ্ক→
(ক)
https://mobile.facebook.com/ডাঃ-জাকির-নায়েক-একটি-ভাইরাস-1427959954197732/

(খ) শবে বরাত→
https://mobile.facebook.com/events/1031887100239534?id=1033225423439035&_rdr

(গ).........
আপডেট চলবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। আমীন (কপি) করা

Poeted by: হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন

গুরুত্বপূর্ণ দলীল সম্পর্কীত কিছু ওয়াজের লিংক+যেমন সবে বরাত+সবে ক্বদর+মাযহাব+পীর মুরিদী+এগুলা কি জায়েজ।


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

সুপ্রিম ইসলামি কর্মী ভাই-বোন ও বন্ধুরা, আমরা প্রায় সময়ই বাতিলদের সাথে তাদের বিভিন্ন (অবান্তর) প্রশ্নের সম্মুখীন হই। অনেক সময় তাদের প্রশ্নের উত্তরে পর্যাপ্ত দলিল কিংবা যুক্তি আমাদের স্মরণে যথাসময়ে না আসার কারণে বাতিলরা মনে করে তারাই ঠিক। তাই বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও পর্যাপ্ত দলিল হাতের নাগালে থাকলে সহজেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
বিস্তারিত পড়তে ছবি তে ক্লিক করুন।










দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল হিসেবে এ আমি বেশ কয়েকটি লিঙ্ক তৈরি করেছি। যা আপনার মোবাইল/কম্পিউটারের এড্রেসবারে দিলেই আপনি পেয়ে যাবেন। তাছাড়া গুগলেও বিষয়টির নাম কিংবা আমার নাম বাংলায় লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ।

এবার আসি মূলকথায়। দেখি তো কোথায় কি আছে? অর্থাৎ কোন লিঙ্কটিতে কি পাওয়া যাবে?

১# সাধারণভাবে সব লিঙ্ক একসাথে পাবেন যেখানে→
https://mobile.facebook.com/Islamic-Solution-Links-395616673844719/

২# মাযহাব সম্পর্কিত দিলিলভিত্তিক আলোচনা পেতে→
https://mobile.facebook.com/মাযহাব-সম্পর্কে-আলোচনা-মাওঃ-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-389555137783686/

৩# পীর-মুরিদ সম্পর্কিত→
https://mobile.facebook.com/পীর-মুরিদী-সম্পর্কে-আলোচনা-মাওঃ-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-382615291794517/

৪# কবর যিয়ারত→
https://mobile.facebook.com/কবর-যিয়ারত-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-372368686161113/

৫# যানাযার নামাযের পর দুআ সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/jpdsa.samam/

৬# প্রিয়নবী (সা.) এর ইলমে গায়ব→
https://mobile.facebook.com/ইলমে-গায়ব-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-250945788345489/

৭# মিলাদ শরিফে ক্বিয়াম সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/msqsa.samam/

৮# হাশরের ময়দানে নবী-রাসুল, পীর-মাশায়েখ ও অন্যান্যদের শাফায়াত সম্পর্কিত→
https://mobile.facebook.com/শাফাআত-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-366900886707890/

৯# পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/ঈদে-মিলাদুন্নবী-সা-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-386870934700987/

১০# ওসিলা নেয়া(গ্রহণ করা) সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/ওসিলা-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-460074137355507/

১১# ক্বদমবুছি (কদমে চুমো দেয়া) সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/qbsa.samam/

১২# প্রিয়নবী (সা.) এর নূর মোবারক সম্পর্কিত আলোচনা→
https://mobile.facebook.com/নবীর-নূর-সম্পর্কে-আলোচনা-মাও-সৈয়দ-আব্দুল-মুঈদ-আল-মুত্তাকী-349620638460660/

১৩# ইসলামের খেদমতে যেকোন হেল্প এর জন্য আমাকে পাবেন- (ই-মেইল) almuttaki.writer@gmail.com, ফেসবুকের নিয়মিত পাবেন→
fb.com/almuttaki.writer

১৪. আরো কিছু লিঙ্ক→
(ক)
https://mobile.facebook.com/ডাঃ-জাকির-নায়েক-একটি-ভাইরাস-1427959954197732/

(খ) শবে বরাত→
https://mobile.facebook.com/events/1031887100239534?id=1033225423439035&_rdr

(গ).........
আপডেট চলবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। আমীন (কপি) করা

Poeted by: হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন

জেনে নিন ভয়কে জয় করার মতো কিছু কথা+বাংলাদেশের ইতিহাস+বিস্তারিত পরুন কাজে লাগবে


সাব্বাহ আলী খান কলিন্স

বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছিল একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ছিল সেই যুদ্ধ। আমাদের পূর্বসূরিরা সেই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন অস্ত্রহাতে জীবনের ভয়কে উপেক্ষা করে। দেশের স্বার্থে দেশের জনগনের স্বার্থে, একটি শোষণহীন-নিরাপদ এবং শান্তির বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের স্বার্থে। পাকিস্তানি শোষকরা আমাদের ওপর বর্বরতা, শোষণ, নিপীড়ন এবং অত্যাচার চাপিয়ে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়; ওরা আমাদের মুখের ভাষাও কেড়ে নিতে চেয়েছিল। ধর্মের আবরণ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। জারি, সারি, ভাটিয়ালী এবং লালনের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশকে সাম্প্রদায়িকরণ করতে চেয়েছিল। ভয় দেখিয়েছিল, হামলে পড়েছিল রক্তপিপাসু পাকিস্তানি শোষকরা। লাভ হয়নি বরং ওদের দেখানো ভয়কে জয় করে বাংলার জনতা ওদের রুখে দিয়েছিল। বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশের। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে কাগজে-কলমে বাংলাদেশের জনতার বিজয় হলেও পরাজিতরা থেমে থাকেনি। তাদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত অব্যাহতভাবে চালিয়েছে যা এখনো ক্রীয়াশীল। পাকিস্তানের জামায়াত পাকিস্তানকে রক্ষার নামে রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন করে কতই না অত্যাচার করেছে। ডাক্তার, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ছাত্র এমনকি বাংলার মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের ওপর। হত্যা, খুন, লুটপাট, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ করেছে যা আজ প্রমাণিত। আরও প্রমাণিত যখন যুদ্ধাপরাধীদের দণ্ড কার্যকর হয় আর তখন পাকিস্তান চিৎকার করে এই বলে যে, বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দণ্ড কার্যকর হওয়ার পর তার সন্তান হুম্মাম কাদের দম্ভের সাথে বলেছে ‘এই হত্যার বিচার একদিন হবে’ তার মানে মুক্তিযুদ্ধ চলমান আর হুম্মাম যখন হুংকার দেয় তখন বুঝতে হবে ওদের পরাজয় ওরা মেনে নিতে পারেনি। এদের পিছনে আজও কারা যেন আছে। যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে চিহ্নিত করা প্রয়োজন এবং যা মুক্তিযুদ্ধেরই অংশ। পরাজিতরা পরাজয়ের ব্যথা আজও ভুলতে পারেনি। আর পারেনি বলেই এখন আমার মাতৃভূমিকে নিয়ে প্রিয় স্বদেশে ষড়যন্ত্র এবং সংকট সৃষ্টির নিরালস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতীয় জনতার অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় আমাদের বিজয় অনেকাংশে ত্বরান্বিত করেছিল। সেই কারণে আমরা চিরকাল তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। এই সময় যখন দেখি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি সই পরিবেশবাদীদের তুমুল বিরোধিতার মুখে তখন শঙ্কিত হই আমাদের অহংকার সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ ভেবে। বিদ্যুৎ কিংবা আলো কোনো না কোনোভাবে পাওয়া যাবে কিন্তু সুন্দরবন? তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যা নিরসন চায় আমার দেশের জনগণ। সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া অতিসত্তর সমাধান করা উচিত আমাদের পুরনো বন্ধু ভারতের। আমরা জানি প্রতিবেশী বদলানো যায় না তাই প্রতিবেশীর স্বার্থে প্রতিবেশীর কর্তব্য আসলেই অনেক। রাজধানীর হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গী হামলা আমাদের সকলের টনক নড়েছে। ২০ জন দেশি-বিদেশি মানুষকে জিম্মি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। যা আমরা মিডিয়ার বদলতে প্রত্যক্ষ করেছি। কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে হামলার প্রচেষ্টা এবং মানুষ খুন আরও ভাবিয়ে তুলেছে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ খুবই আতঙ্কিত, ভীত এবং শঙ্কীত। অনেকে বলেছেন এই ঘটনা দেশে নতুন। আমি বলব অবশ্যই নতুন তবে আবার নতুন নয়। কারণ যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের পক্ষে আইএস এর দায় স্বীকার করেছে। আইএস আছে কি নাই সেই আলোচনায় আমি যাব না। শুধু বলব আইএস একটি ভাবাদস্যু একটি প্রবণতা আর সেই আদর্শের রাজনীতি বহু আগ থেকেই আমাদের এখানে ছিল এবং আছে। ভবিষ্যতে থাকবে কিনা আমরা তাদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করবো কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার আজ সময় এসেছে। আমাদের করণীয় ঠিক করতে হবে। রাজনীতি ও ভোটের অংক থেকে নির্মোহভাবে আমাদের হিসাব-নিকাশ করে এই যুদ্ধে ওদের মোকাবেলা করতে হবে। যে কথা বলছিলাম জঙ্গীবাদ নতুন তবে খুব নতুন নয়। এদের বড় ভাইয়ের নাম মৌলবাদ আর আমাদের এখানে মৌলবাদের রাজনীতির নাম জামায়াত। আর জামায়াতের বাচ্চার নাম শিবির। ’৭১ সালের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার যে বিবরণ আমরা পাই কষাই কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মুজাহিদ, সাকা চৌধুরী, মীর কাশেম, নিজামী, সাঈদীরা কি নির্মম বর্বরভাবে মুক্তিযুদ্ধের সহায়ক আমাদের জাতী গঠনের নির্মাতা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। চোখের ডাক্তারের চোখ তুলে নিয়েছিল, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের হৃদপিণ্ডে বেয়োনেট ডুকিয়ে হত্যা করেছিল। কাউকে কাউকে হত্যার পূর্বে হাত-পা কেটে নিয়েছিল। প্রিয় পাঠক, ভেবে দেখুনতো কত নিষ্ঠুর কত নির্মম, আর ওরা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল সব ধর্মের নামে। মা-বোনদের বলেছিল মালেগোনিমত। শান্তির ধর্মকে তারা করেছিল মানুষ হত্যার নির্মম হাতিয়ার। ৮০’র দশক থেকে দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলিতে ওদের বাচ্চাদের অর্থাৎ শিবিরের তাণ্ডব আমরা দেখেছি। তারা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ছাত্র সংগঠনগুলির নেতা-কর্মীদের হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছিল নৃশংসভাবে। নিশ্চয়ই আমরা ভুলে যায়নি জামায়াত-শিবিরের হাতে খুন হওয়া আমাদের প্রিয় শহীদ জামিল, রিমু, রুপম, ফারুক জাসদ ছাত্র লীগের পিটু, ছাত্র ইউনিয়নের সঞ্জয় তলাপত্রের কথা। ভুলে যায়নি চির পঙ্গুত্ববরণকারী চৈতীর কথা। সর্বশেষ ওরা হত্যা করল ‘আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে’ মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী আওয়াজ তুলে আমাদের প্রিয় সাথী যুব মৈত্রীর নেতা শহীদ রাসেল আহম্মেদ খানকে। সেই লড়াইয়ে কত ছাত্র নেতাকর্মী আহত বা পঙ্গু হয়েছেন। আজ হয়ত আমরা সেই হিসাব রাখি না। শিবির সবই করেছে ধর্মের নামে। গুলশানের রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরাও আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়েই তাদের হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল। গুলশানের ঘটনা নতুন, তবে আগে ওরা ২-৫ জনকে হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে, এখন ওরা একসাথে দেশি-বিদেশি ২০ জনকে হত্যা করেছে এটাই নতুন। ওদের হাত থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও মেয়েরাও রক্ষা পায়নি। অনেকেই বলছেন সংকটটি বৈশ্বিক, অবশ্যই বৈশ্বিক। তবে আমাদের এখানে এদের শক্তিকে সঠিকভাবে চিহ্নত করতে না পারলে বিপদ বাড়বে বৈ কমবে না। জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হওয়ার পর পাকিস্তানপন্থি মুসলিম লীগ এবং জামায়াতকে রাজনীতিতে পুর্নবাসনের ইতিহাস আমাদের সকলেরই জানা। দালাল আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আটককৃত রাজাকারদের জেল থেকে জেনারেল জিয়ার মুক্তিদান নিশ্চয়ই আমাদের মনে আছে। জেনারেল এরশাদের আমাদের রাষ্ট্রকে ইসলামীকরণের নীতিও আমরা ভুলে যাইনি। তারপর খালেদা জিয়ার জামায়াত প্রীতি ও ২০ দলীয় জোটের চর্চা। শত চাপের পরেও জামায়াতকে সাথে নিয়ে চলার খালেদা জিয়ার আগ্রহ ক্ষমতায় থাকাকালীন জামায়াত নেতা নিজামী-মুজাহিদ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য বানানোর আমাদের বারবার মনে করতে হবে। আজকে গুলশান বা শোলাকিয়ায় হামলা বিভিন্ন সময় ওলামা মাশায়েক পুরহিতদের হত্যা করল যারা কিংবা বাসে, ট্রেনে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করল যারা তারা কিভাবে এই কর্মসাধন করতে পারছে? এর অর্থ যোগান দাতাই বা কে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরে ফিরে। বৈশ্বিক ঘটনা বা সংকট হলেও এখানে বিষয়টা একটু ভিন্ন। কারণ জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার নীতি যখন বিএনপি নিচ্ছে না তখন বুঝতে হবে এখানে মাস্টার মাইন্ড বিএনপি। কারণ তারা এই পথে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিএনপি+জামায়াত এর সাথে ক্রিয়াশীল ১২৫-১৩০টি জঙ্গী সংগঠন রয়েছে। জামায়াত জঙ্গীপানা করে অবশিষ্ট যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করতে, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে আর জামায়াত বিএনপির ক্ষমতার পার্টনার হতে চায়। গবেষণায় বলেছে জামায়তের নামে-বেনামের গড়ে ওঠা ব্যবসায়িক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে লাভ আসে প্রায় ২০০০ কোটি টাকারও বেশি। জামায়াত নিষিদ্ধ এবং এর অর্থের উৎস আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয়করণ করা উচিত ছিল বহু আগে কিন্তু তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। জঙ্গী কর্মকাণ্ডে মূলত মাদ্রাসার গরিব ঘরের সন্তানদের ব্যবহার করা হতো। ব্যবহৃত হতো রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কলেজের শিবিরের কর্মীরা। আজ ব্যবহৃত হচ্ছে ‘রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত’ স্লোগান দিয়ে গড়ে ওঠা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। যেখানে উচ্চবিত্তের সন্তানরা পড়াশোনার সুযোগ পায়। বিজ্ঞানভিত্তিক একমুখী শিক্ষার দাবি অনেক পুরানো। সেই দাবি বাস্তবায়িত হলে আশা করি এই সংকট সৃষ্টি করা কঠিন হতো। জঙ্গী ঘটনায় নর্থ সাউথের ছাত্র অংশ নেওয়ায় ঘুরে ফিরে নর্থ সাউথের নাম এসেছে। এখন প্রশ্ন নর্থ সাউথের অনুমোদন দিয়েছিল কে? তাদের ট্রাস্টি বোর্ডেই বা কারা ছিলেন বা আছেন? অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কি অবস্থা ত্বরিত তার কোনো প্রকার ব্যবস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয় করতে পারেনি বলেই আমার বিশ্বাস। নজরদারির কথা মন্ত্রীবাহাদুর বলছেন নজরদারি এখন কেন? সরকারি নজরদারিতো রুটিন ওয়ার্ক হওয়ার কথা। জিপিএ ৫ পাইয়ে দিয়ে বাহবা নিচ্ছেন মন্ত্রীবাহাদুর। কিন্তু পেছনের খবরতো সকলের জানা। ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষার খাতায় ভালো নাম্বার দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করাতো আজ সমাজে পরিষ্কার। প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভালো ফল আর দেশপ্রেম এক কথা নয়। নিশ্চয় মন্ত্রীবাহাদুর ভুলে গেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যে যার মতো চালিয়ে যাচ্ছে বেতন থেকে শুরু করে পাঠ্যক্রম পর্যন্ত। কোমলমতি বাচ্চাগুলির বয়সের চাইতে ওদের বইয়ের ওজন বেশি। বিনোদনের কোনো সুযোগ সমাজে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথাও নেই। যা আছে তা আবার পয়সার বিনিময়ে সেখানে সবার যাওয়ার সুযোগ নাই। পিতা-মাতার অশুভ প্রতিযোগিতা সন্তানদের ভালো ফল করানোর লক্ষ্যে, এতে করে সন্তানটি হয়ে যাচ্ছে কষ্টদায়ক লেখাপড়া নির্ভর বিনোদনের নামে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল নির্ভরতা পেয়ে বসছে। এতে করে বাচ্চাটি হচ্ছে আত্মকেন্দ্রিক পরবর্তীতে হতাশ। আবার পড়াশোনা শেষে পাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত উচ্চশিক্ষার সুযোগ আবার শিক্ষা শেষে পাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত কর্ম। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে চাইলে যোগ্যতার আগে প্রয়োজন অর্থ। অর্থাৎ ভর্তি হওয়ার আগে রাজনীতিক বা আমলাদের তুষ্টি অর্জনের ব্যবস্থা। তারপর চাকরিতে সুযোগ নিতে লাগে ঘুষ। যা আজ আর আমাদের সমাজে রাখঢাক নেই, প্রায় ওপেন সিক্রেট। রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলো এই মহাসঙ্কট মোকাবিলায় অংশগ্রহণ করছে না নাকি পারছে না আমি জানি না। তারা ঘুরছে কিসের পেছনে কে জানে! নির্যাতিত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে হতাশা, আর সেই হতাশা থেকে তারা বেছে নিচ্ছে বিপদগামী পথ। আধুনিক সভ্যতায় ছোট ছোট পরিবার একাকিত্ব আরেকটি কারণ হতে পারে বলে আমি মনে করি। পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখার চেষ্টা আমাদের সকলকেই করতে হবে। বিপদগামীদের সুযোগ বুঝে দলে ভিড়াচ্ছে জঙ্গীবাদীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গীদের রুখতে শিক্ষক-অভিভাবকরা যেমন সচেতন হবেন তেমনিভাবে স্কুল পর্যায়ে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলিকেও যথেষ্ঠ উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। রিক্রুটমেন্ট পলিসি ঠিক করতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা করতে না পারলে জঙ্গীবাদীরা জিতবে। ওরা রিক্রুটমেন্টের ব্যাপারে সক্রিয়, যেখানে আমাদের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক মানুষকে পাড়া মহল্লায় সন্তানদের সুনাগরিক হওয়ার প্রশ্নে উদ্যোগী ও যতবান হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে ক্লাব, পাঠাগার, আয়োজন করতে হবে বিশেষ দিনের বিশেষ আয়োজন চিত্রাঙ্কন, নাচ, গান, আবৃতি ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। সঠিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। উদ্যোগের অভাবে বিজয়ী জাতি পরাজিত হতে পারে। সরকারকেও অভিভাবকের ভূমিকা নিতে হবে। শুধু উন্নয়নের বন্যায় ভেসে যেতে পারে আমাদের অনেক কিছু। দুর্নীতি থামানো জরুরি, জরুরি সুশাসন। আমরা যখন নিষ্ক্রিয় কর্মী সংগ্রহে তখন ওরা নীরবে নিভৃতে কর্মী সংগ্রহ করছে এবং সেই কর্মী বিভিন্ন নামের জঙ্গী সংগঠনগুলিকে সরবরাহ করছে। এটা এখন বাস্তবতা। আমরা দেখেছি জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান, আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন ছাত্র লীগের মধ্যে শিবির প্রবেশ করেছে। তৃণমূলে আওয়ামী লীগ জামায়াতের মিত্রতা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। টিভি চ্যানেলগুলিতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণ অনুষ্ঠান থাকা জরুরি, আজ যা দেখি না। যা দেখি বিনোদনমূলক শিক্ষামূলক নয়। টিভিতে যা দেখি তার মধ্যে সমাজের উচুতলার প্রেম সুখ দুঃখ নিয়ে চিত্রায়িত করা। অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি কিংবা দেশজাতি গঠনে উল্লেখ করার মতন কোনো অনুষ্ঠান দেখা যায় না বললেই চলে। যা দেখি তা খুবই সামান্য। আর তাই মানুষ ঝুঁকছে অন্য দেশের চ্যানেলগুলির দিকে। যা অবশ্যই আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির জন্য হুমকি। হলি আর্টিজামে আক্রমণের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমার অনেকটা অসহায় মনে হয়েছে, পেশাদার মনে হয়নি, টেলিভিশনে যা দেখেছি। টেলিভিশনেও দেখলাম রাস্তাঘাটেও দেখি প্রায় কর্তব্যরত পুলিশ মোবাইলফোনে কথা বলছেন। আমি জানি না কর্তব্যরত অবস্থায় ব্যক্তিগত কোনো বিষয় অগ্রাধিকার পাবে কিনা। নিখোঁজদের অভিভাবকের অনেকেই পুলিশকে তাদের নিখোঁজ সন্তান খুজে পাওয়ার জন্য বলেছেন। পুলিশ নাকি বলেছে আপনারা বড়লোক সন্তান কোথাও হয়তোবা বেড়াতে গিয়েছে। এটা অবশ্যই কর্তব্য অবহেলা, যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে! পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, গ্রেফতার বাণিজ্য থেকে চাঁদা আদায় পর্যন্ত। পুলিশের দুর্নীতি প্রমাণিত। পুলিশ বাহিনীকে দুর্নীতি মুক্ত করে তাদের পেশাদারিত্ব ও সক্ষমতা অর্জনের জরুরি পদক্ষেপ দরকার। গোয়েন্দাদেরও জাতীয় স্বার্থে আরও বেশি সজাগ, সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পুলিশ বাহিনীর ২ জন কর্মকর্তা নিহত ও বহু আহত হওয়া অবশ্যই খুব দুঃখের। শোকাহত পরিবার পরিজনদের প্রতি আমার সমবেদনা, তার সাথে অনেক শ্রদ্ধা সাহসী ২ বীর পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি। যাই হোক পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সফল অভিযানে আক্রান্ত স্থান নিয়ন্ত্রণে আসে। অভিযান পরিচালনার আগে জিম্মি কয়েকজন পালিয়ে যাচ্ছিল, পত্রিকায় দেখলাম জঙ্গীরা বলছিল ‘তোমরা পালিয়ে যাচ্ছো আর আমরা বেহেশতে যাচ্ছি।’ এটা ভয়ঙ্কর। এই উক্তি তখনই আসে যখন সে ওয়েল মটিভেটেড হয়। তাদের মটিভিশন দিচ্ছে কারা? কোথায় বা তাদের প্রশিক্ষণ হয়? কেনইবা পুলিশ তাদের সবগুলি আস্থানা খুঁজে পাচ্ছে না। আজ আমরা কেউই নিরাপদ নই এটা সত্য। কিন্তু সমাজে, রাষ্ট্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলকে মিলেই নিতে হবে। পুলিশকে সততা নিষ্ঠার সাথে এই কর্ম সাধন করতে হবে। খালেদা জিয়া মনে মনে এই সঙ্কটের মধ্যে ক্ষমতায় যাওয়ার আকাঙ্ক্ষ থাকলেও এই দানব এখন রুখতে না পারলে তাকেও গিলে খাবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল কর্মী বিশ্বজিৎ, তপন, নতুনকে নির্মমভাবে খুন করেছিল শিবিরের সন্ত্রাসীরা। খালেদা জিয়ার মনে থাকার কথা নয় তারপরও তাকে মনে করিয়ে দিতে চাই তার শাসনামলেই শিবির খুন করেছিল ওই তিনজন মেধাবি ছাত্রকে। এই দানবরা মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিতাড়িত হওয়ার আগেই বিভিন্ন দেশে তারা নোঙ্গর করার চেষ্টা করছে। আমেরিকার মদদ রয়েছে এই জঙ্গীদের সৃষ্টিতে যা আমরা সবাই জানি। রয়েছে ইসরাইল, তুরস্কসহ আমেরিকার তোসামদকারী অনেক রাষ্ট্র। ইরাক আক্রমণ ভুল ছিল বলে আলোচনায় এসেছে। ওদের ভুলের খেসাড়ত দিচ্ছে বিশ্ববাসী। সাথে আমরাও যুক্ত হবার পথে। কথায় আছে ‘আমেরিকা সর্প হইয়া দংশন করে, ওঝা হয়ে ঝাড়ে।’ তাই সাধু সাবধান। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী সোচ্চার হলেও আওয়ামী লীগকে সোচ্চার হতে দেখি না। যতটুকুই দেখি তা যথেষ্ঠ নয়। রাজনৈতিক দলগুলো জঙ্গীবাদীদের বিরুদ্ধে ঐক্য জরুরি। কারণ ভয়ার্ত মানুষকে অভয় দিতে পারে শুধুমাত্র রাজনীতি। শুনি না আমার বাড়ির পাশের গোলিতে মিছিলের আওয়াজ। যেখানে আওয়াজ তোলা হচ্ছে ‘বীর জনতা ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই’ কিংবা ‘জঙ্গীবাদের ঠিকানা বাংলাদেশে হবে না।’ নেতা নেত্রীর নামে স্লোগান বড় বড় জনসভাতে শুনা গেলেও গোলির ভিতর ছোট্ট মিছিলটাও অভয় দিতে পারে জনগণকে। মানুষকে স্বপ্নবান করা, ভবিষ্যতে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেয়ার অঙ্গীকার সরকারকেই করতে হবে। বাস্তবায়নও দেখাতে হবে তাদের কাজের। এই প্রসঙ্গে রাজনীতিকদের এবং তাদের কর্মসূচি গ্রহণ তাতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ খুবই জরুরি। অভয় দিয়ে জনতাকে রাস্তায় নামানো আজ রাজনৈতিক দলসমূহের প্রথম ও প্রধান কাজ। রাজনীতিকদের প্রতি জনগণের বিশ্বাস স্থাপনের কাজটি রাজনীতিকদেরই করতে হবে। সরকারিভাবে কিছু সভা ডিসি ইউএনও পুলিশ দিয়ে জঙ্গীবাদী সঙ্কট কতটুকু মোকাবেলা বা প্রতিরোধ করা যাবে তা সময়ই বলে দেবে। যে লড়াই আজ চলমান সেই লড়াই এগিয়ে নিতে ভয় পেলে চলবে না। আমরা বিজয়ী জাতি ভয়কে জয় করে হাতে হাত ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে প্রিয় স্বদেশ রক্ষায়। এর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই
[লেখক : সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ যুব মৈত্রী ও সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী
- See more at: http://bm.thereport24.com/article/162714/index.html#sthash.f9F1n90P.dpuf

ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী কোন স্ত্রী কে ফেরেশতাগন সারা রাত অভিশাপ দেন,জেনে নিন,বিস্তারিত পরুন,



অনেক মহিলাকেই দেখা যায় স্বামী-স্ত্রীতে একটু খুনসুটি হলেই স্বামীকে শাস্তি দেওয়ার মানসে তার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা বন্ধ করে বসে। এতে অনেক রকম ক্ষতি দেখা দেয়। পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হয়। স্বামী দৈহিক তৃপ্তির জন্য অবৈধ পথও বেছে নেয়, অন্য স্ত্রী গ্রহণের চিন্তাও তাকে পেয়ে বসে। এভাবে বিষয়টি হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে স্বীয় শয্যা গ্রহণ বা দৈহিক মিলনের জন্য আহবান জানায়, কিন্তু স্ত্রী তা অস্বীকার করায় স্বামী তার ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে রাত কাটায়, তখন ফিরিশতাগণ সকাল পর্যন্ত ঐ স্ত্রীর ওপর অভিশাপ দিতে থাকে”। [সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৩২৪৬]


অনেক মহিলাকেই দেখা যায় স্বামী-স্ত্রীতে একটু খুনসুটি হলেই স্বামীকে শাস্তি দেওয়ার মানসে তার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা বন্ধ করে বসে। এতে অনেক রকম ক্ষতি দেখা দেয়। পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হয়। স্বামী দৈহিক তৃপ্তির জন্য অবৈধ পথও বেছে নেয়, অন্য স্ত্রী গ্রহণের চিন্তাও তাকে পেয়ে বসে। এভাবে বিষয়টি হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সুতরাং স্ত্রীর কর্তব্য হবে স্বামী ডাকামাত্রই তার ডাকে সাড়া দেওয়া। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে তার সঙ্গে দৈহিক মিলনের জন্য ডাকবে, তখনই যেন সে তার ডাকে সাড়া দেয়। এমনকি সে যদি ক্বাতবের পিঠেও থাকে। ” [যাওয়াইদুল বাযযার ২/১৮১ পৃ; সহীহুল জামে, হাদীস নং ৫৪৭] ‘ক্বাতব’ হচ্ছে, উঠের পিঠে রাখা গদি যা সওয়ারের সময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

স্বামীরও কর্তব্য হবে, স্ত্রী রোগাক্রান্ত্র, গর্ভবতী কিংবা অন্য কোনো অসুবিধায় পতিত হলে তার অবস্থা বিবেচনা করা। এতে করে তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় থাকবে এবং মনোমালিন্য সৃষ্টি হবে না।

Posted byy: হাফিজ নাছির উদ্দিন

আরো মজার সব অজানা জিনিস জানতে ক্লিক করুন
এখানে

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কোরবানীর মাসায়েল পর্ব ০২ ৭০ টি দলীল,কার ওপর কোরবানী করা ওয়াজিব,

সামর্থবান ব্যাক্তির উপরে কোরবানী করা ওয়াজিব।

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫

ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরি। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল অনুযায়ী সম্পাদন করা। এ উদ্দেশ্যে এখানে কুরবানীর কিছু জরুরি মাসায়েল উল্লেখ হল।

কার উপর কুরবানী ওয়াজিব

মাসআলা : ১. প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫

নেসাবের মেয়াদ

মাসআলা ২. কুরবানীর নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়; বরং কুরবানীর তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী ওয়াজিব হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২

কুরবানীর সময়

মাসআলা : ৩. মোট তিনদিন কুরবানী করা যায়। যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে যিলহজ্বের ১০ তারিখেই কুরবানী করা উত্তম। -মুয়াত্তা মালেক ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮, ২৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫

নাবালেগের কুরবানী

মাসআলা : ৪. নাবালেগ শিশু-কিশোর তদ্রূপ যে সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন নয়, নেসাবের মালিক হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। অবশ্য তার অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬

মুসাফিরের জন্য কুরবানী

মাসআলা : ৫. যে ব্যক্তি কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে (অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। -ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫

নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী

মাসআলা : ৬. নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া অভিভাবকের উপর ওয়াজিব নয়; বরং মুস্তাহাব।-রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৫; ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫

দরিদ্র ব্যক্তির কুরবানীর হুকুম

মাসআলা : ৭. দরিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কুরবানীর নিয়তে কোনো পশু কিনে তাহলে তা কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯২

কুরবানী করতে না পারলে

মাসআলা : ৮. কেউ যদি কুরবানীর দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে ছিল, কিন্তু কোনো কারণে কুরবানী দেওয়া হয়নি তাহলে ঐ পশু জীবিত সদকা করে দিবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৪, ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫

প্রথম দিন কখন থেকে কুরবানী করা যাবে

মাসআলা : ৯. যেসব এলাকার লোকদের উপর জুমা ও ঈদের নামায ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাযের আগে কুরবানী করা জায়েয নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামায না হয় তাহলে ঈদের নামাযের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কুরবানী করা জায়েয।-সহীহ বুখারী ২/৮৩২, কাযীখান ৩/৩৪৪, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮

রাতে কুরবানী করা

মাসআলা : ১০. ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতেও কুরবানী করা জায়েয। তবে দিনে কুরবানী করাই ভালো। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৪৯২৭; মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২২, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, কাযীখান ৩/৩৪৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত পশু সময়ের পর যবাই করলে

মাসআলা : ১১. কুরবানীর দিনগুলোতে যদি জবাই করতে না পারে তাহলে খরিদকৃত পশুই সদকা করে দিতে হবে। তবে যদি (সময়ের পরে) জবাই করে ফেলে তাহলে পুরো গোশত সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোশতের মূল্য যদি জীবিত পশুর চেয়ে কমে যায় তাহলে যে পরিমাণ মূল্য হ্রাস পেল তা-ও সদকা করতে হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০২, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০-৩২১

কোন কোন পশু দ্বারা কুরবানী করা যাবে

মাসআলা : ১২. উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ, বন্যগরু ইত্যাদি দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫

নর ও মাদা পশুর কুরবানী

মাসআলা : ১৩. যেসব পশু কুরবানী করা জায়েয সেগুলোর নর-মাদা দুটোই কুরবানী করা যায়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫

কুরবানীর পশুর বয়সসীমা

মাসআলা : ১৪. উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে।

উল্লেখ্য, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই তা দ্বারা কুরবানী জায়েয হবে না। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫-২০৬

এক পশুতে শরীকের সংখ্যা

মাসআলা : ১৫. একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কুরবানী দিতে পারবে। এমন একটি পশু কয়েকজন মিলে কুরবানী করলে কারোটাই সহীহ হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারবে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না। -সহীহ মুসলিম ১৩১৮, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৯, কাযীখান ৩/৩৪৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭-২০৮

সাত শরীকের কুরবানী

মাসআলা : ১৬. সাতজনে মিলে কুরবানী করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরীকের কুরবানীই সহীহ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭

মাসআলা : ১৭. উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কুরবানী করা জায়েয। -সহীহ মুসলিম ১৩১৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭

কোনো অংশীদারের গলদ নিয়ত হলে

মাসআলা : ১৮. যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯

কুরবানীর পশুতে আকীকার অংশ

মাসআলা : ১৯. কুরবানীর গরু, মহিষ ও উটে আকীকার নিয়তে শরীক হতে পারবে। এতে কুরবানী ও আকীকা দুটোই সহীহ হবে।-তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/১৬৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬২

মাসআলা : ২০. শরীকদের কারো পুরো বা অধিকাংশ উপার্জন যদি হারাম হয় তাহলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না।

মাসআলা : ২১. যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কুরবানী দেওয়ার নিয়তে কিনে আর সে ধনী হয় তাহলে ইচ্ছা করলে অন্যকে শরীক করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে একা কুরবানী করাই শ্রেয়। শরীক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরীব হয়, যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, তাহলে সে অন্যকে শরীক করতে পারবে না। এমন গরীব ব্যক্তি যদি কাউকে শরীক করতে চায় তাহলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিবে।-কাযীখান ৩/৩৫০-৩৫১, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০

কুরবানীর উত্তম পশু

মাসআলা : ২২. কুরবানীর পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম।-মুসনাদে আহমদ ৬/১৩৬, আলমগীরী ৫/৩০০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

খোড়া পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৩. যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন পশুর কুরবানী জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩, আলমগীরী ৫/২৯৭

রুগ্ন ও দুর্বল পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৪. এমন শুকনো দুর্বল পশু, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না তা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, আলমগীরী ৫/২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪

দাঁত নেই এমন পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৫. যে পশুর একটি দাঁতও নেই বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না এমন পশু দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয নয়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫, আলমগীরী ৫/২৯৮

যে পশুর শিং ভেঙ্গে বা ফেটে গেছে

মাসআলা : ২৬. যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে, যে কারণে

মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। পক্ষান্তরে যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি সে পশু কুরবানী করা জায়েয। -জামে তিরমিযী ১/২৭৬, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৪, আলমগীরী ৫/২৯৭

কান বা লেজ কাটা পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৭. যে পশুর লেজ বা কোনো কান অর্ধেক বা তারও বেশি কাটা সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। আর যদি অর্ধেকের বেশি থাকে তাহলে তার কুরবানী জায়েয। তবে জন্মগতভাবেই যদি কান ছোট হয় তাহলে অসুবিধা নেই। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, মুসনাদে আহমদ ১/৬১০, ইলাউস সুনান ১৭/২৩৮, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ৫/২৯৭-২৯৮

অন্ধ পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৮. যে পশুর দুটি চোখই অন্ধ বা এক চোখ পুরো নষ্ট সে পশু কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪

নতুন পশু ক্রয়ের পর হারানোটা পাওয়া গেলে

মাসআলা : ২৯. কুরবানীর পশু হারিয়ে যাওয়ার পরে যদি আরেকটি কেনা হয় এবং পরে হারানোটিও পাওয়া যায় তাহলে কুরবানীদাতা গরীব হলে (যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) দুটি পশুই কুরবানী করা ওয়াজিব। আর ধনী হলে কোনো একটি কুরবানী করলেই হবে। তবে দুটি কুরবানী করাই উত্তম। -সুনানে বায়হাকী ৫/২৪৪, ইলাউস সুনান ১৭/২৮০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৯, কাযীখান ৩/৩৪৭

গর্ভবতী পশুর কুরবানী

মাসআলা : ৩০. গর্ভবতী পশু কুরবানী করা জায়েয। জবাইয়ের পর যদি বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সেটাও জবাই করতে হবে। তবে প্রসবের সময় আসন্ন হলে সে পশু কুরবানী করা মাকরূহ। -কাযীখান ৩/৩৫০

পশু কেনার পর দোষ দেখা দিলে

মাসআলা : ৩১. কুরবানীর নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি তাতে এমন কোনো দোষ দেখা দেয় যে কারণে কুরবানী জায়েয হয় না তাহলে ওই পশুর কুরবানী সহীহ হবে না। এর স্থলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। তবে ক্রেতা গরীব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানী করতে পারবে। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ফাতাওয়া নাওয়াযেল ২৩৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫

পশুর বয়সের ব্যাপারে বিক্রেতার কথা

মাসআলা : ৩২. যদি বিক্রেতা কুরবানীর পশুর বয়স পূর্ণ হয়েছে বলে স্বীকার করে আর পশুর শরীরের অবস্থা দেখেও তাই মনে হয় তাহলে বিক্রেতার কথার উপর নির্ভর করে পশু কেনা এবং তা দ্বারা কুরবানী করা যাবে। -আহকামে ঈদুল আযহা, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ. ৫

বন্ধ্যা পশুর কুরবানী

মাসআলা : ৩৩. বন্ধ্যা পশুর কুরবানী জায়েয। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫

নিজের কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা

মাসআলা : ৩৪. কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা উত্তম। নিজে না পারলে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এক্ষেত্রে কুরবানীদাতা পুরুষ হলে জবাইস্থলে তার উপস্থিত থাকা ভালো। -মুসনাদে আহমদ ২২৬৫৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২২-২২৩, আলমগীরী ৫/৩০০, ইলাউস সুনান ১৭/২৭১-২৭৪

জবাইয়ে একাধিক ব্যক্তি শরীক হলে

মাসআলা : ৩৫. অনেক সময় জবাইকারীর জবাই সম্পন্ন হয় না, তখন কসাই বা অন্য কেউ জবাই সম্পন্ন করে থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই উভয়কেই নিজ নিজ যবাইয়ের আগে‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়তে হবে। যদি কোনো একজন না পড়ে তবে ওই কুরবানী সহীহ হবে না এবং জবাইকৃত পশুও হালাল হবে না। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩৩৪

কুরবানীর পশু থেকে জবাইয়ের আগে উপকৃত হওয়া

মাসআলা : ৩৬. কুরবানীর পশু কেনার পর বা নির্দিষ্ট করার পর তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয নয়। যেমন হালচাষ করা, আরোহণ করা, পশম কাটা ইত্যাদি।সুতরাং কুরবানীর পশু দ্বারা এসব করা যাবে না। যদি করে তবে পশমের মূল্য, হালচাষের মূল্য ইত্যাদি সদকা করে দিবে।-মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, নায়লুল আওতার ৩/১৭২, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০০

কুরবানীর পশুর দুধ পান করা

মাসআলা : ৩৭. কুরবানীর পশুর দুধ পান করা যাবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর

কষ্ট হবে না বলে মনে হয় তাহলে দোহন করবে না। প্রয়োজনে ওলানে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দেবে। এতে দুধের চাপ কমে যাবে। যদি দুধ দোহন করে ফেলে তাহলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজে পান করে থাকলে মূল্য সদকা করে দিবে। -মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭,

রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৯, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১

কোনো শরীকের মৃত্যু ঘটলে

মাসআলা : ৩৮. কয়েকজন মিলে কুরবানী করার ক্ষেত্রে জবাইয়ের আগে কোনো শরীকের মৃত্যু হলে তার ওয়ারিসরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করার অনুমতি দেয় তবে তা জায়েয হবে। নতুবা ওই শরীকের টাকা ফেরত দিতে হবে। অবশ্য তার

স্থলে অন্যকে শরীক করা যাবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৬, কাযীখান ৩/৩৫১

কুরবানীর পশুর বাচ্চা হলে

মাসআলা : ৩৯. কুরবানীর পশু বাচ্চা দিলে ওই বাচ্চা জবাই না করে জীবিত সদকা করে দেওয়া উত্তম। যদি সদকা না করে তবে কুরবানীর পশুর সাথে বাচ্চাকেও জবাই করবে এবং গোশত সদকা করে দিবে।-কাযীখান ৩/৩৪৯, আলমগীরী ৫/৩০১, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩

মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী

মাসআলা : ৪০. মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করা জায়েয। মৃত ব্যক্তি যদি ওসিয়ত না করে থাকে তবে সেটি নফল কুরবানী হিসেবে গণ্য হবে। কুরবানীর স্বাভাবিক গোশতের মতো তা নিজেরাও খেতে পারবে এবং আত্মীয়-স্বজনকেও দিতে পারবে। আর যদি মৃত ব্যক্তি কুরবানীর ওসিয়ত করে গিয়ে থাকে তবে এর গোশত নিজেরা খেতে পারবে না। গরীব-মিসকীনদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে। -মুসনাদে আহমদ ১/১০৭, হাদীস ৮৪৫, ইলাউস সুনান ১৭/২৬৮, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, কাযীখান ৩/৩৫২

কুরবানীর গোশত জমিয়ে রাখা

মাসআলা : ৪১. কুরবানীর গোশত তিনদিনেরও অধিক জমিয়ে রেখে খাওয়া জায়েয।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, সহীহ মুসলিম ২/১৫৯, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৮, ইলাউস সুনান ১৭/২৭০

কুরবানীর গোশত বণ্টন

মাসআলা : ৪২. শরীকে কুরবানী করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েয নয়।-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭, কাযীখান ৩/৩৫১

মাসআলা : ৪৩. কুরবানীর গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। অবশ্য পুরো গোশত যদি নিজে রেখে দেয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০

গোশত, চর্বি বিক্রি করা

মাসআলা : ৪৪. কুরবানীর গোশত, চর্বি ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েয নয়। বিক্রি করলে পূর্ণ মূল্য সদকা করে দিতে হবে। -ইলাউস সুনান ১৭/২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১

জবাইকারীকে চামড়া, গোশত দেওয়া

মাসআলা : ৪৫. জবাইকারী, কসাই বা কাজে সহযোগিতাকারীকে চামড়া, গোশত বা কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েয হবে না। অবশ্য পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়ার পর পূর্বচুক্তি ছাড়া হাদিয়া হিসাবে গোশত বা তরকারী দেওয়া যাবে।

জবাইয়ের অস্ত্র

মাসআলা : ৪৬. ধারালো অস্ত্র দ্বারা জবাই করা উত্তম।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

পশু নিস্তেজ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা

মাসআলা : ৪৭. জবাইয়ের পর পশু

নিস্তেজ হওয়ার আগে চামড়া খসানো বা অন্য কোনো অঙ্গ কাটা মাকরূহ। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

অন্য পশুর সামনে জবাই করা

মাসআলা : ৪৮. এক পশুকে অন্য পশুর সামনে জবাই করবে না। জবাইয়ের সময় প্রাণীকে অধিক কষ্ট না দেওয়া।

কুরবানীর গোশত বিধর্মীকে দেওয়া

মাসআলা : ৪৯. কুরবানীর গোশত হিন্দু ও অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেওয়া জায়েয।-ইলাউস সুনান ৭/২৮৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০

অন্য কারো ওয়াজিব কুরবানী আদায় করতে চাইলে

মাসআলা : ৫০. অন্যের ওয়াজিব কুরবানী দিতে চাইলে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে। নতুবা ওই ব্যক্তির কুরবানী আদায় হবে না। অবশ্য স্বামী বা পিতা যদি স্ত্রী বা সন্তানের বিনা অনুমতিতে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করে তাহলে তাদের কুরবানী আদায় হয়ে যাবে। তবে অনুমতি নিয়ে আদায় করা ভালো।

কুরবানীর পশু চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে

মাসআলা : ৫১. কুরবানীর পশু যদি চুরি হয়ে যায় বা মরে যায় আর কুরবানীদাতার উপর পূর্ব থেকে কুরবানী ওয়াজিব থাকে তাহলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। গরীব হলে (যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) তার জন্য আরেকটি পশু কুরবানী করা ওয়াজিব নয়।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯

পাগল পশুর কুরবানী

মাসআলা : ৫২. পাগল পশু কুরবানী করা জায়েয। তবে যদি এমন পাগল হয় যে, ঘাস পানি দিলে খায় না এবং মাঠেও চরে না তাহলে সেটার কুরবানী জায়েয হবে না। -আননিহায়া ফী গরীবিল হাদীস ১/২৩০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৫২

নিজের কুরবানীর গোশত খাওয়া

মাসআলা : ৫৩. কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর গোশত খাওয়া মুস্তাহাব। -সূরা হজ্ব ২৮, সহীহ মুসলিম ২২/১৫৯, মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৯০৭৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪

ঋণ করে কুরবানী করা

মাসআলা : ৫৪. কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তিও ঋণের টাকা দিয়ে কুরবানী করলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে কুরবানী করা যাবে না।

হাজীদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানী

মাসআলা : ৫৫. যেসকল হাজী কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে তাদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানী ওয়াজিব নয়। কিন্তু যে হাজী কুরবানীর কোনো দিন মুকীম থাকবে সামর্থ্যবান হলে তার উপর ঈদুল আযহার কুরবানী করা জরুরি হবে। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৩, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৬৬

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা

মাসআলা : ৫৬. সামর্থ্যবান ব্যক্তির রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা উত্তম। এটি বড় সৌভাগ্যের বিষয়ও বটে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রা.কে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করার ওসিয়্যত করেছিলেন। তাই তিনি প্রতি বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকেও কুরবানী দিতেন। -সুনানে আবু দাউদ ২/২৯, জামে তিরমিযী ১/২৭৫, ইলাউস সুনান ১৭/২৬৮, মিশকাত ৩/৩০৯

কোন দিন কুরবানী করা উত্তম

মাসআলা : ৫৭. ১০, ১১ ও ১২ এ তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন কুরবানী করা অধিক উত্তম। এরপর দ্বিতীয় দিন, এরপর তৃতীয় দিন। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬

খাসীকৃত ছাগল দ্বারা কুরবানী

মাসআলা : ৫৮. খাসিকৃত ছাগল দ্বারা কুরবানী করা উত্তম। -ফাতহুল কাদীর ৮/৪৯৮, মাজমাউল আনহুর ৪/২২৪, ইলাউস সুনান ১৭/৪৫৩

জীবিত ব্যক্তির নামে কুরবানী

মাসআলা : ৫৯. যেমনিভাবে মৃতের পক্ষ থেকে ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরবানী করা জায়েয তদ্রূপ জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার ইসালে সওয়াবের জন্য নফল কুরবানী করা জায়েয। এ কুরবানীর গোশত দাতা ও তার পরিবারও খেতে পারবে।

বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির কুরবানী অন্যত্রে করা

মাসআলা : ৬০. বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির জন্য নিজ দেশে বা অন্য কোথাও কুরবানী করা জায়েয।

কুরবানীদাতা ভিন্ন স্থানে থাকলে কখন জবাই করবে

মাসআলা : ৬১. কুরবানীদাতা এক স্থানে আর কুরবানীর পশু ভিন্ন স্থানে থাকলে কুরবানীদাতার ঈদের নামায পড়া বা না পড়া ধর্তব্য নয়; বরং পশু যে এলাকায় আছে ওই এলাকায় ঈদের জামাত হয়ে গেলে পশু জবাই করা যাবে। -আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮

কুরবানীর চামড়া বিক্রির অর্থ সাদকা করা

মাসআলা : ৬২. কুরবানীর চামড়া কুরবানীদাতা নিজেও ব্যবহার করতে পারবে। তবে কেউ যদি নিজে ব্যবহার না করে বিক্রি করে তবে বিক্রিলব্ধ মূল্য পুরোটা সদকা করা জরুরি। -আদ্দুররুল মুখতার, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১

কুরবানীর চামড়া বিক্রির নিয়ত

মাসআলা : ৬৩. কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করলে মূল্য সদকা করে দেওয়ার নিয়তে বিক্রি করবে। সদকার নিয়ত না করে নিজের খরচের নিয়ত করা নাজায়েয ও গুনাহ। নিয়ত যা-ই হোক বিক্রিলব্ধ অর্থ পুরোটাই সদকা করে দেওয়া জরুরি। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১, কাযীখান ৩/৩৫৪

কুরবানীর শেষ সময়ে মুকীম হলে

মাসআলা : ৬৪. কুরবানীর সময়ের প্রথম দিকে মুসাফির থাকার পরে ৩য় দিন কুরবানীর সময় শেষ হওয়ার পূর্বে মুকীম হয়ে গেলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে প্রথম দিনে মুকীম ছিল অতপর তৃতীয় দিনে মুসাফির হয়ে গেছে তাহলেও তার উপর কুরবানী ওয়াজিব থাকবে না। অর্থাৎ সে কুরবানী না দিলে গুনাহগার হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৬, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৯

কুরবানীর পশুতে ভিন্ন ইবাদতের নিয়তে শরীক হওয়া

মাসআলা : ৬৫. এক কুরবানীর পশুতে আকীকা, হজ্বের কুরবানীর নিয়ত করা যাবে। এতে প্রত্যেকের নিয়তকৃত ইবাদত আদায় হয়ে যাবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, আলমাবসূত সারাখছী ৪/১৪৪, আলইনায়া ৮/৪৩৫-৩৪৬, আলমুগনী ৫/৪৫৯

কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা

মাসআলা : ৬৬. ঈদুল আযহার দিন সর্বপ্রথম নিজ কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত। অর্থাৎ সকাল থেকে কিছু না খেয়ে প্রথমে কুরবানীর গোশত খাওয়া সুন্নত। এই সুন্নত শুধু ১০ যিলহজ্বের জন্য। ১১ বা ১২ তারিখের গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত নয়। -জামে তিরমিযী ১/১২০, শরহুল মুনয়া ৫৬৬, আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৬, আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৩

কুরবানীর পশুর হাড় বিক্রি

মাসআলা : ৬৭. কুরবানীর মৌসুমে অনেক মহাজন কুরবানীর হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েয হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনে শুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১

রাতে কুরবানী করা

মাসআলা : ৬৮. ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতে কুরবানী করা জায়েয। তবে রাতে আলোস্বল্পতার দরুণ জবাইয়ে ত্রুটি হতে পারে বিধায় রাতে জবাই করা অনুত্তম। অবশ্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে রাতে জবাই করতে কোনো অসুবিধা নেই। -ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৬, আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫১০

কাজের লোককে কুরবানীর গোশত খাওয়ানো

মাসআলা : ৬৯. কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া জায়েয নয়। গোশতও পারিশ্রমিক হিসেবে কাজের লোককে দেওয়া যাবে না। অবশ্য এ সময় ঘরের অন্যান্য সদস্যদের মতো কাজের লোকদেরকেও গোশত খাওয়ানো যাবে।-আহকামুল কুরআন জাস্সাস ৩/২৩৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলবাহরুর রায়েক ৮/৩২৬, ইমদাদুল মুফতীন

জবাইকারীকে পারিশ্রমিক দেওয়া

মাসআলা : ৭০. কুরবানী পশু জবাই করে পারিশ্রমিক দেওয়া-নেওয়া জায়েয। তবে কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া যাবে না। -কিফায়াতুল মুফতী ৮/২৬৫

মোরগ কুরবানী করা

মাসআলা : ৭১. কোনো কোনো এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে মোরগ কুরবানী করার প্রচলন আছে। এটি না জায়েয। কুরবানীর দিনে মোরগ জবাই করা নিষেধ নয়, তবে কুরবানীর নিয়তে করা যাবে না। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৪, ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২০০ 🍒 সংগ্রহে:-হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী🍒

posted ব্য ঃ হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন
ফেইসবোকে আমি




শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

জেনে নিন কোন ৭ টি কারনে আপনার দরিদ্রতা দেখা দেয়,এবং কোন ৭ টি কারনে ধনি হওয়া যায়।

আপনি জানেন কি,,,?
দরিদ্রতা আসে ৭টি বদভ্যাসের কারণেঃ-
১। তাড়াতাড়ি নামায পড়া।
২। দাঁড়িয়ে পে শাব করা।
৩। পেশাবের জায়গাতে অজু করা।
৪। দাঁড়িয়ে পানি পান করা।
৫। ফুঁ দিয়ে বাতি নিভানো।
৬। দাঁত দিয়ে নখ কাটা।
৭। পরিধেয় বস্ত্র দ্বারা মুখ সাফ করা।
.
সচ্ছলতা আসতে পারে ৭টি অভ্যাসেঃ-
১। নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করা।
২। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতে পড়া।
৩। সর্বাবস্থায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা।
৪। দরিদ্র ও অক্ষম ব্যাক্তিদের সাহায্যসহযোগিতা করা।
৫। গোনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করা।
৬। পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনদের সাথেসদাচরণ করা।
৭। সকালে সূরা ইয়াসিন এবং সন্ধ্যায় সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করা।
Posted by :/ হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন
ফেইসবোকে আমি
আরো মজার সব জিনিস এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
মজার সব


সিলেটে অসাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস ভঙ্গ করল ইসকন ভক্তরা সিলেটে গৌরগোবিন্দের রাজত্ব সন্নিকটে

সিলেটে অসাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস ভঙ্গ
করল ইসকন ভক্তরা
সিলেটে গৌরগোবিন্দের রাজত্ব
সন্নিকটে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে জুমার
নামাযের সময় কাজলশাহ এলাকার ইসকন
মন্দির থেকে উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে
মুসলমানদের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি করেছে
তারা।
এ ব্যাপারে সাবেক কাউন্সিলর বীর
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক বলেন,
মধুশহীদস্থ ইসকনের ভক্তরা নামাজের সময়
সহ বিভিন্ন সময়ে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে
সেখানে গানবাজনা করে। তাদেরকে পূর্বে
এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ আযান ও
নামাজের সময় গানবাজনা বন্ধ রাখার জন্য
অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তবুও তারা
শুক্রবার জুমু’আর নামাজের সময় গানবাজনা
করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নামাজে বাধা
সৃষ্টি করে। ঐ সময় স্থানীয় মুসল্লিরা
তাদের গানবাজনা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ
করলে ইসকন ভক্তরা তাদের জোড় খাটিয়ে
মসজিদে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল
নিক্ষেপ করে। এসময় অনেক মুসল্লিরা আহত
হয়।


আমাদের প্রিয় নবি যে ১২ টি খাবার ভালোবাসতেন, আছে কী আপনার খাবার তালিকায়।

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স:)এর প্রিয় ১২টি খাবার – আপনার খাবার তালিকায় আছে কি? দেখে নিন।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খুবই সাধারণ জীবন যাপন করে গেছেন। উনি যে খাবার খেয়েছেন কিংবা পছন্দ করতেন সেই খাবার গুলো অত্যন্ত সহজলভ্য। প্রায় ১৪শ বছর আগে

মহানবী (সা.) যে খাবারগুলো খুব পছন্দ করতেন সেগুলো আজকের বিজ্ঞান গবেষণায় দেখা গেছে খাবার গুলোর গুণাগুণ ও উপাদান ছিল অত্যন্ত যথাযথ।


নবীজী (সা.) এর প্রিয় খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন মিস্টি জাতীয় খাবার। মহানবী (সা.) এর প্রিয় ১২টি খাবার হলো- মিস্টি, বার্লি (জাউ), খেজুর, ডুমুর, আঙ্গুর, মধু, তরমুজ, দুধ, মাশরুম, ডালিম-বেদানা, ভিনেগার এবং খাবার পানি।

Posted byy: হাফিজ নাছির উদ্দিন

আরো মজার সব অজানা জিনিস জানতে ক্লিক করুন
এখানে



শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

যে সব গুনাহ করলে মুসলমানিত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে, সকল মুসলমানের জানার প্রয়োজন এই গুনাহ গুলি।

ধ্বংসাত্মক কয়েকটি কবিরা গোনাহ!
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, যে কেউ কোনো মুআহিদকে (যাকে মুসলমানরা নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাকে) হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ ৪০ বছরের দূরত্ব হতেও পাওয়া যায়। (বোখারি/মেশকাত : ৩৩০৪)।

গোনাহ দুই প্রকার। ক. কবিরা। খ. সগিরা। আল্লাহ তায়ালা এবং রাসূল (সা.) যেসব গোনাহের ব্যাপারে কোনো শাস্তি আরোপ করেছেন এবং স্পষ্টভাবে তা থেকে বারণ করেছেন তাই হলো কবিরা গোনাহ। তবে কবিরার মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন স্তর। কোনো কোনো কবিরা গোনাহ আল্লাহ তায়ালার সত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত, আবার কোনোটা বান্দার সঙ্গে সম্পর্কিত। নিম্নে গুরুতর কয়েকটি কবিরা গোনাহ নিয়ে আলোচনা করা হলো :

ক. শিরক করা
কবিরা গোনাহের স্তরে এটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং স্পর্শকাতর। মহান আল্লাহ তায়ালার সত্তা, গুণাবলি ও কার্যাবলিতে অন্য কাউকে শরিক করা বা সমকক্ষ জ্ঞান করাই শিরক। যেমন- আল্লাহর কাছে মোনাজাত করার মতো জীবিত বা মৃত কারও নিকট প্রার্থনা করা। কবর বা মাজারে সেজদা করা, কোনো ব্যক্তিসমষ্টি বা সংগঠককে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে বিশ্বাস করা, পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তায়ালাকে ছেড়ে এমন কাউকে ডাকবে না যে তোমার কোনো উপকারও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না। তারপরও যদি তুমি এরূপ কর তাহলে তুমি জালেমদের মধ্যে গণ্য হবে। (সূরা ইউনুস : ১০৬)।

অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, যে আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন। (সূরা মায়িদা : ৩১২)।

শিরক ঈমানকে ধ্বংস করে দেয় এবং শিরককারী ব্যক্তি কাফের বলে গণ্য হয়। এমনকি শিরকই একমাত্র গোনাহ, যা ছাড়া আল্লাহ সব গোনাহকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ কখনও তার সঙ্গে শরিক করার গোনাহ ক্ষমা করবেন না। এছাড়া আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেবেন।

খ. শিরকের পর মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে গর্হিত ও মন্দ কাজ হলো অন্যায়বিহীন মানুষের প্রাণনাশ করা। চাই তা ভ্রুণ হোক কিংবা অন্য কেউ। মানবহত্যা মানবতা বিধ্বংসী ও সুস্থ বিবেকবর্জিত অপরাধ। রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, কোনো মোমিনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার চেয়ে দুনিয়াটা ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল্লাহর কাছে অধিকতর সহজ। (তিরমিজি)।

এমনকি একজন মানুষের প্রাণনাশ করা সব মানবজাতির প্রাণনাশের নামান্তর। আল্লাহ তায়ালা বলেন, কেউ যদি কাউকে হত্যা করে এবং তা অন্য কাউকে হত্যা করার কারণে কিংবা পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তারের কারণে না হয়, তবে সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। (সূরা মায়িদা : ৩২)।

অন্যায়ভাবে হত্যাকারীর জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে জেনেশুনে হত্যা করবে তার শাস্তি হলো জাহান্নাম। যাতে সে সর্বদা থাকবে এবং আল্লাহ তার প্রতি গজব নাজিল করবেন ও তাকে লানত করবেন। আর আল্লাহ তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। (সূরা নিসা : ৯৩)।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, যে কেউ কোনো মুআহিদকে (যাকে মুসলমানরা নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাকে) হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ ৪০ বছরের দূরত্ব হতেও পাওয়া যায়। (বোখারি/মেশকাত : ৩৩০৪)।

এ হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নিরাপত্তা প্রদত্ত কাফেরের জানমালও মুসলমানের ন্যায় সংরক্ষিত। তাদের ওপর আঘাত হানাও জঘন্যতম অপরাধ।

উপরোক্ত বিধানগুলো হত্যাকারীর পাশাপাশি হত্যায় সহায়তা দানকারীর ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সামান্য কথার দ্বারাও কোনো মোমিনের হত্যার ব্যাপারে সহায়তা করল সে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, তার কপালে লেখা থাকবে ‘আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ।’ (ইবনে মাজাহ/মেশকাত : ৩৩৩১)।


গ. সুদ খাওয়া
সুদ বলা হয় বিনিময়বিহীন অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে। ইসলাম এবং ইসলামী শরীয়ত শোষণ, জুলুম, নির্যাতন ও মনষ্যত্বহীনতার পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত। সম্পদের ব্যবহার ও ভোগের ক্ষেত্রে ইসলাম দিয়েছে ব্যাপক অধিকার। কিন্তু যে ভোগের কারণে সমাজের অন্যজন নির্যাতিত হয় এবং শিকার হয় দুঃখ-কষ্টের সেই ভোগকে ইসলাম হারাম করে দিয়েছে। পবিত্র কোরআনুল কারিমের বর্ণনা, আল্লাহ বিক্রিকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। (সূরা বাকারা : ২৭৫)।

ব্যবসা-বাণিজ্য যেহেতু মানবিক সাম্য ও অর্থনৈতিক ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যম, তাই ইসলামী শরীয়ত তা গ্রহণ করেছে। আর সুদ যেহেতু মানবতা বিরোধী শোষণমূলক লেনদেন, তাই ইসলাম তাকে হারাম ঘোষণা করেছে।

ইসলাম সুদকে শুধু হারামের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং সুদের ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে যে ধমকি এসেছে অন্য কোনো পাপের বেলায় এমনটা করা হয়নি। এরশাদ করা হয়েছে, হে মোমিনরা! আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমরা যদি প্রকৃত মোমিন হয়ে থাক। তবে সুদের যে অংশই অবশিষ্ট রয়ে গেছে তা ছেড়ে দাও, আর যদি তোমরা সুদকে পরিত্যাগ না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও। (সূরা বাকারা : ২৭৮-২৭৯)।

রাসূল (সা.) বর্ণনা করেন, সুদের গোনাহের ৭০টি স্তর রয়েছে। এর সর্বনিম্নটি হলো স্বীয় মাতাকে বিবাহ করা। (মেশকাত : ২৭০২)।

সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এমন কঠিন হুশিয়ারি বাণী আসার পরেও যে এর থেকে নিবৃত হবে না তার মতো হতভাগা কে হতে পারে। এমন কেউ কী আছে যে তার মোকাবেলায় রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হবে।

ঘ. আহলে এলমকে অবজ্ঞা করা
আহলে এলম বলা হয় যারা কোরআন ও হাদিসের বুৎপত্তি অর্জন করে এবং সে অনুযায়ী আমল করে। কোরআন-হাদিস যেমন সম্মানিত এর সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি ব্যক্তি এবং বস্তুও তেমন সম্মানিত। এক প্রস্থ কাপড় দিয়ে যখন কোনো জামা তৈরি করা হয় এর সম্মান এবং মূল্য যতটুকু হয়, পবিত্র কোরআনুল কারিমের সামান্য গিলাফটির মূল্য তার চেয়ে শতগুণ বেশি হয়। আর এটাই ঈমানের দাবি।

আল্লাহ তায়ালা আহলে এলম সম্পর্কে কোরআন পাকে বর্ণনা করেন, হে নবী আপনি বলুন! যারা প্রাজ্ঞ আর যারা অপ্রাজ্ঞ তারা কী সমান হতে পারে? (জুমার : ৯)।

হজরত মোয়াবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের বিজ্ঞ আলেম বানিয়ে দেন। (বোখারি ও মুসলিম, মেশকাত : ১৮৯)। অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়, একজন এবাদত গুজার ব্যক্তির ওপর একজন আহলে এলমের মর্যাদা তেমন পূর্ণিমা রাতে সব নক্ষত্রের ওপর চাঁদের মর্যাদা যেমন, আর আহলে এলমরাই হলো আম্বিয়া কেরামদের উত্তরসূরি। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মেশকাত : ২০০)।

১৪০০ বছর আগে মহানবী (সা.) ইন্তেকাল করেন। কিন্তু তার অবর্তমানে কেয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহর প্রতিনিধি হিসেবে আহলে এলমদের নির্বাচিত করা হয়। কেয়ামত পর্যন্ত তারা রাসূল (সা.) এর স্থলাভিষিক্ত হিসেবেই নির্বাচিত থাকবে।
কেউ যদি অন্তর থেকে আহলে এলমকে অবজ্ঞা এবং ঘৃণা করে তার ঈমান থাকবে না। কারণ আহলে এলমকে অবজ্ঞা করা প্রকারান্তরে রাসূল (সা.) কেই অবজ্ঞা করা হলো। আর রাসূল (সা.) কে অবজ্ঞা এবং কটাক্ষকারী কখনও মুসলিম থাকতে পারে না।

তাই সচেতন সব মুসলমানকে ভেবে দেখা উচিত, আহলে এলমের মর্যাদা নিজের ভেতর কতটুকু বিদ্যমান? আমি আহলে এলমকে কটাক্ষ করে রাসূল (সা.) এর স্থলাভিষিক্তদের অবজ্ঞা করে নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করতে পারব কি? সবচেয়ে বড় কথা, আল্লাহ এবং রাসূলের অবাধ্য হয়ে পরকালে কীভাবে মুক্তির আশা করতে পারি?

Posted byy: হাফিজ নাছির উদ্দিন

আরো মজার সব অজানা জিনিস জানতে ক্লিক করুন
এখানে